নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের হাজারো সাবেক নেতাকর্মী, যারা বর্তমানে শিক্ষার্থী হিসেবে সমাজের বিভিন্ন স্তরে যুক্ত, তারা কি রাষ্ট্রীয় কোনো কর্মকাণ্ডে অংশ নিতে পারবেন না?
সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) হাইকোর্টের বিচারপতি হাবিবুল গণি ও বিচারপতি এস কে তাহসিন আলীর সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ শুনানিতে রিটকারী আইনজীবীকে এমন প্রশ্ন করেছেন।
এদিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে ইসলামী ছাত্রশিবিরের জিএস প্রার্থী এস এম ফরহাদের প্রার্থিতা চ্যালেঞ্জ করে করা রিটের শুনানি অনুষ্ঠিত হয়।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করছেন ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী শিশির মনির।
এর আগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে জিএস প্রার্থী এস এম ফরহাদের প্রার্থিতা চ্যালেঞ্জ করে হওয়া রিটের শুনানির জন্য ১ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য করেছিলেন আদালত।
এস এম ফরহাদ ছাত্রশিবির সমর্থিত প্যানেল ‘ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোট’ থেকে প্রার্থী হয়েছেন। তিনি ছাত্রশিবির ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি।
গতকাল রোববার (৩১ আগস্ট) হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট একই বেঞ্চ এ বিষয়ে শুনানির জন্য আজ সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) দিন ধার্য করেন। আদালতে ওই দিন রিটের বিষয়টি উত্থাপন করেন রিট আবেদনকারীর আইনজীবী জ্যোতির্ময় বড়ুয়া।
আদালত বলেন, ‘মঙ্গলবার শুনব।’ তখন জ্যোতির্ময় বড়ুয়া বলেন, ‘বিকেল ৪টায় রাখতে পারেন, বিষয়টি জরুরি।’ আদালত বলেন, ‘মঙ্গলবার শুনব। সকাল সাড়ে ১০টায় মেনশন (উত্থাপন) করবেন, ২টায় শুনব।’
এর আগে গত ২৮ আগস্ট ডাকসু নির্বাচনে এস এম ফরহাদের প্রার্থিতা চ্যালেঞ্জ করে অপরাজেয় ৭১’, ‘অদম্য ২৪’ প্যানেলের বামজোট মনোনীত প্যানেলের মুক্তিযুদ্ধ ও গণতান্ত্রিক আন্দোলন বিষয়ক সম্পাদক প্রার্থী বি এম ফাহমিদা আলম হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিটটি করেন।
এবারের ডাকসু নির্বাচনে চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা গত ২৬ আগস্ট প্রকাশ করা হয়। তালিকায় এস এম ফরহাদের প্রার্থিতার বৈধতা নিয়ে করা রিটে তার বিরুদ্ধে নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট থাকার অভিযোগ করা হয়েছে।
রিট আবেদনে ডাকসুর নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গ করে চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকায় সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে এস এম ফরহাদের প্রার্থিতার বৈধতা দেওয়াটা কেন আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না, এ বিষয়ে রুল চাওয়া হয়েছে।
আসন্ন নির্বাচনে ফরহাদের প্রার্থিতা বাতিল করে তাকে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা থেকে বিরত রাখতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, এ বিষয়েও রুল চাওয়া হয়েছে। রুল হলে তা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত তার ক্ষেত্রে চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকার অংশটুকুর কার্যক্রম স্থগিত চাওয়া হয়েছে রিটে।
আজ হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত হওয়ায় আগামী ৯ সেপ্টেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনের ভোটগ্রহণ তারিখ বহাল থাকল।
মন্তব্য করুন