ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালত প্রাঙ্গণে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় রাজধানীর কোতোয়ালি থানায় মামলা হয়েছে। গতকাল সোমবার কোতোয়ালি থানার উপপরিদর্শক মো. কামরুল হোসেন বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, গতকাল সোমবার বিকেল ৩টা ৫২ মিনিটে অজ্ঞাতনামা নাশকতা সৃষ্টিকারীরা বেআইনি ও বিদ্বেষপূর্ণভাবে আদালত প্রাঙ্গণে উপস্থিত আইনজীবীদের ও আদালতে আসা বিচার প্রার্থীসহ আদালত প্রাঙ্গণে উপস্থিত লোকজনদের জীবন সম্পত্তি বিপন্ন অথবা গুরুতর ক্ষতি সাধনের লক্ষ্যে ককটেল বিস্ফোরণ করে। এতে আদালতে আসা বিচার প্রার্থীসহ বিভিন্ন লোকজন আতঙ্কিত হয়ে পড়ে এবং আদালতের নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়াসহ আদালতের বিচার কার্যক্রম বিঘ্নিত হয়।
ককটেল বিস্ফোরণের কয়েক মিটার দূরেই জুতা সেলাইয়ের কাজ করছিলেন শ্রীবাস দাস। তিনি বলেন, ‘আমি পাশেই জুতা কালির কাজ করছিলাম। হঠাৎ করে পাশে এই বিস্ফোরণ। আমি অনেক ভয় পেয়ে যাই। তবে কে বা কারা ফেলেছে আমি দেখিনি।’
আদালত প্রাঙ্গণে গণমাধ্যমকে সাক্ষাৎকার দিচ্ছিলেন ঢাকা মহানগর আদালতর অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর তাপস কুমার পাল। এমন সময় তার পেছনে এ ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে তিনি আতঙ্কিত হয়ে পড়েন।
এ বিষয়ে তিনি বলেন,‘এর আগে কখনো এমন ঘটনা ঘটে নি। মির্জা ফখরুলের জামিন শুনানির পেছানোর পরেই আজ (গতকাল) এমন ঘটনা ঘটল। হয়তো রাষ্ট্রপক্ষ কিংবা সরকারকে ভয় দেখাতে এই ককটেল বিস্ফোরণ। কিন্তু ভয় দেখিয়ে কোনো লাভ হবে না। তবে আদালত প্রাঙ্গণে এমন ঘটনা কাম্য নয়। এখানে কেউ হতাহত হতে পারত।’
এদিকে সিসি টিভি ফুটেজে দেখা গেছে, ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের চতুর্থ দোতলায় বোরকা পরিহিত এক মহিলাকে শিশু সন্তান নিয়ে অবস্থান করতে দেখা যায়। তখন তার সঙ্গে এক পুরুষও ছিলেন। তারা কয়েক মিনিট চারদিকে পর্যবেক্ষণ করতে থাকেন। সুযোগ মতো মহিলার কাছে থাকা ব্যাগ থেকে ককটেল করেন ওই পুরুষ। এরপর তারা ঢাকা মহানগর আদালতের সামনে নিক্ষেপ করেন। কিছু দূর গিয়ে তারা আদালতের নিচে তাকান। এরপর তারা দ্রুত আদালত চত্বর থেকে সটকে পড়েন।
মন্তব্য করুন