আমরা পরিশ্রম করে রক্ত দিয়ে ১৯৭১ সালে এই দেশটাকে স্বাধীন করেছি। সবাই জানেন সেই ইতিহাস। আমরা যদি এইভাবে ভূখণ্ডকে স্বাধীন করতে পারি, তাহলে এই মামলাজটের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে কেন স্বাধীন হতে পারব না। ইনশাআল্লাহ আমরা জয়ী হব। এ জয়টা আমরা পরিশ্রম করে অর্জন করতে চাই।
বৃহস্পতিবার (১৩ জুলাই) ঢাকার জেলা জজ আদালতে প্রাঙ্গণে বিচারপ্রার্থীদের জন্য নির্মিতব্য বিশ্রামাগার ‘ন্যায়কুঞ্জ’-এর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী এ মন্তব্য করেন।
এ সময় ঢাকার সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ এ এইচ এম হাবিবুর রহমান ভুঁইয়া, মহানগর দায়রা জজ মো. আছাদুজ্জামান, চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. রেজাউল করিম চৌধুরী, চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সৈয়দ মাশফিকুল ইসলাম সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্টার জেনারেল মো. গোলাম রব্বানী, হাইকোর্ট বিভাগের রেজিস্টার মুন্সী মো. মশিয়ার রহমান, আপিল বিভাগের রেজিস্টার মো. সাইফুর রহমান, হাইকোর্ট বিভাগের রেজিস্টার (বিচার) এস কে এম তোফায়েল হাসান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান বিচারপতি বলেন, এই রাষ্ট্রের মালিক জনগণ। রাষ্ট্রের তিনটি অরগানের মধ্যে একটি হচ্ছে জুডিশিয়ারি। এটি একটি শক্তিশালী অরগান। আদালতগুলোতে অনেক মামলা জমে গেছে। এ মামলার জট যেভাবেই হোক ছাড়াতে হবে।
তিনি বলেন, এখন যেসব কেস ফাইলিং হচ্ছে তার থেকে নিষ্পত্তি যাতে বেশি হয়। ১২০টি কেস ফাইলিং হলে যদি ১২৫টি নিষ্পত্তি হয় তাহলে ৫/৬ বছরের মধ্যে মামলা জট কমে আসবে। এখন যে অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে সেখান থেকে বিচারপ্রার্থীদের বের করে আনতে পারব। আদালতের বারান্দায় মাসের পর মাস, বছরের পর বছর বিচার পাওয়ার জন্য তাদের আর ঘুরতে হবে না। আর এই ন্যায়কুঞ্জ তাদের জন্য যারা এখানে বিচার পেতে আসেন তাদের বিশ্রাম নেওয়ার জন্য।
মন্তব্য করুন