কালবেলা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৯ মে ২০২৪, ০১:৪০ পিএম
আপডেট : ০৯ মে ২০২৪, ০২:৩৯ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

খালাস পেয়ে ইমন বললেন, ‘বিজয় পেয়েছি, আলহামদুলিল্লাহ’

আদালত প্রাঙ্গণে আসামি। ছবি : কালবেলা
আদালত প্রাঙ্গণে আসামি। ছবি : কালবেলা

দীর্ঘ ২৫ বছর আগে চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরী হত্যা মামলায় শীর্ষ সন্ত্রাসী সানজিদুল ইসলাম ইমনসহ ছয়জনকে বেকসুর খালাস পেয়েছেন। বৃহস্পতিবার ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক অরুণাভ চক্রবর্ত্তী এ রায় ঘোষণা করেন। আদালতে থেকে বের করার পর রায়ের প্রতিক্রিয়ায় ইমন বলেন, ‘আমি বিজয় পেয়েছি, আলহামদুলিল্লাহ।’

এদিন সকালে আসামি তারিক সাইফ মামুন আদালতে হাজিরা দেন। তবে অসুস্থ হয়ে যাওয়ায় তিনি চলে যান। পরে আইনজীবী মেহেদী হাসান তার পক্ষে সময়ের আবেদন করেন। তবে বিচারক তার আবেদন নামঞ্জুর করেন। জামিনে থাকা আসামি আশীষ রায় চৌধুরী আদালতে হাজিরা দেন। এ ছাড়া কারাগারে আটক আসামি সানজিদুল ইসলাম ইমনকে আদালতে হাজির করা হয়। তাদের উপস্থিতিতে আদালত রায় ঘোষণা করেন। রায়ে অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় ব্যবসায়ী আজিজ মোহাম্মদ ভাই ওরফে আবদুল আজিজসহ তিনজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন।

দণ্ডিত অপর দুজন হলেন-আদনান সিদ্দিকী ও ট্রাম্পস ক্লাবের মালিক আফাকুল ইসলাম ওরফে বান্টি ইসলাম। খালাসপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন-তারেক সাঈদ মামুন, সেলিম খান, হারুন অর রশীদ ওরফে লেদার লিটন ওরফে বস লিটন, ফারুক আব্বাসী, ও আশীষ রায় চৌধুরী ওরফে বোতল চৌধুরী।

১৯৯৮ সালের ১৭ ডিসেম্বর রাজধানীর বনানীতে ট্রাম্পস ক্লাবের নিচে সোহেল চৌধুরীকে গুলি করে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় তার ভাই তৌহিদুল ইসলাম চৌধুরী গুলশান থানায় মামলা করেন। সোহেল চৌধুরী নিহত হওয়ার পরপরই এই হত্যাকাণ্ডে চলচ্চিত্র প্রযোজক ও ব্যবসায়ী আজিজ মোহাম্মদ ভাইয়ের সম্পৃক্ততার অভিযোগ ওঠে।

মামলায় অভিযোগ করা হয়, হত্যাকাণ্ডের কয়েক মাস আগে আজিজ মোহাম্মদ ভাইয়ের সঙ্গে সোহেল চৌধুরীর কথাকাটাকাটি হয়। এর প্রতিশোধ নিতে সোহেল চৌধুরীকে হত্যা করা হয়। ঘটনার রাতে সোহেল তার বন্ধুদের নিয়ে ট্রাম্পস ক্লাবে ঢোকার চেষ্টা করেন। তাকে ভেতরে ঢুকতে বাধা দেওয়া হয়। রাত আড়াইটার দিকে আবারও তিনি ঢোকার চেষ্টা করেন। তখন সোহেলকে লক্ষ্য করে ইমন, মামুন, লিটন, ফারুক ও আদনান গুলি চালান। আসামিদের মধ্যে আদনান খুনের পরপরই ধরা পড়েছিলেন।

মামলাটি তদন্ত শেষে ১৯৯৯ সালের ৩০ জুলাই গোয়েন্দা পুলিশের সহকারী পুলিশ কমিশনার আবুল কাশেম ব্যাপারী ৯ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন। ২০০১ সালের ৩০ অক্টোবর ঢাকার তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। এর দুই বছর পর মামলাটির বিচার দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য ঢাকার ২ নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে পাঠানো হয়। ওই বছরই আসামিদের মধ্যে একজন হাইকোর্টে আবেদন করেন।

আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ২০০৩ সাল থেকে দীর্ঘ ১৯ বছর হাইকোর্টের আদেশে মামলাটি স্থগিত ছিল। এ মামলার বিচার চলাকালীন ট্রাইব্যুনাল ৩৮ জনের মধ্যে ১০ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

সেই রইস উদ্দিনের বাড়িতে অপু বিশ্বাস

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটরের পদত্যাগ

পারমাণবিক অস্ত্রভাণ্ডার নিয়ে কিম জং উনের নতুন হুমকি

কুয়াকাটা সৈকতে ভেসে এলো মৃত ইরাবতী ডলফিন

এনবিআরের ১৭ কর্মকর্তার সম্পদের খোঁজে দুদক

১৮০ টাকার জন্য পরীক্ষা দিতে দিলেন না প্রধান শিক্ষক

৪১ হাজার শিক্ষক নিয়োগের ফল প্রকাশ, যেভাবে জানা যাবে

ভুলেও প্রেসার কুকারে রান্না করবেন না যে ৫ খাবার

আলো-অন্ধকারের দার্শনিক জহির রায়হানের জন্মবার্ষিকীতে গভীর অভিবাদন

‘ত্রাণ নয়, রাস্তা চাই’

১০

‘ডাকসুকে ব্যবহার করে বড় নেতা হয়েছেন, শিক্ষার্থীদের উন্নয়ন হয়নি’

১১

প্রতিজ্ঞা ভেঙে হোয়াইট হাউসে স্যুট পরে হাজির জেলেনস্কি

১২

এনসিপি থেকে বহিষ্কার হয়ে মাহিনের ‘বিস্ফোরক’ মন্তব্য

১৩

বেরোবিতে তৃতীয় দিনেও অনশন চলছে, গঠনতন্ত্র চূড়ান্তে ইউজিসির সভা বৃহস্পতিবার

১৪

মাটির নিচে মিলল পিস্তল-গুলি

১৫

জুলাই গণহত্যার আসামির জামিন বিষয়ে আইন উপদেষ্টার বক্তব্য

১৬

নামাজরত ব্যক্তির সামনে দিয়ে যাওয়া-আসা করলে কি ৪০ দিনের ইবাদত নষ্ট হয়ে যায়?

১৭

হঠাৎ অবসরে যাওয়ার ঘোষণা দিলেন মার্কিন বিমানবাহিনীর প্রধান

১৮

ইসিকে ৪০ লাখ ইউরো সহায়তা দেবে ইইউ

১৯

ভারতীয়রা কেন অন্ধভাবে ইসরায়েলকে সমর্থন করে?

২০
X