সোমবার, ০৭ জুলাই ২০২৫, ২৩ আষাঢ় ১৪৩২
কালবেলা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৩ জুন ২০২৪, ০৮:৪৬ এএম
অনলাইন সংস্করণ

শিক্ষার্থী অরিত্রীর আত্মহত্যা প্ররোচনা মামলার রায় আজ 

অরিত্রী অধিকারী। পুরোনো ছবি
অরিত্রী অধিকারী। পুরোনো ছবি

ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী অরিত্রী অধিকারীকে আত্মহত্যার প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগে করা মামলার রায়ের জন্য সোমবার (৩ জুন) দিন ধার্য রয়েছে। ঢাকার ১২তম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক আব্দুল্লাহ আল মামুন এ রায় ঘোষণা করবেন।

এ মামলার আসামিরা হলেন- ভিকারুননিসা নূন স্কুলের সাবেক ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নাজনীন ফেরদৌস ও শাখা প্রধান জিনাত আক্তার।

এর আগে গত বছরের ২৭ নভেম্বর একই আদালত রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামি পক্ষের যুক্তিউপস্থাপন শেষে এ মামলায় রায় ঘোষণার জন্য ২১ জানুয়ারি দিন ধার্য করেন। তবে রায় প্রস্তুত না হওয়ায় ৮ ফেব্রুয়ারি, ৩ মার্চ ও ৯ এপ্রিল এ মামলাটির রায় ঘোষণা হয়নি।

২০১৮ সালের ৪ ডিসেম্বর অরিত্রীর আত্মহত্যার ঘটনায় রাজধানীর পল্টন থানায় তার বাবা দিলীপ অধিকারী বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন। ২০১৯ সালের ২০ মার্চ এ দুই শিক্ষককে অভিযুক্ত করে অভিযোগপত্র দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) পরিদর্শক কামরুল হাসান তালুকদার। আসামিদের নির্দয় ব্যবহারে অরিত্রী আত্মহত্যায় প্ররোচিত হয় বলে অভিযোগপত্রে উল্লেখ করেন তদন্ত কর্মকর্তা। অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় শ্রেণিশিক্ষক হাসনা হেনাকে অব্যাহতি দেওয়ার আবেদন করা হয়।

একই বছরের ১০ জুলাই এ দুই শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত। এ মামলার বিচার চলাকালীন ১৮ জনের মধ্যে ১৫ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন আদালত।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, ২০১৮ সালের ৩ ডিসেম্বর পরীক্ষা চলাকালে অরিত্রীর কাছে মোবাইল ফোন পান শিক্ষক। মোবাইল ফোনে নকল করেছে— এমন অভিযোগে অরিত্রীর মা-বাবাকে নিয়ে স্কুলে যেতে বলা হয়। দিলীপ অধিকারী তার স্ত্রী ও মেয়েকে নিয়ে স্কুলে গেলে ভাইস প্রিন্সিপাল তাদের অপমান করে কক্ষ থেকে বের হয়ে যেতে বলেন। অধ্যক্ষের কক্ষে গেলে তিনিও একই রকম আচরণ করেন। এ সময় অরিত্রী দ্রুত অধ্যক্ষের কক্ষ থেকে বের হয়ে যায়। পরে শান্তিনগরে বাসায় গিয়ে তিনি দেখেন, অরিত্রী তার কক্ষে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ওড়নায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় ঝুলছে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

খোঁজ মিলল সেই ডিজিএমের, কোথায় ছিলেন তিনি

রকেট চালিত গ্রেনেড দিয়ে লোহিত সাগরে জাহাজে হামলা

পবিত্র আশুরা ন্যায়ের পথে অবিচল থাকার শিক্ষা দেয় : বিএনপি নেতা

জুলাই শহীদদের স্মরণে জাতীয়তাবাদী কৃষিবিদদের দোয়া ও বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি

নৌপথে চাঁদাবাজি, যৌথবাহিনীর অভিযানে অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার ৬

ইউএনও’র বিদায় অনুষ্ঠান শেষে ফিরছিলেন আ.লীগ নেতা, অতঃপর...

নকল ওষুধ ও প্রসাধনী কারখানায় অভিযান, এক জনের কারাদণ্ড

বিএনপির শীর্ষ নেতারা সিলেট যাচ্ছেন কাল

সুখবর পাচ্ছেন প্রাথমিকের ৩০ হাজার প্রধান শিক্ষক

প্রতিপক্ষের ছুরিকাঘাতে যুবক নিহত

১০

এজবাস্টনে ভারতের ঐতিহাসিক জয়

১১

গাজীপুর মহানগর বিএনপির চার নেতা বহিষ্কার

১২

সাইফ পাওয়ার টেকের অধ্যায় শেষ, চট্টগ্রাম বন্দরের দায়িত্বে নৌবাহিনী

১৩

এসিল্যান্ডসহ ২৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা

১৪

পুকুরের পানিতে ডুবে ২ শিশুর মৃত্যু

১৫

অভিষেকেই ইতিহাস, ডাবল সেঞ্চুরিতে প্রোটিয়া অলরাউন্ডারের বিশ্বরেকর্ড

১৬

৪৫ বছরে পদার্পণ করল লোক নাট্যদল

১৭

চিলমারীতে রাজনৈতিক অস্থিরতা, পুলিশের টহল জোরদার

১৮

সবার প্রতি মির্জা ফখরুলের আহ্বান

১৯

‘ডিসি-এসপিরা চিপায় পড়ে’ আমাদের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করছেন : হাসনাত

২০
X