

রাজধানীর গাবতলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৪র্থ ও ৫ম তলা নির্মাণ কাজ না করেই সরকারি অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলীসহ চারজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে সংস্থাটির সহকারী পরিচালক স্বপন কুমার রায় বাদী হয়ে মামলাটি করেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দুদকের উপ-পরিচালক (গণসংযোগ) আকতারুল ইসলাম।
মামলার আসামিরা হলেন— স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) নির্বাহী প্রকৌশলী মুহাম্মদ বাচ্চু মিয়া, সিনিয়র সহকারী প্রকৌশলী মো. ছাবের আলী, উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. শামস জাভেদ এবং মেসার্স নির্মাণ প্রকৌশলীর মালিক আবু সাইদ খান।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে সরকারি ক্ষমতার অপব্যবহার ও প্রতারণার মাধ্যমে গাবতলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নির্মাণাধীন ভবনের ৩য় ও ৪র্থ তলার কাজ সম্পন্ন না করেই বিল উত্তোলন করেছেন। এভাবে তারা ১ কোটি ২২ লাখ ১৯ হাজার ৮০৬ টাকা আত্মসাৎ করেন, যা দণ্ডবিধির ৪০৯/৪২০/৪৬৭/৪৬৮/৪৭১/১০৯ ধারা এবং দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন, ১৯৪৭-এর ৫(২) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ। অনুসন্ধানে অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় মামলা করে দুদক।
প্রসঙ্গত, এলজিইডি ঢাকা জেলার নির্বাহী প্রকৌশলী বাচ্চু মিয়ার বিরুদ্ধে আর্থিক অনিয়ম, চাঁদাবাজি, ক্ষমতার অপব্যবহার এবং প্রকল্পের কাজে স্থবিরতা সৃষ্টির মতো গুরুতর অভিযোগ রয়েছে।
এছাড়াও নির্বাহী প্রকৌশলী বাচ্চু মিয়া তার আপন ভাই মো. শহিদুল ইসলামের (সুমন) ট্রেড লাইসেন্সের বিপরীতে এলজিইডির দুটি তালিকাভুক্তির লাইসেন্স করে ঢাকা জেলায় নিজে ব্যবসা শুরু করেছেন। একটি তার মেয়ের নামে মোহনা এন্টারপ্রাইজ এবং অন্যটি মাহমুদ এন্টারপ্রাইজ। সরকারি নিয়ম অনুযায়ী এক ব্যক্তি একটি সংস্থায় একটি তালিকাভুক্তির লাইসেন্স করতে পারে। কিন্তু বাচ্চু মিয়া তার নিজের ভাইকে দুটি তালিকাভুক্তির লাইসেন্স করে দিয়েছেন। সেই দুই লাইসেন্সের একটি মাহমুদ এন্টারপ্রাইজের নামে বিনা দরপত্রে অফিস ভবন রক্ষণাবেক্ষণের কাজ দিয়ে এবং সে কাজ না করে প্রায় ৪৮.৮ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছেন। তার মেয়ের নামের লাইসেন্স মোহনা এন্টারপ্রাইজের নামে ৩.৯৮ লাখ টাকার কাজ দিয়েছেন বলেও অভিযোগ রয়েছে।
মন্তব্য করুন