কালবেলা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২১ নভেম্বর ২০২৩, ০৪:৪৭ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

মির্জা আব্বাসের বাসায় ককটেল ছোড়ে ‘হেলমেট’ বাহিনী

মির্জা আব্বাস। ছবি : সংগৃহীত
মির্জা আব্বাস। ছবি : সংগৃহীত

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য, সাবেক মন্ত্রী মির্জা আব্বাসের শাহজাহানপুরের বাসায় পরপর দুটি ককটেল নিক্ষেপ করা হয়েছে। এ নিয়ে তার স্ত্রী আফরোজা আব্বাস গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, বাসার সামনে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটনায় সরকারি দলের সন্ত্রাসী ‘হেলমেট’ বাহিনী জড়িত।

মঙ্গলবার (২১ নভেম্বর) সকাল ৮টার দিকে একটি মোটরসাইকেলে করে দুজন আরোহী এ ঘটনা ঘটায়। ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনার পর শাহজাহানপুরের বাসায় সাংবাদিকদের আফরোজা আব্বাস এই অভিযোগ করেন।

আফরোজা আব্বাস বলেন, ‘বিস্ফোরণের বিকট শব্দ শুনলাম। আমি ঘরে ছিলাম।’ দারোয়ান ফোনে জানালেন, ‘কালো পোশাক ও হেলমেট পরে দুজন হামলা করেছে। তারা একই মোটরসাইকেলে ছিল। বিস্ফোরণের পর সে (দারোয়ান) দেখল, ওরা পালিয়ে যাচ্ছে।’

ককটেল নিক্ষেপকালে বাসার বাইরে পুলিশের তিন থেকে ৪টি মোটরসাইকেল অবস্থান করলেও সাহায্য করেনি জানিয়ে আফরোজা আব্বাস বলেন, ওরা (হেলমেট বাহিনী) পালিয়ে যাচ্ছে, হেল্প চাইলেও পুলিশ তা করেনি। ‘তারা (পুলিশ) ওদের পালিয়ে যেতে সহায়তা করেছে।’ ‘মাঝেমধ্যে বাসার ভেতরে ইটপাটকেল মারছে, বাসার গেট ধাক্কা দিচ্ছে, অন্য বাড়িতেও এরকম অবস্থা বলে জানান তিনি।

আফরোজা আব্বাস বলেন, ‘ওরা(পুলিশ) শুধু বলে, এসব ছাত্রদল-যুবদল করছে। আব্বাস (মির্জা আব্বাস) জেলে, আমি বাসায়। এর আগেও এমন ঘটনা ঘটেছে, এখনো করছে। বর্তমানে নিরাপত্তা হীনতায় ভুগছি। দেশবাসীর কাছে এর বিচার চাই। গত সোমবার সারা রাত বাসার আশপাশে ছাত্রলীগ-যুবলীগের লোকজন ঘোরাঘুরি করেছে।’

এর আগে বিএনপির চেয়ারপারসন প্রেস উইংয়ের সদস্য শামসুদ্দিন দিদার এক বিবৃতিতে জানান, একটি মোটরসাইকেলে করে দুজন আরোহী এসে মির্জা আব্বাসের বাসা লক্ষ্য করে পর পর দুটি ককটেল ছোড়ে। একটি ককটেল বিকট শব্দে বিস্ফোরিত হয়। আরেকটি ককটেল অবিস্ফোরিত থাকে। এ সময় পুরো বাড়ি ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন হয়ে যায়।

দিদার অভিযোগ করে বলেন, ককটেল বিস্ফোরণে মুহূর্তে বাসায় অবস্থান করা মির্জা আব্বাসের নিরাপত্তা কর্মীরা দৌড়ে গেলে মোটরসাইকেলটি চলে যায়। এসময় নিরাপত্তাকর্মীরা বাসার গেটের সামনে গিয়ে ইউনিফর্ম পরা ৬ থেকে আটজন পুলিশকে বহন করা ৩ থেকে ৪টি মোটরসাইকেল অবস্থান করতে দেখেন। মোটরসাইকেল আরোহী এবং ককটেল নিক্ষেপের ঘটনাটি পুলিশের কাছে জানতে চাইলে এ বিষয়ে পুলিশ কোনো সদুত্তর না দিয়ে ককটেল নিক্ষেপকারী আরোহীসহ মোটরসাইকেলটিকে স্কট দিয়ে নিয়ে যায় বলে মির্জা আব্বাসের নিরাপত্তাকর্মীরা জানান।

উল্লেখ্য, গত ২৮ অক্টোবর ঢাকায় বিএনপির মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে পুলিশের সঙ্গে নেতাকর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনায় শাহজাহানপুর থানায় করা মামলায় ৩১ অক্টোবর গ্রেপ্তার হন মির্জা আব্বাস। তিনি এখন কেরানীগঞ্জ কারাগারে বন্দি রয়েছেন।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ব্রাজিলের কোচ হওয়ার গুঞ্জনে কী বললেন স্কালোনি

জনতার কাতারে নেমে এসেছেন আলেমরাও

ধামরাইয়ে প্রাইভেটকারে যাত্রী তুলে অপহরণ, আটক ৪

শাহবাগে নেই ছাত্রদল-বাম

পাকিস্তান যেসব সমরাস্ত্র ব্যবহার করেছে ভারতের বিরুদ্ধে

সান্তোসে আর মাত্র দু’টি ম্যাচ খেলবেন নেইমার!

শাহবাগে খালেদা জিয়ার অপেক্ষায় ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র

বিনিয়োগ নিয়ে দেশে অনেক সার্কাস দেখতে পাচ্ছি : আমীর খসরু

বিপাকে ভারত, পাকিস্তানের পক্ষে কাজ করছে তুরস্ক

সাধারণ যানবাহনের সঙ্গেই ছিল জুবাইদার গাড়ি

১০

মামলা তুলতে রাজি না হওয়ায় বিএনপি কর্মীকে কুপিয়ে হত্যা

১১

দ্রুত সময়ের মধ্যে সিদ্ধান্ত না আসলে ঢাকায় মার্চ : নাহিদ

১২

নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে হেফাজতের যে আহ্বান

১৩

এবার ভারতের স্টেডিয়াম উড়িয়ে দেওয়ার হুমকি

১৪

শাহবাগে ফ্রি চিকিৎসাসেবা দিচ্ছে শিবির

১৫

আ.লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে সিলেটে বিক্ষোভ ও অবস্থান কর্মসূচি

১৬

আবদুল হামিদের পালানো নিয়ে তারেক রহমানের মন্তব্য

১৭

মুচলেকায় মুক্তি পেল ৯৩ জেলে  / জব্দ করা ৬১৫ কেজি ইলিশ গেল এতিমখানায়

১৮

তারেক রহমানের বিরুদ্ধে আপত্তিকর মন্তব্যের প্রতিবাদে বিক্ষোভ

১৯

‘স্বাস্থ্য খাতে বিনিয়োগ মানুষের ভালো থাকার জন্য হতে হবে’

২০
X