মঙ্গলবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৫, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
জবি প্রতিনিধি
প্রকাশ : ০১ জুলাই ২০২৪, ০২:০৪ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

কোটার বিরুদ্ধে জবি শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

চার দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীরা। ছবি : কালবেলা
চার দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীরা। ছবি : কালবেলা

কোটা পুনর্বহালের প্রতিবাদ ও ২০১৮ সালের পরিপত্র পুনর্বহালসহ চার দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। সোমবার (১ জুলাই) বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যানারে এ ছাত্র সমাবেশ করেন শিক্ষার্থীরা।

এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা অনুষদ চত্বর থেকে শিক্ষার্থীদের এ মিছিল শুরু হয়ে বিজ্ঞান অনুষদ ঘুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটকে এসে সমাবেশে পরিণত হয়। সমাবেশটি এরপর রায়সাহেব বাজার ও ভিক্টোরিয়া পার্ক ঘুরে পুনরায় বিশ্ববিদ্যালয়ের মুল ফটকের সামনে এসে শেষ হয়।

এ সময় শিক্ষার্থীরা ‘সারা বাংলায় কবর দে, কোটা প্রথার কবর দে’; ‘বাতিল বাতিল বাতিল চাই, কোটা প্রথার বাতিল চাই’; ‘আঠারোর হাতিয়ার, গর্জে ওঠো আরেকবার’ সহ বিভিন্ন স্লোগান দেন।

সমাবেশে শিক্ষার্থীরা বলেন, সরকার শিক্ষার্থীদের দাবি মেনে নিয়ে ২০১৮ সালে কোটা প্রথা বাতিল করে। হাইকোর্ট পুনরায় এ কোটা বহাল রেখেছে। বঙ্গবন্ধু বৈষম্যবিরোধী বাংলাদেশ গঠনের স্বপ্ন দেখতেন। বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলায় বৈষম্যমূলক কোটা ব্যবস্থা থাকতে পারে না।

বিশ্ববিদ্যালয়ের দশম ব্যাচের শিক্ষার্থী সাজ্জাদ হোসাইন মুন্না বলেন, আমরা চারটি দাবিতে আন্দোলন করছি। আমাদের দাবি না মানা হলে পরবর্তী সময়ে আমাদের লাগাতার কর্মসূচি চলবে। সারাদেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা একযোগে এ কর্মসূচি পালন করবেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী নকিবুল আহসান নিশাদ বলেন, আমাদের দাবি বৈষম্যমূলক কোটা ব্যবস্থায় হাইকোর্টের রায়কে বাতিল করা হোক আর সেই সঙ্গে আমাদের দাবি সরকারি চাকরিতে প্রবেশের ক্ষেত্রে কোটা নয় মেধাকে যাচাই করে চাকরি নিশ্চিত করতে হবে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মতো আমাদের দেশেও কোটা আধুনিকায়ন করতে হবে।

তারা চার দফা দাবি উত্থাপন করেন। শিক্ষার্থীদের চার দফা দাবি হলো-

১. ২০১৮ সালে ঘোষিত সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতি বাতিল ও মেধাভিত্তিক নিয়োগের পরিপত্র বহাল রাখতে হবে;

২. ১৮’ এর পরিপত্র বহাল সাপেক্ষে কমিশন গঠন করে দ্রুত সময়ের মধ্যে সরকারি চাকরিতে (সকল গ্রেডে) অযৌক্তিক ও বৈষম্যমূলক কোটা বাদ দিতে হবে এবং কোটাকে ন্যূনতম পর্যায়ে নিয়ে আসতে হবে। সেক্ষেত্রে সংবিধান অনুযায়ী কেবল অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর কথা বিবেচনা করা যেতে পারে;

৩. সরকারি চাকরির নিয়োগ পরীক্ষায় কোটা সুবিধা একাধিকবার ব্যবহার করা যাবে না এবং কোটায় যোগ্য প্রার্থী না পাওয়া গেলে শূন্য পদগুলোতে মেধা অনুযায়ী নিয়োগ দিতে হবে;

৪. দূর্নীতিমুক্ত, নিরপেক্ষ ও মেধাভিত্তিক আমলাতন্ত্র নিশ্চিত করতে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার দায়িত্ব রাষ্ট্রকে নিতে হবে: সাকি

তিন মামলায় আওয়ামী লীগের সাবেক সেক্রেটারি গ্রেপ্তার

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের শিরোপা জিতল ভারত

খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা কিছুটা উন্নতি হয়েছে : ডা. শাহাবুদ্দিন

‘যারা কাসেমীর ফাঁদে পড়েছ, আমার সঙ্গে যোগাযোগ করো’

ত্রিদেশীয় সিরিজের জন্য শক্তিশালী দল ঘোষণা বাংলাদেশের

বৃহত্তর নোয়াখালী নারী সংঘ ইতালির আত্মপ্রকাশ

শাহজাহান চৌধুরীর বক্তব্যের প্রতিক্রিয়া পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের

‘হাসিনার কালো আইন বাতিল করুন, না হয় নিবন্ধন দিন’

বাড়ির পাশের পুকুরের পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু

১০

আহত শিশুকে নেওয়া হলো হাসপাতালে, সড়কে পড়ে ছিল বিচ্ছিন্ন হাত

১১

বিএনপির দুই নেতার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার

১২

যুক্তরাজ্যের হাউস অব লর্ডসের ২ সদস্য বরখাস্ত

১৩

দ্রুতগতিতে মোটরসাইকেল চালিয়ে প্রাণ গেল ২ বন্ধুর

১৪

লাভের আশায় কৃষকের আগাম ফুলকপি চাষ

১৫

বাউল শিল্পীদের মারধরের ঘটনায় মামলা

১৬

না ফেরার দেশে মেসিকে আর্জেন্টিনা দলে আনার মূল কারিগর

১৭

বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ ঘনীভূত, এগিয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ‘সেনিয়ার’

১৮

সড়কে লাগানো ধান কেটে প্রতিবাদী পিঠা উৎসব

১৯

পার্বতীপুর মধ্যপাড়া পাথর খনি বন্ধ ঘোষণা

২০
X