জবি প্রতিনিধি
প্রকাশ : ০১ জুলাই ২০২৪, ০২:০৪ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

কোটার বিরুদ্ধে জবি শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

চার দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীরা। ছবি : কালবেলা
চার দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীরা। ছবি : কালবেলা

কোটা পুনর্বহালের প্রতিবাদ ও ২০১৮ সালের পরিপত্র পুনর্বহালসহ চার দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। সোমবার (১ জুলাই) বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যানারে এ ছাত্র সমাবেশ করেন শিক্ষার্থীরা।

এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা অনুষদ চত্বর থেকে শিক্ষার্থীদের এ মিছিল শুরু হয়ে বিজ্ঞান অনুষদ ঘুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটকে এসে সমাবেশে পরিণত হয়। সমাবেশটি এরপর রায়সাহেব বাজার ও ভিক্টোরিয়া পার্ক ঘুরে পুনরায় বিশ্ববিদ্যালয়ের মুল ফটকের সামনে এসে শেষ হয়।

এ সময় শিক্ষার্থীরা ‘সারা বাংলায় কবর দে, কোটা প্রথার কবর দে’; ‘বাতিল বাতিল বাতিল চাই, কোটা প্রথার বাতিল চাই’; ‘আঠারোর হাতিয়ার, গর্জে ওঠো আরেকবার’ সহ বিভিন্ন স্লোগান দেন।

সমাবেশে শিক্ষার্থীরা বলেন, সরকার শিক্ষার্থীদের দাবি মেনে নিয়ে ২০১৮ সালে কোটা প্রথা বাতিল করে। হাইকোর্ট পুনরায় এ কোটা বহাল রেখেছে। বঙ্গবন্ধু বৈষম্যবিরোধী বাংলাদেশ গঠনের স্বপ্ন দেখতেন। বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলায় বৈষম্যমূলক কোটা ব্যবস্থা থাকতে পারে না।

বিশ্ববিদ্যালয়ের দশম ব্যাচের শিক্ষার্থী সাজ্জাদ হোসাইন মুন্না বলেন, আমরা চারটি দাবিতে আন্দোলন করছি। আমাদের দাবি না মানা হলে পরবর্তী সময়ে আমাদের লাগাতার কর্মসূচি চলবে। সারাদেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা একযোগে এ কর্মসূচি পালন করবেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী নকিবুল আহসান নিশাদ বলেন, আমাদের দাবি বৈষম্যমূলক কোটা ব্যবস্থায় হাইকোর্টের রায়কে বাতিল করা হোক আর সেই সঙ্গে আমাদের দাবি সরকারি চাকরিতে প্রবেশের ক্ষেত্রে কোটা নয় মেধাকে যাচাই করে চাকরি নিশ্চিত করতে হবে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মতো আমাদের দেশেও কোটা আধুনিকায়ন করতে হবে।

তারা চার দফা দাবি উত্থাপন করেন। শিক্ষার্থীদের চার দফা দাবি হলো-

১. ২০১৮ সালে ঘোষিত সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতি বাতিল ও মেধাভিত্তিক নিয়োগের পরিপত্র বহাল রাখতে হবে;

২. ১৮’ এর পরিপত্র বহাল সাপেক্ষে কমিশন গঠন করে দ্রুত সময়ের মধ্যে সরকারি চাকরিতে (সকল গ্রেডে) অযৌক্তিক ও বৈষম্যমূলক কোটা বাদ দিতে হবে এবং কোটাকে ন্যূনতম পর্যায়ে নিয়ে আসতে হবে। সেক্ষেত্রে সংবিধান অনুযায়ী কেবল অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর কথা বিবেচনা করা যেতে পারে;

৩. সরকারি চাকরির নিয়োগ পরীক্ষায় কোটা সুবিধা একাধিকবার ব্যবহার করা যাবে না এবং কোটায় যোগ্য প্রার্থী না পাওয়া গেলে শূন্য পদগুলোতে মেধা অনুযায়ী নিয়োগ দিতে হবে;

৪. দূর্নীতিমুক্ত, নিরপেক্ষ ও মেধাভিত্তিক আমলাতন্ত্র নিশ্চিত করতে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমলাতান্ত্রিকতার কারণে শিক্ষকরা অনাহারে জীবন-যাপন করছেন : রিজভী

কখনও এক, কখনও তিন ম্যাচ: এমএলএস প্লে-অফের বিভ্রান্তিকর নিয়মের ব্যাখ্যা

থাইল্যান্ডের ই-ভিসা নিয়ে সতর্কবার্তা

সড়কে লবণ ফেলে, কাফনের কাপড় পরে চাষিদের প্রতিবাদ

হত্যা মামলায় ২ ভাইয়ের ফাঁসি

দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন খালেদা জিয়া

বিডিআর বিদ্রোহ মামলায় মুক্তি পেলেন ৩৫ জন

রান্না শিক্ষার কোর্সে ভিড়, সুযোগ পেতে বসতে হলো পরীক্ষায়

মাইকেয়ার হেলথ হাসপাতালে মিনিমাল ইনভেসিভ সার্জারির অত্যাধুনিক মেশিন উদ্বোধন

আবারও কি ব্যালন ডি’অরের দৌড়ে মেসি?

১০

নেতানিয়াহুকে থামাতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে কঠোর পদক্ষেপের আহ্বান এরদোয়ানের

১১

ছবি আসল নাকি এআই দিয়ে তৈরি, মুহূর্তেই জানবেন যেভাবে 

১২

ট্রাকচাপায় সড়কেই প্রাণ গেল বাবা-মেয়ের

১৩

মুফতি মামুনুর রশিদ কাসেমীর জামিন নামঞ্জুর

১৪

আইনগত ও সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান সুপরিকল্পিত রূপান্তরের মধ্য দিয়ে অগ্রসর হচ্ছে : প্রধান বিচারপতি

১৫

রাতে ঘুমানোর আগে পানি খাওয়া ভালো নাকি খারাপ? জেনে নিন

১৬

অতিরিক্ত মূল্যে সার বিক্রির অভিযোগ

১৭

যে কারণে বিয়ের অনুষ্ঠানে নাচেন না রণবীর কাপুর

১৮

নোবিপ্রবি সাংবাদিক সমিতির সভাপতি নাহিদ, সম্পাদক মুদ্দাচ্ছির

১৯

ঢাকায় ৬.৯ মাত্রার ভূমিকম্পে কত প্রাণহানি হতে পারে, জানাল রাজউক

২০
X