নোয়াখালী ব্যুরো
প্রকাশ : ২৫ আগস্ট ২০২৪, ০৯:৫২ পিএম
আপডেট : ২৬ আগস্ট ২০২৪, ১২:৩১ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

সমন্বয়ক জাহিদের হৃদয়বিদারক আবেগঘন পোস্ট

সমন্বয়ক জাহিদুল ইসলাম হাসান (জাহিদ)। ছবি : কালবেলা
সমন্বয়ক জাহিদুল ইসলাম হাসান (জাহিদ)। ছবি : কালবেলা

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে কোটা সংস্কার থেকে সরকার পতনের একদফা আন্দোলন ক্যাম্পাস আর নোয়াখালীর রাজপথে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের গণিত বিভাগের মেধাবী শিক্ষার্থী ও নোবিপ্রবির অন্যতম সমন্বয়ক জাহিদুল ইসলাম হাসান (জাহিদ)। জাহিদের বাড়ি চাঁদপুরের কচুয়া থানার পরানপুরে।

স্বৈরাচারী হাসিনার পতনের পর জাহিদ লেগে পড়েন রাষ্ট্র সংস্কার কাজে। সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের লোকজনের বাড়িঘরের নিরাপত্তা, বাজার মনিটরসহ বিভিন্ন কাজে যুক্ত হয়ে পড়েন। এ সময় তার বাড়ি থেকে বারবার বাড়িতে যেতে বলা হলেও যাবে যাবে বলে আর যাওয়া হয়নি। একপর্যায়ে তার বাবা আব্দুল জাব্বার মিয়াজি অসুস্থ হয়ে গত ২২ আগস্ট মারা যান। এ নিয়ে শনিবার (২৩ আগস্ট) রাতে জাহিদুল ইসলাম তার বাবাকে নিয়ে নিজের ফেসবুকে এক হৃদয়বিদারক আবেগঘন পোস্ট করেন, যা নোবিপ্রবির শিক্ষার্থীসহ নোয়াখালীর হাজারো ছাত্র-জনতাকে কাঁদিয়েছে। পাঠকদের জন্য তার পোস্টটি হুবহুব তুলে ধরা হলো—

‘অ্যাম্বুলেন্সের ভেতরে আমাদের দুই ভাইয়ের চোখের সামনে আমার বাবার মৃত্যু দেখলাম। একজন ছেলের জন্য এর চাইতে কষ্টের কিছু আছে কি না, আমার জানা নাই। এই দৃশ্য দেখার জন্য আমি কখনোই প্রস্তুত ছিলাম না। কতটা অসহায়ের মতো তাকায়া ছিলাম আমি। আমার আব্বার জন্য আমি কিছুই করতে পারলাম না। আমার চোখের সামনে আমার আব্বার চোখের আলো নিভে গেল।

৫ আগস্টের পর ভার্সিটির আন্দোলনসহ নোয়াখালীর স্থানীয় কিছু সমস্যায় আমি বাড়ি যাইতে পারি নাই। আব্বার সাথে যখনি কথা হইত, আব্বা আমাকে প্রত্যেকবার বাড়ি যাওয়ার কথা বলতো। আমি বারবার মিথ্যা আশ্বাস দিতাম। যাব যাব বলে কখনোই আর যেতে পারি নাই। আব্বা আমার জন্য ফ্রিজে কাঁঠাল রেখে দিছিল। আমার সাথে একসাথে খাবে। আমার আব্বা আমাকে কোনোদিন কোনোকিছুতে কষ্ট দেয় নাই। আমি আমার আব্বাকে অনেক কষ্ট দিছি। আমি আমার আব্বার সাথে শেষবারের মতো কথা বলতে পারলাম না, আমার আব্বা আমাকে শেষবারের মতো দেখতে পারলো না; এই যন্ত্রণা আমি কীভাবে বয়ে যাব সারাজীবন। আমি আর কখনো আন্দোলনে যাব না, আপনি শুধু একবার আমারে হাছান বইলা ডাক দেন। আমারে একবারের জন্য বুকে জড়িয়ে নেন। পৃথিবীর সবকিছুর বিনিময়ে আমি একবারের জন্য আপনার মুখ থেকে হাছান ডাকটা শুনতে চাই।’

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

তিন মাসে মোবাইল উদ্ধার ১০৮, টাকা ফেরত সাড়ে ৩ লাখ

এইচএসসির ফল প্রকাশ বৃহস্পতিবার, জানা যাবে যেভাবে

আশুলিয়ায় মরদেহ পোড়ানোর মামলায় ১১তম দিনের সাক্ষ্যগ্রহণ আজ

শ্যামনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দুদকের হানা, ৭ দালালের দণ্ড

রাফা ক্রসিং খোলা হবে কি না, সিদ্ধান্ত জানাল ইসরায়েল

সন্তান ধারণে সমস্যার সমাধান খাবারেই

বিপিএল নিলামের তারিখ চূড়ান্ত, দলগুলোর জন্য আছে সুখবর

চাকসু নির্বাচন : নারী ভোটারদের উপস্থিতি নজরকাড়া

অভিযোগ আসছে ভোটারদের আঙুলের কালি মুছে যাচ্ছে : ছাত্রদলের ভিপি প্রার্থী

‘কীভাবে পরের সিরিজে ভালো করা যায় এটা নিয়ে ভাবছি’

১০

ছাত্রীদের জন্য নিরাপদ ক্যাম্পাস গড়ে তুলতে চাই : সাইদ বিন হাবিব

১১

৩০ মিনিট দেরিতে শুরু হলো চাকসুর ভোট

১২

‘নির্বাচনে কারচুপি করলে কে গ্রহণ করবে’

১৩

ভোট দিয়ে শিক্ষার্থী বললেন, ‘ঈদের আনন্দ লাগছে’

১৪

বাংলাদেশে অভিবাসন ব্যবস্থাপনা শক্তিশালী করতে ‘অভিবাসন ম্যানুয়াল’ প্রকাশ করল আইওএম 

১৫

নিখোঁজের ১৫ দিন পর মরুভূমিতে মিলল সবুজের মরদেহ

১৬

মাইলস্টোনে নিহত পরিবারের পাশে থাকবেন তারেক রহমান : আমিনুল হক 

১৭

গণতন্ত্রের পথে নতুন যাত্রা শুরু করতে চাই : ব্যারিস্টার অসীম

১৮

ইলিশ রক্ষা অভিযানে গিয়ে অস্ত্র খোয়ালেন আনসার সদস্য

১৯

ওয়ানডে র‌্যাংকিংয়ে সোবহানা-ফাহিমার উন্নতি

২০
X