কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ০৩ আগস্ট ২০২৩, ০৪:৪৪ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় ও বাংলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক উন্মেষ রায়। ছবি : সংগৃহীত
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় ও বাংলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক উন্মেষ রায়। ছবি : সংগৃহীত

আমি উম্মেষ রায়। বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক এবং বিভাগীয় প্রধান। সম্প্রতি আমার বিরুদ্ধে নম্বর টেম্পারিংয়ের ভিত্তিহীন একটি অভিযোগ দাখিল করেছেন আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের স্নাতক বর্ষের একজন শিক্ষার্থী লুৎফুর রাহমান।

এর আগেও গত (সাল তারিখ) আমার এবং বাংলা বিভাগের শিক্ষক সঞ্জয় সরকারের বিরুদ্ধে ধর্ম অবমাননার অভিযোগ এনে হেনস্থার শিকার করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল প্রতিক্রিয়াশীল চক্র। আমি বাংলা সাহিত্যের শিক্ষক হিসেবে ক্লাসে ভাষা আন্দোলন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা সম্পন্ন আলোচনা করি বলেই বাংলা বিভাগের একদল প্রতিক্রিয়াশীল শিক্ষার্থী এবং শিক্ষক উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে আমার এবং সঞ্জয় সরকারের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ উঠিয়েছিলেন।

আরও পড়ুন : ববি শিক্ষকের বিরুদ্ধে নম্বর টেম্পারিংয়ের অভিযোগ

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বাংলা বিভাগের কিছু শিক্ষার্থী আমাকে জানিয়েছে, ভাষা আন্দোলনকে ভিত্তি করে লেখা নাটক ‘কবর’ এবং মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক নাটক ‘পায়ের আওয়াজ পাওয়া যায়’ ক্লাসে পড়ানোর সময় এদেশের স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তি, সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠী, প্রতিক্রিয়াশীল ব্যক্তিদের সম্পর্কে উন্মেষ রায়ের গঠনমূলক যৌক্তিক বিশ্লেষণ ক্লাসের প্রতিক্রিয়াশীল শিক্ষার্থীরা গ্রহণ করতে পারেনি। যার কারণে তারা একটি চক্র হয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য বিভাগের শিক্ষার্থীদের কাছে, ব্যাচের ইন্টারনাল ফেসবুক গ্রুপে তাকে নিয়ে যা তা মন্তব্য করতে উসকে দিয়েছে। যার ফলশ্রুতিতেই আমার বিরুদ্ধে এমন চক্রান্তমূলক সংবাদ প্রকাশ করেছে স্বনামধন্য পত্রিকা দৈনিক কালবেলার অনলাইন পোর্টাল।

লুৎফুরের পরিবহনসংক্রান্ত হয়রানিমূলক আচরণের কারণ দেখিয়ে আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে সেটি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। অ্যাম্বুলেন্সকে আসতে নিষেধ করেছি এমন কোনো কথা আমার অ্যাম্বুলেন্স ড্রাইভারের সাথে হয়নি। আর নম্বর টেম্পারিংয়ের বিষয়ে আমার ধারণা নেই। কারণ শিক্ষার্থীদের পরীক্ষার উত্তরপত্র একাধিক শিক্ষকরা দেখেন, সবার সম্মিলিত নম্বরের গড়েই একজন শিক্ষার্থীর ফলাফল আসে।

এখানে একটি বিষয় উল্লেখ করতে চাই, সম্প্রতি বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের প্রভাষক নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। একটি পদ ফাঁকা থাকায় অনেকেই তদবির করে তার পছন্দের ব্যক্তিকে নিয়োগ দেওয়াতে ছিল আগ্রহী। কিন্তু নিয়ম অনুযায়ী, যোগ্য ব্যক্তিই প্রভাষক হিসেবে নিয়োগ পাবেন এটাই স্বাভাবিক। আমার প্রতি এই চক্রান্তকারী মহলের অসন্তোষের এটিও কারণ হতে পারে, যার সূত্র ধরে শিক্ষার্থী লুৎফুরকে ব্যবহার করে অন্য কেউ আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠাতে উত্তে দিয়েছে কি না সেটিও খুঁজে বের করা দরকার।

উন্মেষ রায় সহকারী অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান, বাংলা বিভাগ বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

চাকসুতে কেন্দ্রীয় সংসদে দুই পদে এগিয়ে ছাত্রশিবির, একপদে ছাত্রদল

চবিতে আরও দুই হলের ফল ঘোষণা

কারচুপি হলে বাংলাদেশ অচল করে দেবে ছাত্রদল: রাকিব

সোহরাওয়ার্দী হলে ভিপি-জিএসে এগিয়ে শিবির

সোহরাওয়ার্দী হলে পুনরায় ভোট গণনার দাবিতে ছাত্রদলের বিক্ষোভ

আরেক হলের ফল ঘোষণা, তিন পদেই এগিয়ে ছাত্রদল

হাসপাতালে খালেদা জিয়া

ইসরায়েলি কারাগারে নির্যাতনের বর্ণনা দিলেন গ্রেটা থুনবার্গ

চবিতে মুখোমুখি অবস্থানে ছাত্রদল-ছাত্রশিবির

চাকসুর ফল কারচুপির চেষ্টার অভিযোগে শাহবাগে ছাত্রদলের অবস্থান

১০

৩১ দফা বাস্তবায়নে / বিএনপি’র মনোনয়ন প্রত্যাশী সোহাগের গণসংযোগ ও লিফলেট বিতরণ

১১

চবিতে ২ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন

১২

সেনা হেফাজতে থাকা কর্মকর্তাদের বিচার নিয়ে ভলকার তুর্কের আহ্বান

১৩

বিএনপিকে ধন্যবাদ জানাল জামায়াত

১৪

চাকসু নির্বাচনে আরেক হলের ফল ঘোষণা, ভিপি পদে এগিয়ে ছাত্রদল

১৫

গোমতীর চরে আগাম সবজির চাষ, অধিক লাভের আশা কৃষকের

১৬

নতুন কুঁড়ি প্রতিযোগিতায় জাতীয় পর্যায়ে কেশবপুরের তপস্যা

১৭

গৃহবধূকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ, স্বামী পলাতক

১৮

ইন্দোনেশিয়ায় তেলবাহী ট্যাঙ্কারে ভয়াবহ বিস্ফোরণ, নিহত ১০

১৯

রাত থেকে লাইনে নারী-পুরুষ, সকালে মেলে আটা

২০
X