ঢাবি প্রতিনিধি
প্রকাশ : ১৪ এপ্রিল ২০২৫, ০৮:২৬ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

ঢাবিতে ভালো কাজের হালখাতা : বর্ষবরণের নতুন অনুষঙ্গ 

পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘ভালো কাজের হালখাতা’। ছবি : কালবেলা
পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘ভালো কাজের হালখাতা’। ছবি : কালবেলা

অন্যান্য বছরের চেয়ে অধিক আড়ম্বর ও উৎসবমুখর পরিবেশে নতুন বছরকে বরণ করে নেওয়া হয়েছে এ বছর। নতুন বছরে নতুন অনেক কিছুর পাশাপাশি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে দেখা গেছে ‘ভালো কাজের হালখাতা’। হালখাতাকে ঘিরে বাঁধভাঙা উচ্ছ্বাস দেখা গেছে মানুষের।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে পহেলা বৈশাখ সকাল থেকেই ভালো কাজের হালখাতা দেখা যায়। সেন্টার ফর বেঙ্গল স্টাডিজ নামে একটি গবেষণা প্রতিষ্ঠানের উদ্যোগে এই হালখাতা তৈরি করা হয়েছে।

সন্ধ্যায় সরেজমিনে দেখা যায়, হালখাতায় একপাশে ‘যাহা পাইতে চাই’ ও ‘যাহা হারাইতে চাই’ নামে দুটো অংশ দেখা গেছে। টিএসসিতে ঘুরতে আসা শিক্ষক-শিক্ষার্থী থেকে শুরু করে বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ নিজেদের নতুন বছরে যা পেতে চান এবং যা হারাতে চান সে সকল কিছু লিখছেন প্রবল উচ্ছ্বাসে।

পেতে চাওয়ার তালিকায় স্থান পেয়েছে নাগরিক অধিকার, সুন্দর বাংলাদেশ, বিশ্বের বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়ানো বাংলাদেশ, সুন্দর আগামী, সাম্যবাদ ইত্যাদি। হারাতে চাওয়ার তালিকায় ইজরায়েলের আগ্রাসন থেকে মুক্তি, বেকারত্ব, দুশ্চিন্তা, অসুস্থতা, সাম্রাজ্যবাদ, ইন্ডিয়া, মুদ্রাস্ফীতি ইত্যাদি থেকে মুক্তি পাওয়ার আকাঙ্ক্ষা স্থান‌ পেয়েছে।

এ বিষয়ে সেন্টার ফর বেঙ্গল স্টাডিজের পরিচালক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বলেন, ফ্যাসিবাদী জামানায়, নববর্ষের উদযাপনকে কালচারালি এলিট শ্রেণির একটা বিষয় বলে দাঁড় করানোর চেষ্টা করা হয়েছিল। সাধারণ জনপরিষদ জনসাধারণকে এটা থেকে দূরে ঠেলে দেওয়া হয়েছিল। আমরা জনসাধারণকে নববর্ষের সাথে সম্পৃক্ত করার জন্য এই হালখাতার উদ্যোগ নেই।

তিনি জানান, এই ধারণা এসেছে নববর্ষের প্রথম দিনে ব্যবসায়ীদের যে হালখাতার প্রচলন ছিল সেটি থেকে। প্রথাটি দিন দিন হারিয়ে যাওয়ায় সেটিকে আবার নতুন করে সামনে আনার জন্য এই আয়োজন করা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, খাতাটি সকাল থেকে এখানে রয়েছে এবং এখন পর্যন্ত বিভিন্ন মানুষের পেতে চাওয়া এবং হারাতে চাওয়ার ইচ্ছায় পরিপূর্ণ হয়ে গেছে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ব্যবসায়ীর বাড়ি থেকে ৬ শতাধিক বস্তা সরকা‌রি চাল জব্দ

স্বাস্থ্য পরামর্শ / ছানিজনিত অন্ধত্ব থেকে বাঁচতে চাই সচেতনতা

কৃষি উন্নয়নের নামে কৃষকের ৮ কিমি জায়গা বিলীন করল বিএডিসি

প্রবাসীদের রেমিট্যান্সেই বাংলাদেশ ঘুরে দাঁড়িয়েছে : প্রধান উপদেষ্টা

গতিরোধকে নেই কোনো চিহ্ন, প্রধান সড়কে উল্টে গেল ট্রাক

অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার জন্য যুবদল নেতা নয়নের দুঃখ প্রকাশ

ইডেন কলেজে ‘সাধারণ শিক্ষার্থী’ নাম ব্যবহার করে বিবৃতি নিয়ে বিভ্রান্তি 

সংখ্যালঘু নির্যাতনের বিচার ও ক্ষতিপূরণ দাবি হিন্দু নেতাদের

রাস্তায় ফেলে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের নেত্রীকে মারধর  

এবার পাকিস্তানের বিপক্ষেও সিরিজ হারল বাংলাদেশ

১০

সেমিনারে ঢাবি অধ্যাপক  / পুলিশ রিমান্ডে জোরপূর্বক স্বীকারোক্তি আদায় বিচারিক প্রক্রিয়ায় পদ্ধতিগত সহিংসতা

১১

ইসরায়েলকে ঠেকাতে ছেলেকে পাঠিয়ে ইরানকে সতর্ক করল সৌদি বাদশা!

১২

হৃদরোগ সচেতনতা সুস্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত জরুরি : ডা. জুবাইদা রহমান

১৩

এসএ গেমসে ৬৫০ জনের বাংলাদেশ কন্টিনজেন্ট চূড়ান্ত

১৪

কাবাডির ফাইনালে সেনাবাহিনী ও পুলিশ

১৫

ভূপাতিত ৫ ভারতীয় যুদ্ধবিমান, স্বীকারোক্তি বিজেপি নেতার!

১৬

ছাত্রাবাসে ৫ ব্যবসায়ীকে জিম্মি করে মুক্তিপণ দাবি, ছাত্রলীগ নেতা আটক

১৭

পালিয়ে থেকেও শেষরক্ষা হলো না রাকিবের

১৮

সাকিব ইস্যুতে যা বললেন বিসিবির নতুন সভাপতি

১৯

সিরিজ বাঁচাতে রানের পাহাড় টপকাতে হবে বাংলাদেশকে

২০
X