গাজীপুরের ডিজিটাল ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তনের দাবিতে টানা ২৫ ঘণ্টা ধরে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সামনে অনশন কর্মসূচি পালন করছেন।
বৃহস্পতিবার (২২ মে) উপদেষ্টা পরিষদের সভায় বিশ্ববিদ্যালয়টির নাম পরিবর্তন সংক্রান্ত প্রস্তাব উঠতে পারে, এমন আশায় তারা আন্দোলনের ইতিবাচক ফলাফলের অপেক্ষায় রয়েছেন। সভা থেকে অনুকূল সিদ্ধান্ত এলেই তারা আন্দোলন স্থগিত করবেন বলে জানিয়েছেন।
এর আগে, বুধবার সকাল ৯টা থেকে শুরু হওয়া এই অনশন কর্মসূচিতে শিক্ষার্থীরা নাম পরিবর্তনের দাবিতে অনড় রয়েছেন। অনশন চলাকালে এক শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয় এবং প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তিনি আবার আন্দোলনস্থলে ফিরে আসেন। বর্তমানে ১১ জন শিক্ষার্থী অনশনে রয়েছেন।
আন্দোলনকারীরা আশা করছেন, আজকের কেবিনেট সভায় সরকার তাদের দাবির প্রতি সদয় হবে এবং দ্রুততম সময়ের মধ্যে সঠিক সিদ্ধান্ত নেবে। অন্যথায় তারা অনশন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।
শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য চারটি বিকল্প নাম প্রস্তাব করেছেন: বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজি, বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব ইনফরমেশন অ্যান্ড টেকনোলজি, বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব অ্যাডভান্সড টেকনোলজি এবং বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব ফ্রন্টিয়ার টেকনোলজি। তাদের দাবি, এই নামগুলোর যেকোনো একটি নির্ধারণ করা হোক।
এর আগে, গত সোমবার সকালে ‘লংমার্চ টু ইউজিসি’ কর্মসূচির আওতায় গাজীপুরের কালিয়াকৈরে অবস্থিত বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস থেকে রওনা হয়ে শিক্ষার্থীরা ইউজিসির সামনে অবস্থান নেন। ইউজিসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক এস এম এ ফায়েজ গত মঙ্গলবার তাদের সঙ্গে কথা বলেছেন এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করেছেন।
ইউজিসির ভাষ্য অনুযায়ী, নাম পরিবর্তনের এখতিয়ার তাদের হাতে নেই, কারণ এর জন্য আইন পরিবর্তনের প্রয়োজন, যা কেবলমাত্র সরকার করতে পারে। ইউজিসি এ বিষয়ে কেবল সুপারিশ করতে পারে, যা তারা ইতিমধ্যেই করেছে।
শিক্ষার্থীরা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি বিনীত অনুরোধ জানিয়ে বলেছেন, ‘শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ, মানসিক চাপ ও সামাজিক মর্যাদার বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে দয়া করে দ্রুত, সুস্পষ্ট ও কার্যকর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করুন।’
মন্তব্য করুন