কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ১৯ আগস্ট ২০২৫, ০১:০১ পিএম
আপডেট : ১৯ আগস্ট ২০২৫, ০১:০৭ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

জুলাইয়ে সড়কে ঝরেছে ৪১৮ প্রাণ

ছবি : কালবেলা গ্রাফিক্স
ছবি : কালবেলা গ্রাফিক্স

চলতি বছরের জুলাই মাসে দেশে মোট ৪৪৩টি সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন ৪১৮ জন এবং আহত হয়েছেন ৮৫৬ জন। নিহতদের মধ্যে ৭২ জন নারী ও ৫৩ জন শিশু রয়েছে।

মঙ্গলবার (১৯ আগস্ট) বেসরকারি সংস্থা রোড সেফটি ফাউন্ডেশন এক প্রতিবেদনে এ তথ্য তুলে ধরেছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, সংস্থাটি ৯টি জাতীয় দৈনিক, ৭টি অনলাইন নিউজ পোর্টাল, বিভিন্ন ইলেকট্রনিক মিডিয়া এবং নিজস্ব তথ্যের ভিত্তিতে এ প্রতিবেদনটি প্রস্তুত করা হয়েছে। এতে উল্লেখ করা হয়, সড়ক দুর্ঘটনার পাশাপাশি নৌপথে দুর্ঘটনায় ৬ জন এবং রেলপথে দুর্ঘটনায় ১৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। সব মিলিয়ে মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪৪২ জন।

এতে বলা হয়, নিহতদের মধ্যে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ১০৯ জন, পথচারী ৯২ জন এবং বিভিন্ন যানবাহনের চালক ও সহকারী ৫৬ জন রয়েছেন। এর বাইরে অঞ্চলভিত্তিক হিসেবে সবচেয়ে বেশি ১০৫ জন প্রাণ হারিয়েছেন ঢাকা বিভাগে। একক জেলা হিসেবে ঢাকায় সর্বোচ্চ ৩৪ জনের মৃত্যু হয়েছে, যার মধ্যে রাজধানীতে ঘটে যাওয়া ২৬টি দুর্ঘটনায় প্রাণ গেছে ১৯ জনের।

রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সড়ক দুর্ঘটনার মূল কারণগুলোর মধ্যে রয়েছে ত্রুটিপূর্ণ যানবাহন ও সড়ক, অতিরিক্ত গতি, চালকদের নির্দিষ্ট বেতন ও কর্মঘণ্টার অভাব, তরুণ ও যুবকদের বেপরোয়া মোটরসাইকেল চালানো, সাধারণ মানুষের ট্রাফিক আইন সম্পর্কে অজ্ঞতা ও তা না মানার প্রবণতা, এবং দুর্বল ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা।

সময়ভিত্তিক বিশ্লেষণে সংস্থাটি দেখিয়েছে, সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে ভোরে ৪.৯৬ শতাংশ, সকালে ২৯.৫৭ শতাংশ, দুপুরে ২১.৮৯ শতাংশ, বিকেলে ১৭.১৫ শতাংশ, সন্ধ্যায় ১১.০৬ শতাংশ এবং রাতে ১৫.৩৪ শতাংশ।

অঞ্চলভিত্তিক পরিসংখ্যানে সবচেয়ে বেশি দুর্ঘটনা ঘটেছে ঢাকা বিভাগে (২৬.৪১ শতাংশ) এবং সবচেয়ে কম ময়মনসিংহ বিভাগে (৭.২২ শতাংশ)। শুধু ঢাকা বিভাগেই ১১৭টি দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন ১০৫ জন। একক জেলা হিসেবে ঢাকায় সর্বোচ্চ ৪৭টি দুর্ঘটনায় ৩৪ জন নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে রাজধানীতে ঘটে যাওয়া ২৬টি দুর্ঘটনায় ১৯ জনের মৃত্যু এবং ৩৮ জন আহত হওয়ার ঘটনা নথিভুক্ত হয়েছে।

সড়ক দুর্ঘটনা কমাতে রোড সেফটি ফাউন্ডেশন বেশকিছু সুপারিশ করেছে। এগুলো হলো-

১. দক্ষ চালক তৈরির উদ্যোগ জোরদার করা। ২. চালকদের নির্দিষ্ট বেতন ও কর্মঘণ্টা নির্ধারণ। ৩. বিআরটিএর কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি। ৪. পরিবহন মালিক-শ্রমিক, যাত্রী ও পথচারীদের ক্ষেত্রে ট্রাফিক আইন কঠোরভাবে প্রয়োগ। ৫. মহাসড়কে স্বল্পগতির যানবাহন চলাচল বন্ধ করে সেগুলোর জন্য আলাদা সার্ভিস রোড তৈরি। ৬. ধাপে ধাপে সব মহাসড়কে রোড ডিভাইডার নির্মাণ। ৭. গণপরিবহনে চাঁদাবাজি বন্ধ। ৮. রেল ও নৌপথ উন্নয়ন করে সড়ক পরিবহনের ওপর চাপ হ্রাস। ৯. টেকসই পরিবহন কৌশল প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন। ১০. সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮ নিরবচ্ছিন্নভাবে বাস্তবায়ন।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

‘বিএনপি ছাড়া দেশে শান্তি আসবে না’

এক ইলিশ ১০ হাজার টাকা

ভাতের হোটেলের পাওনা চাওয়ায় গুলি

ব্যক্তি স্বার্থে দলকে ব্যবহার করা যাবে না : সেলিমুজ্জামান

‘জনগণের অধিকার ও মৌলিক চাহিদা নিশ্চিত করতে কাজ করছে বিএনপি’

নিউইয়র্কের প্রবাসীদের এনআইডি কার্যক্রমের উদ্বোধন

কুয়েতে প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য সুখবর

ফের জামায়াতের সমালোচনা করলেন হেফাজত আমির

জবি ক্যাম্পাসে ছাত্রদল নেতা হাসিবুলের প্রথম জানাজা সম্পন্ন

গণতন্ত্রে উত্তরণে বিশ্বের সমর্থন পাওয়া গেছে : মির্জা ফখরুল

১০

আমরা পা ছেড়ে মাথার রগে ফোকাস করছি, মজার ছলে সর্ব মিত্র

১১

নাটকীয় ম্যাচ জিতে টাইগারদের সিরিজ জয়

১২

জবি ছাত্রদল নেতার মৃত্যুতে হাসপাতালে ভিপি সাদিক কায়েম

১৩

হঠাৎ খিঁচুনিতে জবি ছাত্রদল নেতার মৃত্যু

১৪

আবারও ইনজুরিতে ইয়ামাল

১৫

ঈদগাহের নামকরণ নিয়ে দ্বন্দ্ব, দুই গ্রামবাসীর সংঘর্ষ

১৬

খুলনায় ছেলের হাতে বাবা খুন

১৭

চাকসু নির্বাচন / ১৫ সেকেন্ডে দিতে হবে ১ ভোট

১৮

‘ভোটের অধিকার না থাকায় শ্রমজীবীরা বেশি অমর্যাদার শিকার’

১৯

এক গ্রামে ১১ জনের শরীরে মিলল অ্যানথ্রাক্সের উপসর্গ

২০
X