জবি প্রতিনিধি
প্রকাশ : ৩০ জুন ২০২৫, ০৫:১৩ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

জবিতে ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধ-পরবর্তী প্রভাব বিষয়ে আলোচনা সভা

জবিতে ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধ-পরবর্তী প্রভাব বিষয়ে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত। ছবি : কালবেলা
জবিতে ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধ-পরবর্তী প্রভাব বিষয়ে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত। ছবি : কালবেলা

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ইরান ও ইজরায়েল এবং আমেরিকা যুদ্ধের পরবর্তী প্রভাব সম্পর্কিত একাডেমিক আলোচনা সভা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি) অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সোমবার (৩০ জুন) বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলরের কনফারেন্স হলে এ আলোচনা সভার আয়োজন করে গ্লোবাল সাউথ স্টাডিজ অ্যান্ড রিসার্চ সেন্টার (জিএসএসআরসি)।

আলোচনা সভায় গবেষক, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা মধ্যপ্রাচ্যের উত্তেজনাপূর্ণ ভূরাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং এর আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক প্রভাব নিয়ে গভীর বিশ্লেষণ ও মতবিনিময় করেন।

এ সময় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজনৈতিক বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ নুরুজ্জামান।

তিনি বলেন, ‘ইরান-ইসরায়েল-মার্কিন যুদ্ধ আসলে একাধিক স্তরে সংঘটিত হয়েছে—রাজনৈতিক, সামরিক ও আদর্শিক। এই সংঘাত শুধু একটি অঞ্চল নয়, গোটা বৈশ্বিক শক্তি কাঠামোকে নাড়িয়ে দিয়েছে। ইসরায়েলের কথিত সামরিক অজেয়তা আজ প্রশ্নবিদ্ধ এবং ইরান এখন একটি পরমাণু শক্তি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করতে যাচ্ছে, যার ফলে ওয়াশিংটনের সঙ্গে তেহরানের সম্পর্ক সম্পূর্ণরূপে ভেঙে পড়ার মুখে এসেছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘এই যুদ্ধ প্রমাণ করেছে, মধ্যপ্রাচ্যে দীর্ঘস্থায়ী সমাধান সম্ভব নয়, যদি আমরা আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক শক্তিগুলোর কাঠামোগত দ্বন্দ্ব ও স্বার্থসংঘর্ষকে সঠিকভাবে না বুঝি। চীনের বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভের অগ্রগতি কিংবা রাশিয়ার নীরবতা—সবই দেখায়, বর্তমান ভূরাজনীতি একবহুমুখী শক্তির দিকে এগোচ্ছে।’

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ছিলেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. রেজাউল করিম।

তিনি বলেন, ‘শিয়া-সুন্নি বিরোধ নিরসন করে পারস্পরিক বন্ধুত্ব ও সম্প্রীতির বন্ধন গড়ে তোলা আজ সময়ের দাবি। মুসলিম উম্মাহর ঐক্য ও সংহতি রক্ষায় এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’

এছাড়াও তিনি আন্তর্জাতিক রাজনীতি এবং বৈশ্বিক প্রেক্ষাপট শিক্ষার্থীদের গভীরভাবে অনুধাবন করার ওপর জোর দেন।

জিএসএসআরসির পরিচালন অধ্যাপক ড. মো. রইস উদ্দিনের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন ট্রেজারার প্রফেসর ড. সাবিনা শারমিন। এ ছাড়া স্বাগত বক্তব্য রাখেন ডেপুটি ডিরেক্টর মেজবাহ-উল-আজম সওদাগর।

ডেপুটি ডিরেক্টর ড. মো. আনিসুর রহমানের সঞ্চালনায় আরো বক্তব্য দেন জবির ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ বিলাল হোসেন এবং গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আনোয়ারুস সালাম।

অনুষ্ঠানের শেষ অংশে অনুষ্ঠিত হয় একটি প্রশ্নোত্তর পর্ব, যেখানে বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক, গবেষক ও শিক্ষার্থীরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করেন।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

যে প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করলেন ইউনূস-রুবিও

করোনার ‘ভুল রিপোর্ট দিয়ে প্রতারণা’, অতঃপর...

ইরানে একাধিক ইউরোপীয় নাগরিক গ্রেপ্তার

ঢাবি শিক্ষার্থী সৌমিকের মৃত্যু নিয়ে ধোঁয়াশা

ছাত্রদল কর্মীর নেতৃত্বে হাবিপ্রবিসাসের অফিসরুম ভাঙচুর

গাজাবাসীর জন্য বিশেষ ভিসা চালু করতে স্টারমারকে ব্রিটিশ এমপিদের চিঠি

পাবিপ্রবিতে শিক্ষাবৃত্তি ও গবেষণা প্রণোদনা প্রদান

ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনে নারীদের অবদান নিয়ে বিএনপির কমিটি

মেহেরপুরে পৃথক দুই মামলায় দুজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

ডিএনএ বায়োল্যাব-এইচজিআরটিসির মধ্যে সমঝোতা স্মারক সই

১০

এবার প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে ফোনালাপ নিয়ে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের বার্তা

১১

জবির স্নাতক প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষায় আয় ১২ কোটি টাকা  

১২

সন্তানের কলেজ থেকে ফিরছিলেন দম্পতি, ট্রেনে কাটা পড়ে নিহত

১৩

শ্রীলীলার পারিশ্রমিক বেড়ে দ্বিগুণ

১৪

‘যতদিন ফুটবল ভালোবাসব, খেলে যাব’—ভবিষ্যৎ নিয়ে খোলামেলা নেইমার

১৫

যেভাবে বদলে গেল এনবিআর সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদের সিদ্ধান্ত

১৬

ডিসি-এসপিদের কর্তৃত্ব বাদ, ক্ষমতা পেলেন ইসি কর্মকর্তারা

১৭

ইসরায়েলি সেনাছাউনি জ্বালিয়ে দিল ইহুদিরা

১৮

ইসরায়েলের বিপক্ষে বিশ্বকাপে খেলতে অস্বীকৃতি জর্ডানের

১৯

দ্রুত শরীয়তপুর কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রম চালুর দাবি

২০
X