গণিত ভীতি দূর করতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষার্থীদের প্রচেষ্টায় বের হয়েছে ‘গল্পে গল্পে গণিত শিখি’ বই। শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের সহকারী অধ্যাপক শারমীন কবীর ও ইনস্টিটিউটের একদল শিক্ষার্থী এ বইটি তৈরি করেন।
মঙ্গলবার (৫ সেপ্টেম্বর) ইনস্টিটিউট প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হয় বইয়ের প্রকাশনা উৎসব। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের পরিচালক প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আবদুল হালিম এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য প্রফেসর ড. এম. অহিদুজ্জামান।
এছাড়াও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিউটের শিক্ষকবৃন্দ এবং বিভিন্ন ব্যাচের শিক্ষার্থী। বইটি কিভাবে ৬ষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের গণিত শিখনে সহায়তা করবে সে বিষয়ে শিক্ষকবৃন্দ ও রাইটার্স প্যানেলের শিক্ষার্থীরা কথা বলেন।
শিক্ষার্থীরা বলেন, বইটির মূল লক্ষ্য হবে শিক্ষার্থীদের মধ্যে গণিত ভীতি দূর করা এবং আনন্দদায়ক গণিত শিখনে সহায়তা করা। বইটিতে গল্পের মাধ্যমে বিভিন্ন গাণিতিক বিষয়বস্তুর সাথে আছে আকর্ষণীয় চরিত্র যেগুলো শিক্ষার্থীদের মন জয় করবে বলে তারা আশা করছেন।
এরপর বইটির মোড়ক উন্মোচন করেন প্রধান অতিথি, বিশেষ অতিথি এবং শিক্ষকবৃন্দ।
প্রধান অতিথি প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আবদুল হালিম শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউট থেকে এমন উদ্যোগকে সাধুবাদ জানান এবং ভবিষ্যতেও এমন বই প্রকাশের জন্য উদ্যোগী হওয়ার তাগিদ দেন। সেই সাথে ইন্সটিটিউট সবসময় এধরনের উদ্যোগে শিক্ষকদের পাশে থাকবে বলে আশ্বাস প্রদান করেন।
‘গল্পে গল্পে গণিত শিখি’ বইটি আমাদের জন্য গৌরব বয়ে আনবে এবং শিক্ষার্থীদের গণিতের মৌলিক জ্ঞান ও দক্ষতাসমূহ অর্জনে সহায়তা করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন বিশেষ অতিথি ড. এম অহিদুজ্জামান।
বইটির সম্পাদক ও স্বত্বাধিকারী শারমীন কবীর তার বক্তব্যে বলেন, ‘প্রত্যেক মানুষ-ই অন্তরে ভালো কিছু করার তাড়না অনুভব করে। সে তাড়না থেকেই শিক্ষা ও গবেষণা ইন্সটিটিউটের শিক্ষার্থীরা এই বইটি রচনা করেছে।’
ভবিষ্যতে এই ধরণের কাজকে আরও এগিয়ে নেবার প্রত্যয় ব্যক্ত করে তিনি তরুণ প্রজন্মকে সম্মিলিতভাবে সমাজ গঠনে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।
তিনি আরও বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের উদ্যোগেই এমন বই রচনার স্বপ্ন আজ সত্যি হয়েছে।’
পরবর্তীতে অন্যান্য শ্রেণির জন্যও এ ধরনের আকর্ষণীয় বই রচনা করা হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
মন্তব্য করুন