

এলাকায় আধিপত্য বিস্তার, জমিসংক্রান্ত বিরোধ ও পূর্বশত্রুতার জেরে সাংবাদিক এমদাদুল হক মিলনকে হত্যা করা হয়েছে বলে ধারণা পুলিশের। এ ঘটনায় এখনো কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। দায়ের হয়নি মামলাও।
খুলনা মহানগর পুলিশের (কেএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (উত্তর) সুদর্শন রায় বলেন, ‘এমদাদুল হক মিলন হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ঘেরের জমিসংক্রান্ত বিরোধ ও এলাকাভিত্তিক পূর্বশত্রুতার জেরসহ তিন-চারটি বিষয়কে গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে। আশা করছি, দ্রুত এ হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদ্ঘাটনসহ খুনিদের গ্রেপ্তার করা সম্ভব হবে।’
কেএমপির আড়ংঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহাজাহান আহমেদ জানান, পরিবারের পক্ষ থেকে এখনো পর্যন্ত কেউ থানায় মামলা করতে আসেনি। ঘটনাস্থলের আশপাশের সিসি ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়েছে। সেখানে কাউকে শনাক্ত বা মোটরসাইকেলের নম্বর শনাক্ত করা সম্ভব হচ্ছে না। তা ছাড়া স্থানীয়রা হত্যাকাণ্ডের ব্যাপারে মুখ খুলছে না।
গত বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) রাত ৯টার দিকে শালুয়া বাজারে বসে চা খাচ্ছিলেন এমদাদুল হক মিলন। এ সময় দুটি মোটরসাইকেলযোগে চারজন অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী শলুয়া বাজারে এসে দুই রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুড়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করে। পরে সাংবাদিক এমদাদুল মিলনের মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে গুলি করলে ঘটনাস্থলে তার মৃত্যু হয়।
এ সময় সন্ত্রাসীদের ছোড়া গুলিতে স্থানীয় পশু চিকিৎসক দেবাশীষ বিশ্বাস আহত হন। স্থানীয়রা তাকে চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। তার অবস্থা সংকটাপন্ন।
স্থানীয়রা জানান, সাংবাদিক এমদাদুল হক মিলন শলুয়া বাজার কমিটির সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। তিনি একটি নিউজ পোর্টালে কাজ করতেন। আড়ংঘাটা প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন। ৪-৫ মাস আগেও তার ওপর সন্ত্রাসী হামলা হয়েছিল। সেবার তিনি প্রাণে বেঁচে যান। ওই ঘটনায় এলাকাবাসী সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তারে মানববন্ধন করেছিল।
মন্তব্য করুন