

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু) নির্বাচনের দুই সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও এখনো আসন বুঝে পাননি নির্বাচিত প্রতিনিধিরা। গত ১৫ অক্টোবর ভোটগ্রহণ ও ২৩ অক্টোবর শপথ গ্রহণ সম্পন্ন হলেও আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু করতে পারেননি তারা।
সর্বশেষ সিন্ডিকেটে চাকসু ভবন সংস্কারের জন্য বাজেট ছিল প্রায় ৩৫ লাখ টাকা। তবে নির্বাচিত প্রতিনিধিরা এখনো নিজ নিজ অফিসকক্ষ বা আসন বুঝে পাননি। ফলে তাদের জন্য আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু করা কঠিন হয়ে পড়েছে। অসুবিধার মধ্যে পড়তে হয়েছে শিক্ষার্থীদের।
বিশেষ করে আবাসিক ও অনাবাসিক শিক্ষার্থীরা খাবার, হলের সেবা এবং অন্যান্য সাধারণ শিক্ষাজীবনসংক্রান্ত সমস্যার জন্য নির্বাচিত প্রতিনিধিদের সাথে কথা বা দেখা করার চেষ্টা করলেও নির্দিষ্ট আসন বা ভবন না থাকায় কোনো অসুবিধার মধ্যে পড়তে হয়েছে তাদের।
এ বিষয়ে ২৩-২৪ সেশনের শিক্ষার্থী আবু নোমান বলেন, ‘এটা প্রশাসনের ব্যর্থতা বলে আমি মনে করি। চাকসু হয়ে যাওয়ার পরও নির্বাচিত প্রতিনিধিরা এখনো তাদের আসন বুঝে পাননি। এর ফলে চাকসুর কার্যক্রম কিছুটা হলেও স্থবির হয়ে আছে। শিক্ষার্থীরা যেন এখনো আগের মতো তাদের দাবি-দাওয়া ফেসবুকে তুলে ধরছে।’
এ বিষয়ে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (চাকসু) জিএস সাঈদ বিন হাবিব বলেন, ‘যেহেতু আমাদের নির্দিষ্ট কোনো অফিসকক্ষ নেই, তাই আমাদের কার্যক্রমে অসুবিধা হচ্ছে। শিক্ষার্থীরা তাদের সমস্যাগুলো সরাসরি এসে জানাতে পারছে না। তারা ফোনের মাধ্যমে যোগাযোগের চেষ্টা করছে। প্রশাসনের উচিত ছিল নির্বাচন দেওয়ার আগে ভবনটি মেরামত করা। শপথ গ্রহণের পরও আমরা এখনো আমাদের নির্দিষ্ট জায়গা বুঝে পাইনি। বর্তমানে সম্পাদক সংখ্যায় বেশি হওয়ায় বসার কিছু সমস্যা হলেও, সবাইকে মিলেমিশে কাজ করতে হবে।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (চাকসু) পরিচালক জাহেদুর রহমান চৌধুরী বলেন, ‘নির্বাচিত প্রতিনিধিদের আসন বরাদ্দ দেওয়ার কাজ চলমান রয়েছে। খুব শিগগিরই তা সম্পূর্ণ করা হবে। সম্পাদকের সংখ্যা বেশি হওয়ায় কিছুটা বিলম্ব হচ্ছে। তবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সঙ্গে নির্বাচিত প্রতিনিধিদের এ বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। অতি দ্রুতই তাদের আসন বুঝিয়ে দেওয়া হবে।’
মন্তব্য করুন