

ভূমিকম্প আতঙ্কে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ভিসির বাসভবনের সামনে শুয়ে পড়েছেন মহসিন হলের কিছু শিক্ষার্থী। শনিবার (২২ নভেম্বর) রাত সাড়ে ১১টার দিকে হল ছেড়ে ভিসির বাসভবনের সামনে শুয়ে পড়েন তারা।
শিক্ষার্থীরা বলেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ করলে কি এই সমস্যার সমাধান হবে? যেহেতু এটি একটি প্রাকৃতিক দুর্যোগ, তাই যেকোনো মুহূর্তে হানা দিতে পারে। আমরা এই সিদ্ধান্ত মেনে নিতে পারছি না। আমরা ঝুঁকি নিয়ে কীভাবে পড়ালেখা করব কিংবা সেখানে থাকব, এই জন্য ভিসির বাসভবনের সামনে অবস্থান নিয়েছি। তাছাড়া অনেকের বাসায় সমস্যা থাকে, তাই তারা বাসাতে যেতে চান না। হলেই থাকতে চান। তাদের কথাও তো প্রশাসনকে ভাবা উচিত।’
তারা আরও বলেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাচীন হলগুলোর মধ্যে একটি হলো মহসিন হল। এই হল অন্য হলের তুলনায় অনেক বেশি পুরাতন হাওয়ায় সাধারণ দিনেও প্লাস্টার খুলে খুলে পড়ে যায়। আমরা এটা নিয়ে অনেকবার প্রশাসনকে জানিয়েছি, কিন্তু কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।’
‘আমরা সব সময় ভয়ে থাকি। এখন ঢাকার যে অবস্থা আমরা হলে থাকাকালীন আমাদের কাছে মনে হয়, আজকের দিনটাই শেষ দিন। আমাদের সহপাঠী কিংবা বড় ভাইয়েরা বিসিএস-এর জন্য প্রিপারেশন নিচ্ছে। এই চিন্তা থেকে তাদের পড়ালেখাতেও ব্যাপক ব্যাঘাত ঘটছে।’
এর আগে, ভূমিকম্প পরবর্তী উদ্ভূত জরুরি পরিস্থিতিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আগামী ৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত বন্ধ ঘোষণা দেওয়া হয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেটের এক জরুরি সভায় এ ঘোষণা দেওয়া হয়। উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খানের সভাপতিত্বে ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠিত এ সভায় সিন্ডিকেট সদস্যরা যুক্ত ছিলেন।
সভায় আগামী ৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল ক্লাস ও পরীক্ষা বন্ধ রাখা এবং আবাসিক হলসমূহ খালি করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এ জন্য রোববার বিকেল ৫টার মধ্যে আবাসিক হলসমূহ খালির প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রাধ্যক্ষদের প্রতি অনুরোধ জানানো হয়েছে।
মন্তব্য করুন