

টানা প্রায় সাত ঘণ্টা (৬ ঘণ্টা ৫২ মিনিট) পর রেলপথ অবরোধ তুলে নিয়েছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা।
শনিবার (২২ নভেম্বর) রাত ১০ টা ২২ মিনিটে রাবির ভিসি অধ্যাপক সালেহ হাসান নকীব ও পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের জিএম ফরিদ আহমেদের আশ্বাসে এ অবরোধ তুলে নেন শিক্ষার্থীরা। এরপর রাজশাহীর সঙ্গে সারাদেশে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থী মাহবুব আলম বলেন, পিএসসিতে মিটিং চলছে। মিটিংয়ের সিদ্ধান্ত আমাদের পক্ষে আসবে জানানো হয়েছে। তাই আমরা রাবির ভিসি ও পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের জিএম-এর আশ্বাসে অবরোধ তুলে নিয়েছি। মিটিংয়ে আমাদের পক্ষে পজেটিভ কোনো সিদ্ধান্ত যদি না আসে, তাহলে আগামীকাল (রোববার) সকাল থেকে সড়ক ও রেলপথ অবরোধ করা হবে।
জানতে চাইলে রাজশাহী রেলওয়ে স্টেশন ম্যানেজার মোহাম্মদ জিয়াউল হাসান কালবেলাকে বলেন, শিক্ষার্থীরা রাত ১০টা ২২মিনিটে অবরোধ তুলে নেয়। পরে ১০টা ৪০মিনিটে ঢাকাগামী পদ্মা এক্সপ্রেস ট্রেন ঢাকার উদ্দেশে রাজশাহী রেলওয়ে স্টেশন ছেড়ে যায়। পর্যায়ক্রমে বাকি ট্রেনগুলো যাবে। এখন পর্যন্ত আমরা কোনো ট্রেনের যাত্রা বাতিল করিনি। তবে যেসব যাত্রী ভ্রমণে অপারগতা দেখিয়েছে, তাদের টাকা ফেরত দেওয়া হয়েছে। অবরোধের কারণে শিডিউল বিপর্যয় হয়েছে। আশা করছি সেটিও আমরা সামলে উঠতে পারব।
এর আগে পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ে ব্যবস্থাপনা পরিচালক (জিএম) ফরিদ আহমেদ আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলেন। পরে তিনি সাংবাদিকদের জানান, এখনো কোনো ট্রেন বাতিলের ঘোষণা দেওয়া হয়নি। আন্দোলনকারীদের সাথে কথা বললাম, এখন আমরা পর্যালোচনা করে যদি দরকার হয়, আমরা যদি মনে করি বাতিল করার প্রয়োজন আছে, তাহলে আমরা বাতিল করার সিদ্ধান্ত দেব।
তিনি বলেন, টিকিট রিফান্ড করা হচ্ছে, অলরেডি আমরা সিদ্ধান্ত দিয়ে দিয়েছি, রিফান্ড হচ্ছে।
উল্লেখ্য, ৪৭তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষার তারিখ পিছিয়ে ‘যৌক্তিক’ সময়ে গ্রহণের দাবিতে এবং শিক্ষার্থীর উপর হামলার প্রতিবাদে শনিবার বিকাল সাড়ে ৩টায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন স্টেশন বাজারে ঢাকা-রাজশাহী রেললাইন অবরোধ করে রাখে শিক্ষার্থীরা। এ সময় তারা বিভিন্ন স্লোগান দিয়ে বিক্ষোভ করতে থাকেন। অবশেষে টানা পৌনে সাত ঘণ্টা শিক্ষার্থীদের দাবি মেনে নেওয়ার আশ্বাস দিলে তারা অবরোধ তুলে নেন।
মন্তব্য করুন