ইবি প্রতিনিধি
প্রকাশ : ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৮:১৯ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

ছাত্রলীগের হাতে ইবি কর্মকর্তা সমিতির সভাপতি লাঞ্ছিত

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়। গ্রাফিক্স : কালবেলা
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়। গ্রাফিক্স : কালবেলা

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) শাখা ছাত্রলীগ কর্তৃক ইবি কর্মকর্তা সমিতির সভাপতি লাঞ্ছিত হয়েছেন। মঙ্গলবার (১৯ সেপ্টেম্বর) দুপুর ২টার দিকে ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নাসিম আহমেদ জয়ের নেতৃত্বে প্রশাসন ভবনের এক কর্মকর্তার রুমে এ ঘটনা ঘটেছে। বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে সংবাদ সম্মেলন করে এ অভিযোগ করেন কর্মকর্তা সমিতির সভাপতি এটিএম এমদাদুল আলম। এ সময় ঘটনাস্থলে প্রক্টর উপস্থিত থাকার পরও কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি বলে অভিযোগ করেন তিনি।

সাংবাদিকদের তিনি বলেন, দুপুর ২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী আমার ওপর হামলার চেষ্টা করে এবং আমাকে খুবই খারাপভাবে লাঞ্ছিত করে। সে সময় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নাসিম আহমেদ জয় সেখানে উপস্থিত ছিলেন। তার সামনেই আমাকে লাঞ্ছিত করা হয়। এ সময় আমি তাকে ডাকলে সে আমার কথা শোনেনি। মূলত তার নেতৃত্বেই এটি সংঘটিত হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে কর্মকর্তা সমিতির সভাপতি আরও অভিযোগ করে বলেন, ঘটনাস্থলে প্রক্টর উপস্থিত থাকার পরেও কোনো ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করেননি।

জানা যায়, ১৬ দফা দাবি আদায়ে গত ২ সেপ্টেম্বর অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতির ঘোষণা দেয় ইবি কর্মকর্তা সমিতি। তবে প্রশাসন ভবনের নিচতলায় হিসাব বিভাগের আসাদুজ্জামান মাখন নামে এক কর্মকর্তা হিসাব বিভাগ সংশ্লিষ্ট কাজ চালিয়ে গেলে তাকে কর্মকর্তা সমিতির সভাপতি এটিএম এমদাদুল আলম নিষেধ করেন। এ সময় প্রশাসনের নির্দেশে কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন বলে তিনি জানান। পরে কর্মকর্তা সমিতির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কর্মবিরতি পালনের কথা বলেন তিনি।

কর্মকর্তা সমিতির সভাপতি বলেন, মাখনের রুমে বাগবিতণ্ডা শুরু হলে সেখানে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা উপস্থিত হন এবং অকথ্য ভাষায় আমাকে গালাগাল করেন এবং তুলে নিয়ে মারার হুমকি দেয়। ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নাসিম আহমেদ জয়, শাহিন আলম, বাধন, বিপুল হোসাইন খান ও হোসাইন মজুমদারসহ ২০-২৫ জন সেখানে উপস্থিত ছিলেন।

এ বিষয়ে কর্মকর্তা সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মীর মোরশেদুল ইসলাম বলেন, ‘কর্মকর্তা সমিতির সভাপতি ফাইল স্বাক্ষর করার কারণে হিসাব পরিচালককে ঘুষি মারতে গিয়েছিল। আমরা সেখানে পরিস্থিতি শান্ত করতে গেছিলাম। পরে আমরা কোনো ঝামেলা করিনি।’

হিসাব শাখার পরিচালক জাকির হোসেন বলেন, এমন কোনো ঘটনা ঘটেনি। তিনি আমাকে কাজ থেকে বিরত থাকতে বললে আমি প্রশাসনিক নির্দেশে কাজ করেছি বলে জানাই। এর একপর্যায়ে অন্য কর্মকর্তারা ঢুকলে সেখানে বাগবিতণ্ডা হয়।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নাসিম আহমেদ জয় বলেন, তারা যে অভিযোগ তুলেছে আমাদের বিরুদ্ধে তা সম্পূর্ণ বানোয়াট এবং ভিত্তিহীন। শিক্ষার্থীদের সাথে কোনো বিষয়ে ঝামেলা হয়েছে। আমি ঘটনাস্থলে অনেক পরে গিয়েছিলাম।

এ বিষয়ে প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহাদৎ হোসেন আজাদ বলেন, আমার কাছে এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ দিলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

পিআর পদ্ধতি চায় যোগ্যতাহীনরা : আমিনুল হক

আবারও মার্কিন সেনাদের ওপর ড্রোন হামলা

কিয়েভে ড্রোন হামলার রেকর্ড রাশিয়ার

জামায়াতে যোগ দিলেন জাপা নেতা

শুটিং সেটে হঠাৎ অসুস্থ স্বস্তিকা, কী হয়েছিল? 

অভিনেতা মাইকেল ম্যাডসেন আর নেই 

যে কোনো মূল্যে সীমান্ত হত্যা বন্ধ করব : নাহিদ

স্নাতকোত্তরে ১০০ নম্বরের পরীক্ষায় পেলেন ২৫০

নুর-রাশেদসহ গণঅধিকারে ২৫ নেতার বিরুদ্ধে মামলা গ্রহণের নির্দেশ

নতুন ফিচার নিয়ে এলো হোয়াটসঅ্যাপ

১০

‘রাজনীতি আমার জীবনের সবচেয়ে বড় ভুল’

১১

ছুটির দিনে খেলতে গিয়ে প্রাণ গেল ২ ভাইয়ের

১২

ট্রাম্পের সঙ্গে সৌদি যুবরাজের গোপন বৈঠক

১৩

বিদেশি অস্ত্রসহ বিএনপি নেতা গ্রেপ্তার

১৪

ইসরায়েলি হামলায় মারা গেলেন আরও এক ফিলিস্তিনি ফুটবলার

১৫

আবারও জয়ার সিনেমার ট্রেলার শেয়ার করলেন অমিতাভ বচ্চন

১৬

সৌরজগতে শনাক্ত হলো রহস্যময় ধূমকেতু

১৭

উড়াল থেমেছিল চিকিৎসায়, জীবন থামল সড়কে

১৮

চতুর্থ বিয়ের জন্য তৃতীয় স্ত্রীকে ‘মৃত’ দেখিয়ে ভুয়া সনদ, অতঃপর...

১৯

এবার চাঁদাবাজির অভিযোগে জনতার হাতে আটক পুলিশ সদস্য

২০
X