

জুলাই অভ্যুত্থানের পরিচিত মুখ, ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) শিক্ষার্থীরা।
বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) রাত সোয়া এগারোটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বড়তলা মোড়ে জড়ো হন সহস্রাধিক শিক্ষার্থী। সেখান থেকে মিছিল নিয়ে বিভিন্ন হল সংলগ্ন রাস্তা ঘুরে শহীদ মিনারে সমাবেশ করেন তারা। এসময় জাকসুর ভিপি আব্দুর রশিদ জিতুর নেতৃত্বে শিক্ষার্থীরা শপথ বাক্য পাঠ করেন।
মিছিলে শিক্ষার্থীরা ‘আমার ভাই শহীদ কেন, ইন্টেরিম জবাব দে’; ‘আমার ভাই কবরে, খুনি কেন বাহিরে’; ‘আমরা সবাই হাদি হবো, গুলির মুখে কথা কবো’; ‘দিল্লি না ঢাকা, ঢাকা ঢাকা’; ‘ইনকিলাব ইনকিলাব, জিন্দাবাদ জিন্দাবাদ’; ‘এক হাদি লোকান্তরে, লক্ষ হাদি লড়াই করে’; ‘বিচার বিচার বিচার চাই, হাদি হত্যার বিচার চাই’; ‘ওই হাসিনা দেইখা যা, রাজপথে তোর বাপেরা’—ইত্যাদি স্লোগান দেন।
সমাবেশে জাকসুর সমাজসেবা সম্পাদক ও জুলাই অভ্যুত্থানের অন্যতম সংগঠক আহসান লাবিব বলেন, ‘আজ আমরা এখানে কোনো আনুষ্ঠানিক বক্তব্য দিতে আসিনি, আমরা এসেছি প্রতিবাদ জানাতে, প্রতিরোধের ঘোষণা দিতে। আমাদের ভাই ওসমান বিন হাদিকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। এই হত্যাকাণ্ড কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়; এটি চলমান দমন-পীড়ন ও আধিপত্যবাদী রাজনীতিরই অংশ।’
তিনি বলেন, ‘আমরা স্পষ্ট করে বলতে চাই, হাদির রক্ত বৃথা যাবে না। যারা ভেবেছে একজনকে হত্যা করলে আন্দোলন থেমে যাবে, তারা ভুল করেছে। এক হাদির জায়গায় হাজার হাদি জন্ম নেবে। এই মৃত্যু প্রমাণ করে, জুলাইয়ের বিপ্লব এখনো শেষ হয়নি, লড়াই এখনো চলমান।’
তিনি আরও বলেন, ‘হাদির হত্যাকারীরা এখনো ধরা পড়েনি। সরকার ব্যর্থ, প্রশাসন নীরব। এই ব্যর্থতার দায় এড়ানো যাবে না। খুনিদের আশ্রয়দাতা ও মদদদাতাদের বিরুদ্ধেও জবাবদিহি নিশ্চিত করতে হবে।’
জাতীয় ছাত্রশক্তি জাহাঙ্গীরনগর শাখার সভাপতি জিয়া উদ্দিন আয়ান বলেন, ‘ভারতীয় আধিপত্যবাদ ও তার দোসরদের বিরুদ্ধে হাদি যে সংগ্রাম শুরু করেছিলেন, সেই সংগ্রাম থামবে না। এই লড়াই কেবল একজনের নয়, এটি বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব, সম্মান ও ভবিষ্যতের লড়াই।’
মন্তব্য করুন