প্রয়োজনীয় যোগ্যতা ও শর্ত পূরণ না করেই অধ্যাপক হয়ে গেলেন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) লোক প্রশাসন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ড. মোসা. শামসুন্নাহার।
সোমবার (০৯ অক্টোবর) বিশ্ববিদ্যালয়ের ৮৯তম সিন্ডিকেট সভায় তার পদোন্নতির বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যদিও শর্ত পূরণ না হওয়ায় তার পদোন্নতিতে বোর্ডের এক সদস্য আপত্তি (নোট অব ডিসেন্ট) জানিয়েছিলেন বলে জানা গেছে।
অভিযোগ রয়েছে, উপাচার্যের আস্থাভাজন হওয়ায় নিয়মবিহর্ভূতভাবেই পদোন্নতি পাচ্ছেন তিনি।
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় আইন-২০০৬ এর ৩৬(২) ধারার ১০(৯) সংবিধি অনুযায়ী বিভাগীয় সম্প্রসারণ ও নিয়োগে প্ল্যানিং কমিটির সুপারিশ করার কথা রয়েছে। অধ্যাপক হতে সহযোগী অধ্যাপক পদে ৪ বছরের সক্রিয় শিক্ষকতার অভিজ্ঞতা ও স্বীয় পদে স্থায়ী হওয়ার শর্ত রয়েছে। তবে শামসুন্নাহারের এসব শর্ত পূরণ না হওয়ায় অধ্যাপক পদে তার পদোন্নতিতে সুপারিশ করেনি বিভাগীয় প্ল্যানিং কমিটি। এরপরও গত ৪ অক্টোবর তার পদোন্নতির জন্য বাছাই বোর্ড আয়োজন করা হলে সেখানেও এক সদস্য তার পদোন্নতিতে আপত্তি (নোট অব ডিসেন্ট) জানান বলে জানা গেছে। একই বিষয় সিন্ডিকেটে উত্থাপিত হলে উপউপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. হুমায়ুন কবিরও নোট অব ডিসেন্ট দেন।
একাধিক সিন্ডিকেট সদস্যের সাথে কথা বলে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে।
এ বিষয়ে উপউপাচার্য বলেন, ‘ওনার বিষয়টি নিয়মবহির্ভূত ছিল। তাই আমি নোট অব ডিসেন্ট দিয়েছি। কিন্তু সিন্ডিকেট তা আমলে নেয়নি।
এদিকে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় আইন-২০০৬ এর ৩১(৩) ধারায় বলা হয়েছে, ‘বাছাই বোর্ডের সুপারিশের সহিত সিন্ডিকেট একমত না হইলে বিষয়টি চ্যান্সেলরের নিকট প্রেরণ করিতে হইবে এবং এই ব্যাপারে তাহার সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত হইবে।’
এদিকে বিষয়টি সম্পর্কে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) আমিরুল হক চৌধুরীকে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন, ‘কার্য বিবরণী পাশ না হওয়া পর্যন্ত এ বিষয়ে আমি মন্তব্য করতে পারব না।’
উপাচার্য অধ্যাপক ড. এএফএম আবদুল মঈনকে মুঠোফোনে কল করা হলে তিনিও সাড়া দেননি।
মন্তব্য করুন