বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) শিক্ষক সঞ্জয় কুমার সরকারকে (৩৪) প্রাণনাশের হুমকির অভিযোগ উঠেছে।
গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে প্রাণনাশের হুমকির অভিযোগ এনে মঙ্গলবার (৪ জুলাই) থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন তিনি।
ভুক্তভোগী শিক্ষক বিশ্ববিদ্যালয়টির বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক। সঞ্জয় সরকার উপজেলার তারাপুর ইউনিয়নের তারাপুর গ্রামের অধীর চন্দ্র সরকারের ছেলে।
জিডি ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, তারাপুর গ্রামের সঞ্জয় কুমার সরকারের বাড়ি সংলগ্ন একটি রেকর্ডভুক্ত রাস্তা রয়েছে। পাশের জমির মালিক নয়ন কুমার সরকার রাস্তাটি নিজের জমি দাবি করে বিভিন্ন সময়ে মাটি কেটে নেন। এতে জনসাধারণের যাতায়াতে ভোগান্তি সৃষ্টি হয়। এ ঘটনায় সহযোগী অধ্যাপক সঞ্জয় সরকারসহ রাস্তা দিয়ে চলাচলকারী অন্যরা বাধা দেন। পরে গত ২ জুলাই সংশ্লিষ্ট ইউপি সদস্যসহ স্থানীয়রা বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে নয়ন ও তার লোকজন সঞ্জয় কুমারকে অকথ্য ভাষায় গালাগাল করেন। সেইসঙ্গে ভয়ভীতি দেখিয়ে প্রাণনাশের হুমকি দেন।
অপর অভিযুক্তরা হলেন—তারাপুর গ্রামের তোফাজ্জল হোসেনের ছেলে আতিকুর রহমান (২৪), আইয়ুব আলীর ছেলে সাদ্দাম হোসেন (২২), আনছার আলীর ছেলে লিটন মিয়া (২২), নির্মল চন্দ্রের ছেলে জয়ন্ত কুমার (২২)।
সুন্দরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কে এম আজমিরুজ্জামান জিডির বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, তাদের মধ্যে জমি নিয়ে বিরোধ চলছিল। শুনেছি তাদের মধ্যে এ নিয়ে কথাকাটাকাটি হয়েছে।
এ বিষয়ে সহযোগী অধ্যাপক সঞ্জয় কুমার সরকার বলেন, কয়েকজন মাদকাসক্ত আমাকে প্রাণনাশের হুমকি দিয়েছে। এটি ঘটেছে স্থানীয় ইউপি সদস্য রুহুল আমিনের উপস্থিতিতে। এ নিয়ে আইনের আশ্রয় নিয়েছি। সুষ্ঠু বিচার না হলে পরে মামলা করব।
এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট ইউপি সদস্য রুহুল আমিন বলেন, রাস্তাটি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে সমস্যা চলছে। বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করেও সমাধান করা সম্ভব হয়নি। কিন্তু প্রাণনাশের হুমকির মতো ঘটনা আমার সামনে ঘটেনি।
বিরোধের বিষয় ও প্রাণনাশের ঘটনা নিয়ে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের কাছে একাধিক ফোন দেওয়া হলেও তিনি ফোন ধরেননি।
মন্তব্য করুন