চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) বসন্ত উৎসব, ভালোবাসা দিবস ও একুশে ফেব্রুয়ারিকে কেন্দ্র করে ফুলের দাম প্রায় ৩ গুণ বেড়েছে। শিক্ষার্থীরা অতিরিক্ত দামের জন্য ব্যবসায়ীদের দোষারোপ করলেও ফুল বিক্রেতারা বলছেন ভিন্ন কথা। বাজারে ফুলের চাহিদা বেড়ে যাওয়ার কারণে দাম বাড়াতে বাধ্য হয়েছেন বলে মন্তব্য করেন তারা।
বুধবার (২১ ফেব্রুয়ারির) প্রথম প্রহরে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন ফুলের দোকান সরেজমিনে পর্যবেক্ষণ করে দেখা যায়, জানুয়ারি মাসে যেই ফুলের দাম ছিল ২০ টাকা সেটি বেড়ে গিয়ে হয়েছে ৬০ টাকা। এ ছাড়াও পুষ্পস্তবক অর্পণের ফুলের রিংগুলোর (শ্রদ্ধাঞ্জলি) দাম ৫০০ থেকে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮০০/ ৯০০ টাকা পর্যন্ত।
বিশ্ববিদ্যালয়ে সাধারণত ফেব্রুয়ারি মাসে ফুলের চাহিদা কয়েকগুণ বেড়ে যায়। ফাল্গুনকে কেন্দ্র করে পিঠা উৎসব, বসন্ত বরণ ইত্যাদিতে ফুলের ব্যাবহার হয়ে থাকে। এ ছাড়া একুশে ফেব্রুয়ারি উপলক্ষে ক্যাম্পাসের সকল প্রগতিশীল ছাত্রসংগঠন, জেলা স্টুডেন্ট এসোসিয়েশন, সামাজিক সংগঠনগুলো পুষ্পস্তবক অর্পণ করে থাকে। তাই সুযোগ বুঝে দামও বাড়িয়ে দেন ব্যাবসায়ীরা। তখন বাড়তি দামে কেনা ছাড়া উপায় থাকে না শিক্ষার্থীদের।
ফুল কিনতে আসা ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের তাজুল ইসলাম তাজিন বলেন, ফেব্রুয়ারি মাস আসলেই ফুল ব্যবসায়ীরা দাম বাড়িয়ে দেয়। আমি আমার জেলা এসোসিয়েশনের জন্য ফুল নিতে এসেছি। কিন্তু পুরো ক্যাম্পাসের দোকানগুলোতেই খোঁজ নিয়ে দেখেছি সবখানেই ফুলের দাম বাড়তি।
এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ১নং গেইটের ফুলের দোকানের কর্মচারী আব্দুস সোবহান কালবেলাকে জানান, আমাদের কিছু করার নাই। ভাষার মাস ফেব্রুয়ারি ও ভালোবাসা দিবসেই বেশি ফুল বিক্রি হয়। তো বাজারে ফুলের চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় দাম বাড়িয়ে দেয় বড় বড় ব্যবসায়ীরা। আমরা তো খুচরা বিক্রেতা, সেই অনুযায়ী আমাদেরও দাম বাড়াতে হয়। এবার ফেব্রুয়ারিতে ফুলের দাম বেড়েছে ৩ গুণ বেশি।
অন্য একটি ফুলের দোকানের কর্মচারী জুবায়ের আহমেদ বলেন, আগে যেই ফুলের দাম ছিল ২০ টাকা সেই ফুল এখন বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬০ টাকা। তবুও আমরা চেষ্টা করি কমদামেই বিক্রি করার।
ভাষা দিবস উপলক্ষে ফুল বিক্রি করছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষার্থীও। তাদের একজন ২০-২১ শিক্ষাবর্ষের মাহফুজুর রহমান কালবেলাকে জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হিসেবে হাতখরচের জন্যই ভালোলাগা থেকেই বিভিন্ন দিবস কেন্দ্রিক ফুল ও ফুলের রিং বিক্রি করি। যেহেতু আমরা দোকান থেকে কিনে নিয়ে আসি তাই একটু বাড়তি দাম তো রাখতেই হয়। তবুও পরিচিত ভাই-বন্ধু ও জেলা সমিতির কাছ থেকে স্বল্প মূল্যেই বিক্রি করি।
মন্তব্য করুন