আব্দুস সবুর লোটাস, রাবি
প্রকাশ : ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ০৫:৪১ পিএম
আপডেট : ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ০৫:৪২ পিএম
অনলাইন সংস্করণ
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়

স্বাধীনতার পর ৪ শিক্ষক ও ৩৩ শিক্ষার্থী হত্যাকাণ্ড

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়। ছবি : সংগৃহীত
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়। ছবি : সংগৃহীত

দেশের অন্যতম একটি উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়। দেশের বিভিন্ন গণতান্ত্রিক আন্দোলন ও সাধারণ মানুষের অধিকার আদায়ে এখানে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের ভূমিকা দারুণ ছিল। কিন্তু স্বাধীনতার পর থেকে বিভিন্ন সময় এখানে ৩৭টি হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। যেগুলার মধ্যে কয়েকটি ছাড়া কোনো ঘটনার বিচার হয়নি। এমনকি এসব ঘটনার দোষীরা বিভিন্নভাবে বেঁচে গেছেন। তবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের আন্তরিকতা ও স্বায়ত্তশাসন অ্যাসাল্ট করার অভাবে এসব ঘটনার বিচার হয়নি বলে জানান জ্যৈষ্ঠ অধ্যাপকরা।

অধ্যাপকরা জানান, শিক্ষকদের মতো শিক্ষার্থীদের হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় কোনো প্রশাসনই সেভাবে আন্তরিকতা দেখায়নি। বরং কঠিন পরিস্থিতি বিভিন্ন আশ্বাস দিয়ে সামাল দিয়েছে। আর ক্যাম্পাসের মধ্যে বিভিন্ন হত্যাকাণ্ডের বিচারহীনতার সংস্কৃতি দীর্ঘদিনের এটা বেশ খারাপ একটা দৃষ্টান্ত। তবে এই অবস্থার রূপান্তরের সম্ভাবনা খুবই কম।

অনুসন্ধানে জানা যায়, স্বাধীনতার পূর্বে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে একটি অজ্ঞাত খুন হলেও সেটির কোনো তথ্য-প্রমাণ সেভাবে নেই। তবে স্বাধীনতার পরে চারজন শিক্ষক ও ৩৩ জন শিক্ষার্থী খুন হয়েছে। যাদের মধ্যে ছাত্রশিবিরের ১৬ জন, ছাত্রলীগের সাতজন, ছাত্রদলের দুজন, প্রগতিশীল সংগঠনের চারজন। এ ছাড়া নিহতদের তালিকায় আছে নিরীহ পত্রিকার হকার, রিকশাচালক ও সাধারণ ছাত্র।

শুধু শিক্ষক হত্যাকাণ্ডগুলোর বিচারিক প্রক্রিয়া এগিয়ে গেলেও শিক্ষার্থীদের ঘটনাগুলো বিচারের আশ্বাসেই অন্ধকারে রয়েছে। অনেক ঘটনার তদন্ত প্রতিবেদনও রয়ে গেছে অন্ধকারেই। কোনো কোনো ঘটনার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিলেও দলীয় বিবেচনায় ছেড়ে দেওয়া হয়েছে দোষীদের। এতে করে কোনো ঘটনার সুষ্ঠু বিচার পায়নি নিহতদের পরিবার।

শিক্ষার্থীদের হত্যাকাণ্ডের বিচার না হওয়ার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের আন্তরিকতাকে দায়ী করেছেন ছাত্রনেতা ও শিক্ষকরা।

শিক্ষক হত্যাকাণ্ড : ২০১৬ সালের ২৩ এপ্রিল সকালে রাজশাহীর শালবাগান এলাকায় নিজের বাড়ি থেকে মাত্র ৫০ গজ দূরে কুপিয়ে ও গলাকেটে হত্যা করা হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক ড. এ এফ এম রেজাউল করিম সিদ্দিকীকে। এ ঘটনায় তার ছেলে রিয়াসাত ইমতিয়াজ সৌরভ বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরে ২০১৮ সালের ৮ মে এ মামলায় রাজশাহীর দ্রুতবিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক শিরীন কবিতা আখতার হত্যা মামলায় দুজনের মৃত্যুদণ্ড এবং তিনজনের যাবজ্জীবনের রায় দেন। তবে পরবর্তীতে এই রায় উচ্চ আদালতে আটকে আছে বলে জানা যায়।

২০১৪ সালের ১৫ নভেম্বর দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন চৌদ্দপাই এলাকায় নিজ বাড়ির সামনে খুন হন সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. এ কে এম শফিউল ইসলাম লিলন। পরের দিন বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন রেজিস্ট্রার অধ্যাপক মুহাম্মদ এন্তাজুল হক বাদী হয়ে অজ্ঞাত কয়েকজনকে আসামি করে মতিহার থানায় হত্যা মামলা করেন। ২০১৯ সালের ১৫ এপ্রিল লিলন হত্যা মামলায় তিন আসামির ফাঁসির আদেশ দেয় আদালত।

২০০৬ সালের ১ ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের কোয়ার্টারের ম্যানহোল থেকে অধ্যাপক তাহেরের লাশ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় নিহতের ছেলে সানজিদ আলভি আহমেদ মতিহার থানায় অজ্ঞাতনামা কয়েকজনকে আসামি করে হত্যা মামলা করেন। ২০০৮ সালের ২২ মে রাজশাহীর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল চারজনের মৃত্যুদণ্ড দেন। পরে দুজনের মৃত্যুদণ্ড বহাল ও দুজনকে যাবদজ্জীবন দেন। পরে গত বছর দুজনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়।

২০০৪ সালের ২৪ ডিসেম্বর বিনোদপুর এলাকায় প্রাতভ্রমণের সময় অর্থনীতি বিভাগের এই প্রবীণ শিক্ষক অধ্যাপক ইউনুসকে বাসার তিনশ গজ দূরে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে হত্যা করা হয়। হত্যাকাণ্ডের পর দিন তার ছোট ভাই আবদুল হালিম বাদী হয়ে মতিহার থানায় অজ্ঞাতনামা দুর্বৃত্তদের আসামি করে একটি হত্যা মামলা করেন। পরে ২০১০ সালের জানুয়ারি মাসে রাজশাহীর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল দুজনের মৃত্যুদণ্ড দেন।

শিক্ষার্থী হত্যাকাণ্ড : ২০১৬ সালের ২০ অক্টোবর বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব আব্দুল লতিফ হলের ড্রেন থেকে অর্ধনগ্ন অবস্থায় লিপু নামে এক শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ দিন বিকেলেই লিপুর চাচা মো. বশীর বাদী হয়ে নগরীর মতিহার থানায় অজ্ঞাত কয়েকজনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

সর্বশেষ ২০১৪ সালের এপ্রিল মাসে শহীদ সোহরাওয়ার্দী হলের তৃতীয় ব্লকের ২৩০ নম্বর রুমে নিজ কক্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন হল শাখার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রুস্তম আলী আকন্দ।

এরপর ২০১২ সালের ১৫ জুলাই পদ্মা সেতুর টাকা ভাগাভাগির ঘটনাকে কেন্দ্র করে সভাপতি আহমেদ আলী ও সাধারণ সম্পাদক আবু হুসাইন বিপু গ্রুপের কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষে মাথায় গুলিবিদ্ধ হয়ে ছাত্রলীগকর্মী আব্দুল্লাহ আল হাসান সোহেল নিহত হন।

২০১০ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি মধ্যরাতে দুর্বত্তরা ছাত্রলীগকর্মী ফারুক হোসেনকে কুপিয়ে হত্যা করে। ছাত্রলীগকর্মী ফারুক হত্যাকাণ্ডের পর পুলিশের কথিত বন্দুকযুদ্ধে শিবির নেতা হাফিজুর রহমান শাহীন নিহত হন।

২০০৯ সালের ১৩ মার্চ ছাত্রলীগ, শিবির ও বিনোদপুরের ব্যবসায়ীদের ত্রিমুখী সংঘর্ষে শিবিরের বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক শরীফুজ্জামান নোমানী নিহত হন।

২০০৩ সালের ১২ জানুয়ারি কাজলা গেটে আধিপত্য নিয়ে ছাত্রদল-শিবির সংঘর্ষে শিবিরকর্মী সাইফুদ্দীন নিহত হন। ২০০৭ সালের আগস্ট মাসে বিক্ষোভে পুলিশের গুলিতে এক রিকশাচালকের মৃত্যু হয়।

এরপর ১৯৯৩ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি সর্বদলীয় ছাত্রঐক্য ও ছাত্রশিবিরের মধ্যে সংঘর্ষে ছাত্রদল নেতা বিশ্বজিৎ, ইউনিয়ন নেতা তপন এবং শিবির নেতা মুস্তাফিজুর রহমান ও রবিউল ইসলাম নিহত হন। একই বছর শের ই বাংলা হলের সামনে সংঘর্ষ হয়। এতে ছাত্রমৈত্রীর নেতা জুবায়ের চৌধুরী রিমুকে হাত-পায়ের রগ কেটে নৃশংসভাবে হত্যা করে শিবিরকর্মীরা। ১৯৯৪ সালে উত্তেজনা হলেও কোনো ধরনের খুন হয়নি।

১৯৯২ সালে উপাচার্য ভবনের সামনে ছাত্রলীগের কর্মী মুহাম্মদ আলী মারা যায়। একই দিন সৈয়দ আমির আলী হল ও নবাব আব্দুল লতিফ হলের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। এতে জাসদ ছাত্রলীগ নেতা ইয়াসির আরাফাত পিটু নিহত হন।

১৯৯২ সালের ১৭ মার্চের সংঘর্ষে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকার সময় ৭ মে নতুন বুধপাড়ায় শিবির ক্যাডার মোজাম্মেলের বাড়িতে বোমা তৈরির সময় দলীয় ক্যাডার আজিবরসহ অজ্ঞাতনামা ৪ শিবিরকর্মী নিহত হন। পরে স্থানীয় একটি ডোবা থেকে পুলিশ অনেক খণ্ডিত হাত-পা উদ্ধার করে।

একই বছরের ১৯ জুন শিবিরের হামলায় বুধপাড়ার জাসদ নেতা মুকিম গুরুতর আহত হন। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২৪ জুন মুকিমের মৃত্যু হয়। ১৯৯৩ সালের ১৪ জানুয়ারি রাতে ছাত্রদল নিয়ন্ত্রিত সোহরাওয়ার্দী হল এবং শিবির নিয়ন্ত্রিত শহীদ শামসুজ্জোহা হলের ছাত্রদের মধ্যে সংঘর্ষে শিবির কর্মী মুহাম্মদ ইয়াহিয়া নিহত হন।

১৯৯৬ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি ক্যাম্পাসের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির সামনে জাতীয়তাবাদী সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠনের (জাসাস) সেই সময়ের বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক আমান উল্লাহ আমানকে দুর্বত্তরা কুপিয়ে হত্যা করে।

১৯৯৫ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি সর্বদলীয় ছাত্রঐক্যের সঙ্গে সংঘর্ষে শিবির নেতা ইসমাইল হোসেন সিরাজী মারা যান। পর দিন ১৩ ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের পার্শ্ববর্তী চৌদ্দপাই এলাকায় ঢাকাগামী বাস থেকে নামিয়ে কুপিয়ে ও ইট দিয়ে মাথা থেতলে ছাত্রমৈত্রীর নেতা দেবাশীষ ভট্টাচার্য রূপমকে হত্যা করে দুর্বত্তরা।

স্বাধীনতা-পরবর্তী দশক ভালোই চলছিল রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়। ১৯৮২ সালে এসে শুরু হয় ছাত্র সংগঠনগুলোর মধ্যে আধিপত্য বিস্তারের লড়াই। ১৯৮২ সালের ১১ মার্চ শিবিরের নবীনবরণ নিয়ে প্রগতিশীল ছাত্র সংগঠনের সংঘর্ষে সাব্বির আহমদ, আব্দুল হামিদ, আইয়ুব আলী ও আব্দুল জব্বার নামে চার শিবিরকর্মী এবং মীর মোশতাক এলাহী নামে এক ছাত্রলীগ নেতা নিহত হন।

১৯৯০ সালে সেপ্টেম্বর মাসে খলিলুর রহমান নামে এক ছাত্রকে প্রকাশ্যে হত্যা করা হয়। এটির মামলা ও স্বাক্ষ্যগ্রহণ হলেও পরবর্তী সরকার মামলাটি বাতিল করে দেয়।

১৯৮৮ সালের ২৮ নভেম্বর আজগর আলী ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের হামলায় মারা যান। ১৯৮৯ সালের ১৮ এপ্রিল ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের হামলায় শিবির নেতা শফিকুল ইসলাম নিহত হন। জেনারেল এরশাদ রাষ্ট্রপতি হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয় স্টেডিয়ামের উদ্বোধন করতে ক্যাম্পাসে এলে প্রতিবাদী ছাত্রদের সঙ্গে সেই সময়ের বিডিআর সদস্যদের সংঘর্ষে জাসদ ছাত্রলীগের নেতা শাজাহান সিরাজ ও এক পত্রিকার হকার নিহত হন।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি গোলাম কিবরিয়া প্রশাসনের আন্তরিকতার অভাবকে দায়ী করে বলেন, ছাত্রলীগের যেসব নেতাকর্মী এই ক্যাম্পাসে খুন হয়েছে সবারই বিচারের দাবি আমরা করেছি। বিচারিক প্রক্রিয়া এগিয়ে নেওয়ার জন্য বিভিন্ন প্রোগ্রাম করেছি। কিন্তু কোনোটাই আলোর মুখ দেখেনি। এসব বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সেভাবে কোনো সহযোগিতা করেনি। তাদের দায় থাকা সত্ত্বেও তারা কোনো আন্তরিকতা দেখায়নি। আমরা চাই সব হত্যাকাণ্ডের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হোক।

নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক এক সিনিয়র অধ্যাপক বলেন, ‘আসলে শিক্ষার্থীদের হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় কোনো প্রশাসনই সেভাবে আন্তরিকতা দেখায়নি। বরং কঠিন পরিস্থিতিতে আশ্বাস দিয়ে সেটা শান্ত করেছে। ফলে শিক্ষার্থীদের ঘটনাগুলো চাপা পড়ে গেছে এবং বিচারিক প্রক্রিয়া এগিয়ে যায়নি। এ ছাড়া অনেক সময় এসব ঘটনাকে রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড বলেও চালিয়ে দেওয়া হয়েছে।’

গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক আ. আল মামুন বলেন, ’৭১ সালে প্রথম ঢাকায় ছাত্র হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। এরপর থেকে নিয়মিত বিভিন্ন ক্যাম্পাসে ছাত্র হত্যা হয়েছে তবে কোনো ঘটনায় বিচার হয়নি। বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে হত্যাকাণ্ডের বিচারহীনতার সংস্কৃতি দীর্ঘদিনের। এটা বেশ খারাপ একটা দৃষ্টান্ত। এখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের একটা বড় রকমের গাফিলতি রয়েছে, সেটা হলো বিশ্ববিদ্যালয় যদি নিজের স্বায়ত্তশাসন অ্যাসাল্ট করতো এমন যে এখানের শিক্ষার্থীদের সকল দায়ভার তার এবং কোনো বহিরাগত চাপ সহ্য করব না তাহলে সম্ভব ছিল বিচারের। কিন্তু দুঃখজনক হলো বিশ্ববিদ্যালগুলো সর্বদা বাইরের চাপের কাছে নতি শিকার করেছে। এটায় একটা প্রধান কারণ হলো বিচার না হওয়ার।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক গোলাম সাব্বির সাত্তার ফোনে এসব বিষয়ে মন্তব্য করতে রাজি হননি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক সুলতান-উল-ইসলাম বলেন, ‘আমরা চাই ক্যাম্পাসের সব হত্যাকাণ্ডের বিচার হোক। তবে যেসব বিভাগের শিক্ষার্থীরা খুন হয়েছে তারা ওসব ব্যাপারে আরেকটু খোঁজখবর ও তদারকি করলে বিচারিক প্রক্রিয়া এগিয়ে যাবে। তবে আগের প্রশাসনগুলো এসব বিষয়ে কেমন ভূমিকা পালন করেছে জানি না। তবে আমরা এসব বিষয়ে আন্তরিক আছি।’

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

হেলমেটবিহীন তেল দিচ্ছে না দিনাজপুরের পাম্পগুলো

তাপপ্রবাহ আরও দুই দিন, সোমবার দেশজুড়ে বৃষ্টি

ঢাকা কাস্টমস এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের নির্বাচন / মিজান-লাভলু-বাশার পরিষদের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত

কর্ণফুলী নদীতে ভাসছিল নিখোঁজ জেলের লাশ

নেতাকর্মীদের যে বার্তা দিলেন জামায়াতের আমির

‘ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করতে শেখ হাসিনার প্রতি আস্থা রাখতে হবে’

শেখ হাসিনার চিত্ত সর্বদা ভয়শূন্য : ধর্মমন্ত্রী

পুকুরপাড়ে খেলতে গিয়ে পানিতে পড়ে ভাই-বোনের মৃত্যু

অপশাসনের বিরুদ্ধে গণঅভ্যুত্থান জরুরি : আ স ম রব 

ভাড়া বৃদ্ধির প্রতিবাদ ও রেলের রেয়াতি প্রথা বহালের দাবি

১০

ইসলামী আন্দোলনের নেতা বেলায়েত হোসেনের ইন্তেকাল

১১

এক মাস পর জামিনে মুক্তি পেলেন বিএনপি নেতা হাবিব

১২

আইসিজের কাঠগড়ায় ইসরায়েল, খালাস পেতে যা বলল

১৩

স্ত্রী হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত স্বামী গ্রেপ্তার

১৪

স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের দাবিতে সারা দেশে ইসলামী আন্দোলনের বিক্ষোভ

১৫

সনাতন ধর্মাবলম্বী শিক্ষার্থীকে ‘শিবির’ আখ্যা দিয়ে বেধড়ক পেটাল ছাত্রলীগ

১৬

বিএনপির অসুস্থ নেতাদের খোঁজ নিলেন আবদুস সালাম 

১৭

বিএনপি দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত : নাছিম

১৮

ঝিনাইদহে প্রধানমন্ত্রীর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস পালিত

১৯

বাবার সঙ্গে মাছ ধরতে গিয়ে বজ্রপাতে শিশুর মৃত্যু

২০
X