দেশে তীব্র তাপদাহ চলছে। গরমের প্রভাব পড়েছে সর্বত্র। এ সময় তাপপ্রবাহ নিয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি) একটি সচেতনতামূলক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২ মে) সেন্টার ফর ক্লাইমেট সোসাইটি অ্যান্ড এনভায়রনমেন্ট জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আয়োজনে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিএসই বিভাগের কনফারেন্স রুমে 'হিট ওয়েভ বাংলাদেশ : ইন্টিগ্রেটিং পিপল অ্যান্ড প্লেস ইন অ্যাডাপ্টিং টু রাইজিং টেম্পারেচারস' শীর্ষক এ সেমিনারটি অনুষ্ঠিত হয়।
সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম।
সেমিনারের বিষয়টিকে বর্তমান সময়ের জন্য যুগপোযোগী উল্লেখ করে উপাচার্য বলেন, প্রাকৃতিক পরিবর্তন ও মানুষের সৃষ্ট বিভিন্ন কৃত্রিম কারনেই আবহাওয়া পরিবর্তন হচ্ছে। যার ফলে তীব্র তাপদাহে জনজীবনে বিরূপ প্রভাব পড়ছে। মানসিকভাবে বিষণ্ণ হয়ে পড়ার কারনে সবাই পারিবারিক ও কর্মজীবনে পিছিয়ে পড়ছি। সমস্যা নিরূপণে আমাদের গবেষণা বৃদ্ধি করতে হবে। আমাদের সামাজিক বনায়ন করতে হবে। তবে বিদেশি আর বাণিজ্যিক গাছ লাগালেই হবে না। প্রচুর সংখ্যক দেশি গাছ লাগাতে হবে তাহলেই আমরা তাপদাহ থেকে মুক্তি পেতে পারি।
সেন্টার ফর ক্লাইমেট সোসাইটি অ্যান্ড এনভায়রনমেন্ট, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচালক ড. আব্দুল মালেকের সভাপতিত্বে সেমিনারে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. হুমায়ুন কবীর চৌধুরী।
সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আবহাওয়া বিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারপার্সন অধ্যাপক ড. ফাতিমা আক্তার। মূল প্রবন্ধের উপর আলোচনা করেন বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের সিনিয়র আবহাওয়াবিদ ড. মো. আব্দুল মান্নান এবং লাইফ অ্যান্ড আর্থ সায়েন্স অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মল্লিক আকরাম হোসেন।
স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন ওই সেন্টারের উপপরিচালক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আব্দুল কাদের এবং সেমিনারটি সঞ্চালনা করেন উপপরিচালক ড. রিফাত মাহমুদ।
এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদের ডিন, বিভাগীয় চেয়ারম্যানরা, রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত), প্রক্টরসহ বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন