জবি প্রতিনিধি
প্রকাশ : ০৬ জুন ২০২৪, ০১:৪৪ পিএম
আপডেট : ০৬ জুন ২০২৪, ০২:১১ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

কোটা পুনর্বহালের প্রতিবাদে জবিতে বিক্ষোভ  

কোটা পুনর্বহালের প্রতিবাদে জবি শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ। ছবি : কালবেলা  
কোটা পুনর্বহালের প্রতিবাদে জবি শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ। ছবি : কালবেলা  

সরকারি দপ্তর, স্বায়ত্তশাসিত বা আধা স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান ও বিভিন্ন করপোরেশনে চাকরিতে সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে (৯ম থেকে ১৩তম গ্রেড) মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিলসংক্রান্ত পরিপত্র অবৈধ ঘোষণা করে রায় দিয়েছেন হাইকোর্ট। হাইকোর্টের এ রায়ের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থীরা।

বৃহস্পতিবার (৬ জুন) দুপুর ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে এ আন্দোলন শুরু হয়। পরে মিছিল নিয়ে বাহাদুর শাহ পার্ক ঘুরে প্রধান ফটকের সামনে সমাবেশ করেন আন্দোলনকারীরা।

এ সময় শিক্ষার্থীরা ‘চাকরিতে কোটা, মানি না, মানব না’, শেখ হাসিনার বাংলায়/শেখ মুজিবের বাংলায়, কোটার ঠাঁই নাই’, মুক্তিযুদ্ধের বাংলায়, কোটার ঠাঁই নাই’ সহ নানা স্লোগান দেন।

আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫৩ বছর পরে এসে এ বৈষম্য মানা যায় না। বঙ্গবন্ধু একটি বৈষম্যহীন সমাজ প্রতিষ্ঠার জন্য আজীবন কাজ করেছেন। ২০১৮ সালে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের প্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সকল কোটা বাতিল করেন। ২০১৮ সালের প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশের অমান্য করে হাইকোর্ট এ সিদ্ধান্ত দিয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী জসীম উদ্দীন বলেন, কোনোভাবেই কোটা রাখা যাবে না। শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বৈষম্য করা যাবে না। এর জন্য যদি ছাত্রসমাজকে রাস্তায় নামতে হয়, আমরা নামাব। আপনারা যারা উপস্থিত আছেন, সবাই এ আন্দোলনে সোচ্চার হোন।

চাকরিপ্রত্যাশী আরেক শিক্ষার্থী মুন্না বলেন, ‘এ বৈষম্য দূর করার জন্য যদি এক মাস রাজপথে থাকতে হয়, তাহলে আমরা থাকব। তবে এই বৈষম্য দূর করেই ছাড়ব।’

প্রসঙ্গত, এক রিটের চূড়ান্ত শুনানি শেষে বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি খিজির হায়াতের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ কোটা বহালের রায় দেন। কোটা বাতিলের পরিপত্র অবৈধ ঘোষণার ফলে এখন মুক্তিযোদ্ধা কোটায় ৯ম থেকে ১৩তম গ্রেডে নিয়োগ দেওয়ায় আর কোনো বাধা থাকল না। পরিপত্রের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ২০২১ সালে রিট করেন চাকরিপ্রত্যাশী ও মুক্তিযোদ্ধার সন্তান অহিদুল ইসলামসহ সাতজন।

এর আগে ২০১৮ সালে কোটা সংস্কারের দাবিতে শিক্ষার্থীদের দীর্ঘ আন্দোলনের পর সরকারি চাকরিতে ৯ম থেকে ১৩তম গ্রেডে নিয়োগের ক্ষেত্রে ৪৫ শতাংশ কোটা তুলে দিয়ে মেধার ভিত্তিতে নিয়োগের সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। ২০১৮ সালের ৩ অক্টোবর মন্ত্রিসভায় এ প্রতিবেদন উপস্থাপন করা হয়।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

নিজ আসনে নুরের গণসংযোগ

বিচারকের ছেলে হত্যা : আসামি লিমন ফের ৫ দিনের রিমান্ডে

উদ্বোধন হলো বিএসটিআই-এর ই-সার্ভিস ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম

টিভি পর্দায় রুক্মিনি মিত্র

টাইমস হায়ারের ইন্টারডিসিপ্লিনারি সায়েন্স র‌্যাঙ্কিংয়ে দক্ষিণ এশিয়ায় প্রথম ঢাবি

যশোরে এবার রস-গুড় বিক্রির লক্ষ্যমাত্রা ১০০ কোটি টাকা

স্কুলে ভর্তির আবেদন শুরু শুক্রবার, কীভাবে করা যাবে জানাল মাউশি

মানব পাচার মোকাবিলায় বিচারিক প্রক্রিয়ার সহায়তায় বেঞ্চবুক উদ্বোধন

তারেক রহমানের ৬১তম জন্মদিনে ৬১টি কোরআন বিতরণ

খুলনায় বিজয় দিবস উদযাপনের প্রস্তুতি সভা

১০

সোনমের ঘরে আসছে নতুন অতিথি

১১

চেক প্রজাতন্ত্র / দুই ট্রেনের সংঘর্ষে আহত প্রায় অর্ধশত

১২

এই ৫ লক্ষণ দেখলেই বুঝবেন কিডনি ক্যানসারে ভুগছেন

১৩

আগামী ৩-৪ কার্যদিবসের মধ্যে ‘গণভোট আইন’ করা হবে : আইন উপদেষ্টা

১৪

এক দিনে ডেঙ্গুতে আরও ৪ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৭৪৫

১৫

বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ইনকিলাবকে হারিয়ে কালবেলার দ্বিতীয় জয়

১৬

স্কুলশিক্ষার্থীদের নিয়ে লায়ন কল্লোলের হাইজিন ক্যাম্পেইন শুরু

১৭

খেজুর গাছ থেকে পড়ে শিবির নেতার মৃত্যু

১৮

প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরে বড় নিয়োগ, আবেদন অনলাইনে

১৯

কায়সার কামালের কাছে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইলেন মবিনা জান্নাত

২০
X