ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) নবনিযুক্ত উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমেদ খান নিজের সঙ্গে রাজনৈতিক দলের সম্পৃক্ততার ব্যাপারে পরিষ্কার করে বলেছেন, ছাত্রজীবন থেকে এখন পর্যন্ত আমি কখনো কোন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলাম না এবং কোনো আগ্রহও নেই।
মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) আনুষ্ঠানিকভাবে উপাচার্য কার্যালয়ে যোগদানের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন।
নতুন উপাচার্য বলেন, ছাত্রজীবন থেকে এখন পর্যন্ত আমি কখনো কোন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলাম না। সম্পৃক্ততা নেই শুধু এটাই নয়, বরং আমার কোনো আগ্রহও নেই। আর এই মুহুর্তে নতুন করে দলীয় হয়ে যাওয়ার সুযোগ নেই। তার মানে এই নয় যে, আমি রাজনীতিবিদদেরকে হেয় করি, আমি তাদেরকে সম্মান করি। কিন্তু আমি নিজেকে রাজনীতিতে জড়াতে চাই না। দলকেন্দ্রিক রাজনীতিতে আমার আগ্রহ শূন্য। রাজনৈতিক সম্পৃক্ততার ব্যাপারে আমার এটুকুই স্পষ্ট জবাব। তবে প্রত্যেকটা বিষয়বস্তু ধরে জবাব দেওয়ার এত সময় এবং প্রয়োজনীয়তা নেই বলে মনে করছি। আমরা অনেক কঠিন সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছি। দল-মত ও ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকলে মিলেমিশে বিশ্ববিদ্যালয়কে নিয়ে কাজ করতে চাচ্ছি, এক্ষেত্রে ব্যক্তিগত জায়গা থেকে যার যার মতামত দেওয়ার সুযোগ রয়েছে।
ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধের সিদ্ধান্তের বিষয়ে উপাচার্য অধ্যাপক নিয়াজ আহমেদ খান বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এক অর্থে বাংলাদেশ। অনেকক্ষেত্রে সমাজ ও রাষ্ট্রের ভরসার জায়গাও এই বিশ্ববিদ্যালয়। ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ হওয়া বা না হওয়ার ব্যাপারে বৃহৎ সিদ্ধান্তটি আমরা একটু চিন্তাভাবনা করে নিতে চাচ্ছি। তবে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের মূল বিষয়টি হলো ন্যায্যতার ভিত্তিতে কাজ করা। এজন্য কোনোকিছু নির্ধারণ করার হলে মানুষ অধিকার প্রতিষ্ঠায় তা ন্যায্যতার ভিত্তিতেই করতে হবে।
এর আগে গত ১০ আগস্ট অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল উপাচার্য পদ থেকে পদত্যাগ করেন। পদত্যাগপত্রে ‘ব্যক্তিগত কারণের’ কথা বলেন ডিজাস্টার সায়েন্স অ্যান্ড ক্লাইমেট রেজিলিয়েন্স বিভাগের এই অধ্যাপক। গত বছরের ১৫ অক্টোবর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য পদে নিয়োগ পাওয়ার পর ৪ নভেম্বর দায়িত্ব গ্রহণ করেছিলেন তিনি।
মন্তব্য করুন