‘জীবনে ভালোকিছু করতে হলে কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে তা অর্জন করা যায়। পরিশ্রম ব্যতীত কোনো নতুনত্ব আসতে পারে না। প্রতিটি উদ্ভাবনের পেছনেই লুকায়িত থাকে মেধা ও শ্রম।’
বুধবার (১৮ জুন) ‘জাতীয় হাইস্কুল প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতা ২০২৫’-এর আঞ্চলিক পর্বের পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এস এম আব্দুল-আওয়াল এসব কথা বলেন।
পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের আয়োজনে ‘জাতীয় হাইস্কুল প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতা ২০২৫’ অনুষ্ঠিত হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের কনভেনশন হলে সকাল পৌনে ৯টায় নজরুল ইসলাম প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করেন। এ সময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. শামীম আহসান এবং ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. শেখ রাসেল আল আহম্মেদ। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সিএসই বিভাগের চেয়ারম্যান ড. মো. আব্দুর রহিম।
অনুষ্ঠানে ছিল আইসিটি কুইজ, দাবা প্রতিযোগিতা, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) এবং সাইবার সিকিউরিটি সেমিনার। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সহযোগিতায় বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষার্থীরা দিনব্যাপী এই প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেন। প্রতিযোগিতায় বিভিন্ন হাইস্কুলের প্রায় ৪০০ শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন।
উপাচার্য শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলেন, ‘তোমরাই আমাদের আগামী দিনের ভবিষ্যৎ, তোমরাই বাংলাদেশ। তোমাদের উপরই বাংলাদেশ নির্ভর করছে।
তিনি বলেন, মেধা বিষয়টি আপেক্ষিক। তোমাদের ভালো করতে হলে চেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে। আমাদের সুযোগ তৈরি করতে হবে এবং ভাষা শিক্ষার প্রতি গুরুত্ব দিতে হবে। দেশের অগ্রগতি ও উন্নয়নে তোমাদের হাল ধরতে হবে।
তিনি স্কুলপড়ুয়া শিক্ষার্থীদের সামনে ফেসবুকের প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জুকারবার্গ এবং বিল গেটসের প্রতিষ্ঠিত হওয়ার গল্প তুলে ধরেন।
মো. নজরুল ইসলাম শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলেন, ‘এই প্রতিযোগিতায় তোমরা অংশগ্রহণ করতে পেরেছে, এ জন্য তোমরা অত্যন্ত সৌভাগ্যবান। তোমাদের মাধ্যমেই এ দেশ-জাতি এগিয়ে যাবে। ভালোভাবে শিখতে হবে এবং তোমরাই এ দেশের ভবিষ্যৎ গড়বে। তথ্য প্রযুক্তির উদ্ভাবনের মধ্য দিয়েই আমরা এগিয়ে যেতে পারব। আজ তোমরা সর্বোচ্চ ভালোটা না পারলেও, আগামীকাল চেষ্টার মাধ্যমে অবশ্যই পারবে। তিনি শিক্ষার্থীদের আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।’
কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. শামীম আহসান বলেন, ‘এ ধরনের প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতার মাধ্যমে আমরা ভালো প্রোগ্রামার পাব এবং তারাই দেশের অগ্রগতিতে অবদান রাখতে পারবে। বর্তমান যুগ আইটির যুগ। তথ্য প্রযুক্তির ক্ষেত্রে আমাদের আরও বেশি মনোযোগী হতে হবে।’
অনুষ্ঠানে বিভাগের শিক্ষক উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সিএসই বিভাগের প্রভাষক নিতুন কুমার পোদ্দার।
মন্তব্য করুন