জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ২০২৩ সালের অনার্স চতুর্থ বর্ষের ব্যবহারিক ও মৌখিক পরীক্ষার সময়সূচিতে পরিবর্তন এনেছে। পূর্বে এ পরীক্ষা ১ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হওয়ার কথা ছিল, কিন্তু এখন তা পিছিয়ে নতুন তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে। সংশোধিত বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, পরীক্ষা ১৫ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হয়ে ৯ অক্টোবর পর্যন্ত চলবে।
সম্প্রতি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মো. এনামুল করিম স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পরীক্ষাগুলো গ্রহণের পর নম্বরপত্র ও পরীক্ষকদের বিল অনলাইনে পাঠাতে হবে। পাশাপাশি ম্যানুয়াল নম্বর ফর্দও সংশ্লিষ্ট শাখায় জমা দিতে হবে। পরীক্ষার পুরো প্রক্রিয়া পরিচালিত হবে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের Examination Management System (EMS) এর মাধ্যমে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, বহিঃপরীক্ষকের নাম অনলাইনের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট কলেজ ও পরীক্ষকদের জানিয়ে দেওয়া হবে। এরপর পরীক্ষকরা লগইন করে নিজ নিজ নিয়োগপত্র ডাউনলোড করতে পারবেন। কলেজগুলোও তাদের প্রোফাইল থেকে নির্দিষ্ট বিষয়ের বহিঃপরীক্ষকের নামের তালিকা সংগ্রহ করে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে পরীক্ষা সম্পন্ন করবে। কোনো বহিঃপরীক্ষক অপারগতা প্রকাশ করলে তাৎক্ষণিকভাবে সংশ্লিষ্ট শাখার সঙ্গে যোগাযোগ করে নতুন পরীক্ষক নিয়োগ করতে হবে। অনুমোদন ছাড়া পরীক্ষক নিয়োগ বা পরীক্ষা গ্রহণের সুযোগ নেই।
আর পরীক্ষা চলাকালে কলেজভিত্তিক নম্বরপত্র ও হাজিরাপত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট থেকে ডাউনলোড করতে হবে। পরীক্ষার্থী উপস্থিতি নিশ্চিত করার জন্য হাজিরাপত্রে সই দিতে হবে এবং নম্বর অবশ্যই কালো বলপেন দিয়ে ফর্দে লিখতে হবে। নম্বর অনলাইনে পাঠানোর আগে তা সঠিকভাবে যাচাই করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ভুল এন্ট্রির দায় সংশ্লিষ্ট শিক্ষক বা কর্মকর্তার ওপর বর্তায়। অনলাইনে নম্বর পাঠানোর পর বহিঃপরীক্ষক ও অন্তঃপরীক্ষক উভয়ের স্বাক্ষরকৃত মূল নম্বরপত্র এবং হাজিরাপত্র বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠাতে হবে।
নির্দেশনায় বলা হয়, তালিকায় নাম নেই এমন কোনো পরীক্ষার্থীর পরীক্ষা নেওয়া যাবে না। যদি কোনো বৈধ পরীক্ষার্থীর নাম বাদ পড়ে, তবে প্রবেশপত্র ও প্রয়োজনীয় কাগজসহ তাৎক্ষণিকভাবে সংশ্লিষ্ট শাখার সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে। অন্য কলেজের পরীক্ষার্থীরা অংশ নিলে তাদের আলাদা নম্বর ফর্দ ও হাজিরাপত্র তৈরি করে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয় জানিয়েছে, ব্যবহারিক পরীক্ষা শেষে সাত দিনের মধ্যে মূল নম্বরপত্র ও পরীক্ষকদের বিল সংশ্লিষ্ট শাখায় জমা দিতে হবে। অনুমতিবিহীন বহিঃপরীক্ষকের মাধ্যমে পরীক্ষা নেওয়া হলে তা গ্রহণ করা হবে না এবং পরীক্ষার্থীর ফল স্থগিত থাকবে। একইসঙ্গে পরীক্ষা সংক্রান্ত যেকোনো সমস্যার ক্ষেত্রে উপ-পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (অনার্স চতুর্থ বর্ষ শাখা) বা নির্ধারিত কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
মন্তব্য করুন