

চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে দুবাই থেকে আসা চার যাত্রীর ব্যাগেজ তল্লাশি করে বিপুল সিগারেট ও আমদানিনিষিদ্ধ রং ফর্সাকারী ক্রিম জব্দ করেছে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। উদ্ধার করা পণ্যের বাজারমূল্য আনুমানিক ৩০ লাখ টাকার বেশি। সোমবার (২২ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৯টার দিকে এই জব্দের ঘটনা ঘটে।
মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানায় বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ।
বিমানবন্দর সূত্র জানায়, তল্লাশিকালে ওই চার যাত্রীর ব্যাগ থেকে মোট ৮৬৭ কার্টন সিগারেট উদ্ধার করা হয়। এ ছাড়া তাদের কাছে পাওয়া যায় ৫০ পিস ‘গৌরী’ ব্র্যান্ডের আমদানিনিষিদ্ধ রং ফর্সাকারী ক্রিম।
জানা গেছে, গৌরী ক্রিম পাকিস্তানে তৈরি এবং দুবাই হয়ে বাংলাদেশে আনা হয়েছে। বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন (বিএসটিআই) ২০২০ সালে ৮টি রং ফর্সাকারী ক্রিম পরীক্ষা করে ক্ষতিকর মাত্রায় পারদ ও হাইড্রোকুইনোনের উপস্থিতি পায়। এসব প্রসাধনী ব্যবহারে চর্মরোগসহ নানা স্বাস্থ্যঝুঁকির আশঙ্কার কথা জানিয়ে বিএসটিআই সেগুলোর উৎপাদন, বিক্রি, বিপণন ও আমদানি নিষিদ্ধ করে। গৌরী ক্রিম ওই নিষিদ্ধ তালিকার অন্তর্ভুক্ত।
আমদানিনিষিদ্ধ ঘোষণার পর বৈধভাবে এই ক্রিম দেশে আনা বন্ধ হলেও যাত্রীদের মাধ্যমে আকাশপথে পাচারের প্রবণতা বাড়ে। চলতি বছরে ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিমানবন্দরে একাধিকবার যাত্রীদের কাছ থেকে এই ক্রিম জব্দের ঘটনা ঘটেছে।
কাস্টমস কর্মকর্তারা জানান, ব্যাগেজ রুল অনুযায়ী একজন যাত্রী শুল্কমুক্তভাবে সর্বোচ্চ এক কার্টন সিগারেট সঙ্গে আনতে পারেন। এর বেশি আনার সুযোগ নেই। পাশাপাশি আমদানি নীতি আদেশ অনুযায়ী সিগারেট শর্তযুক্ত আমদানি পণ্য। সিগারেটের প্যাকেটে বাংলায় ‘ধূমপান স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর’ লেখা থাকা বাধ্যতামূলক।
বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ জানায়, যেসব যাত্রীর কাছ থেকে সিগারেট ও নিষিদ্ধ ক্রিম জব্দ করা হয়েছে, তারা দুবাই থেকে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইটে চট্টগ্রামে পৌঁছান। ওই যাত্রীরা হলেন রেজাউল করিম, মিজানুর রহমান, রিদওয়ানুল হক ও মো. সালাউদ্দিন।
শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের জনসংযোগ কর্মকর্তা মোহাম্মদ ইব্রাহিম খলিল বলেন, জব্দ করা সিগারেটের আনুমানিক বাজারমূল্য প্রায় ৩০ লাখ ২৪ হাজার টাকা। উদ্ধার করা সিগারেট ও নিষিদ্ধ ক্রিম চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের হেফাজতে রাখা হয়েছে। এ ঘটনায় সংশ্লিষ্ট চার যাত্রীকে মৌখিকভাবে সতর্ক করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন