

২০২৬ সালের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার পুনর্নিরীক্ষণের ফল প্রকাশ হয়েছে। এতে ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের আওতাভুক্ত শিক্ষার্থীদের মধ্যে নতুন করে ২০১ জন পরীক্ষার্থী জিপিএ–৫ পেয়েছেন। পাশাপাশি ৩০৮ জন শিক্ষার্থী ফেল থেকে পাস করেছেন।
রোববার (১৬ নভেম্বর) সকালে পুনর্নিরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়। ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এ বছর মোট ৭৯ হাজার ৬৭১ জন শিক্ষার্থী পুনর্নিরীক্ষণের জন্য আবেদন করেছিলেন। তাদের মধ্যে ২ হাজার ৩৩১ জনের ফলাফলে পরিবর্তন এসেছে।
এ বছর ২০২৫ সালের উচ্চমাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) ও সমমানের পরীক্ষা ফল গত ১৬ অক্টোবর প্রকাশ করা হয়। খাতা চ্যালেঞ্জ প্রক্রিয়া শেষ গত ২৩ অক্টোবর।
পুনর্নিরীক্ষণের আবেদন শুধু অনলাইনে করা হয়েছে।
শিক্ষা বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, এবার খাতা পুনর্নিরীক্ষণের জন্য রেকর্ডসংখ্যক আবেদন জমা পড়েছে। দেশের ১১টি শিক্ষা বোর্ডে মোট ২ লাখ ২৬ হাজার শিক্ষার্থী আবেদন করেছেন, যারা ৪ লাখ ২৮ হাজার খাতা পুনর্নিরীক্ষণের জন্য চ্যালেঞ্জ করেছেন। এর মধ্যে সর্বাধিক আবেদন পড়েছে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডে, আর সবচেয়ে কম আবেদন পড়েছে বরিশাল বোর্ডে।
বিষয়ভিত্তিকভাবে সবচেয়ে বেশি আবেদন এসেছে ইংরেজি ও তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) বিষয়ে। গত ১৬ অক্টোবর ফল প্রকাশের পরদিন ১৭ অক্টোবর থেকে ২৩ অক্টোবর পর্যন্ত সাত দিন আবেদন গ্রহণ করা হয়। শিক্ষার্থীরা প্রতি বিষয়ে ১৫০ টাকা ফি দিয়ে পুনর্নিরীক্ষণের আবেদন করেন।
ঢাকা বোর্ডের তথ্য অনুযায়ী, এখানে ২ লাখ ৯২ হাজার ৫৬ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ৬৬ হাজার ১৫০ জন আবেদন করেছেন, যা থেকে জমা পড়েছে ১ লাখ ৩৬ হাজার ৫০৬টি খাতা পুনর্নিরীক্ষণের আবেদন।
এরপরই রয়েছে কুমিল্লা ও রাজশাহী বোর্ড। কুমিল্লা বোর্ডে ২২ হাজার ৫০৩ জন শিক্ষার্থী ৪২ হাজার ৪৪টি, রাজশাহীতে ২০ হাজার ৯২৪ জন শিক্ষার্থী ৩৬ হাজার ১০২টি, আর চট্টগ্রাম বোর্ডে ২২ হাজার ৫৯৫ জন ৪৬ হাজার ১৪৮টি খাতা চ্যালেঞ্জ করেছেন।
যশোর বোর্ডে আবেদনকারীর সংখ্যা ২০ হাজার ৩৯৫ জন, মোট খাতা ৩৬ হাজার ২০৫টি। দিনাজপুরে ১৭ হাজার ৩১৮ জন শিক্ষার্থী ২৯ হাজার ২৯৭টি খাতা পুনর্নিরীক্ষণের আবেদন করেছেন।
ময়মনসিংহ বোর্ডে আবেদন করেছেন ১৫ হাজার ৫৯৮ জন (খাতা ৩০ হাজার ৭৩৬টি), সিলেট বোর্ডে ১৩ হাজার ৪৪ জন (খাতা ২৩ হাজার ৮২টি), কারিগরি বোর্ডে (বিটিইবি) ১২ হাজার ৭ জন (খাতা ১৫ হাজার ৩৭৮টি) এবং মাদ্রাসা বোর্ডে ৭ হাজার ৯১৬ জন (খাতা ১৪ হাজার ৭৩৩টি)।
সবচেয়ে কম আবেদন পড়েছে বরিশাল শিক্ষা বোর্ডে, যেখানে মাত্র ৮ হাজার ১১ জন শিক্ষার্থী ১৭ হাজার ৪৮৯টি খাতা পুনর্নিরীক্ষণের আবেদন করেছেন।
২০২৫ সালের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষায় দেশের ৯ হাজার ১৯৭টি প্রতিষ্ঠান থেকে ১২ লাখ ৫১ হাজার ১১১ জন শিক্ষার্থী অংশ নেন। এর মধ্যে ছাত্র ৬ লাখ ১১ হাজার ৪৪৭ জন ও ছাত্রী ৬ লাখ ২৪ হাজার ২১৫ জন।
আগের ফল অনুযায়ী মোট ৭ লাখ ২৬ হাজার ৯৬০ জন শিক্ষার্থী উত্তীর্ণ হয়েছে, যা মোট পরীক্ষার্থীর ৫৮ দশমিক ৮৩ শতাংশ। ফেল করেছে ৫ লাখ ৮ হাজার ৭০১ জন (৪১ দশমিক ১৭ শতাংশ)। ছাত্রীদের পাসের হার ৬২ দশমিক ৯৭ শতাংশ, আর ছাত্রদের ৫৪ দশমিক ৬০ শতাংশ।
মন্তব্য করুন