সিরাজগঞ্জ শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজের ছাত্র আরাফাত আমিন তমালকে গুলি করার ঘটনার প্রতিবাদে ক্লাস বর্জন কর্মসূচিসহ অবস্থান ধর্মঘটের আন্দোলন প্রত্যাহার করেছেন শিক্ষার্থীরা। তবে অভিযুক্ত শিক্ষক ডা. রায়হান শরীফের শাস্তি না হওয়া পর্যন্ত সভা সেমিনার ও পোস্টারিংসহ অন্যান্য আন্দোলন চলবে বলে জানিয়েছেন তারা।
বুধবার (৬ মার্চ) সকাল থেকেই শিক্ষার্থীরা ক্লাস বর্জন করে কলেজ ক্যাম্পাসের বাইরে মানববন্ধন ও অবস্থান কর্মসূচির প্রস্তুতি নেন শিক্ষার্থীরা।
তবে পুলিশ ও কলেজ প্রশাসনের হস্তক্ষেপে তারা এসব কর্মসূচি থেকে সরে আসেন। এক পর্যায়ে অভিযুক্ত শিক্ষক রায়হান শরীফের সাময়িক বরখাস্তের খবরে আশ্বস্ত হয়ে ক্লাস বর্জন কর্মসূচি প্রত্যাহার করে নেন তারা।
কলেজের ছাত্র ইন্টার্ন চিকিৎসক মোহাম্মদ রাহাত বলেন, আমরা সকাল থেকেই ক্লাস বর্জন করে আন্দোলনে ছিলাম। স্যারদের কাছে কিছু দাবি জানিয়েছি। ওনারা আমাদের আশ্বস্ত করেছেন। তাছাড়া শিক্ষক রায়হান শরীফকে বরখাস্ত করা হয়েছে। তাই আমরা ক্লাস বর্জনের আন্দোলন প্রত্যাহার করেছি। বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) থেকেই আমরা ক্লাসে ফিরবো। তবে ওই শিক্ষকের বিচার না হওয়া পর্যন্ত পোস্টারিং, সভা সেমিনারসহ অন্যান্য আন্দোলন চালিয়ে যাব।
সদর থানার ওসি সিরাজুল ইসলাম জানান, শিক্ষার্থীরা ক্লাস বর্জন করে আন্দোলন করতে চেয়েছিল। আমরা তাদের আশ্বস্ত করেছি এবং স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ওই শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্ত করেছে। এসব খবরে শিক্ষার্থীরা ক্লাসে ফিরে গেছেন।
কলেজের অধ্যক্ষ ডা. আমিরুল হোসেন চৌধুরী বলেন, শিক্ষার্থীদের দাবি ছিল শিক্ষক রায়হান শরীফ যাতে কলেজে না থাকে। ইতিমধ্যে স্বাস্থ্য বিভাগ ওই শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্ত করেছে। ছাত্ররাও তাদের ক্লাস বর্জনের আন্দোলন প্রত্যাহার করে নিয়েছেন।
মন্তব্য করুন