আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ঢাকা-৮ আসনে নৌকার প্রার্থী আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেছেন, মা তার সন্তানকে নিয়ে ট্রেনে ঘুমিয়ে ছিলেন। এই ট্রেনে বিএনপির অগ্নিসন্ত্রাসীরা আগুন দিয়ে তাদের পুড়িয়ে মেরেছে, এতটা মর্মান্তিক দৃশ্য। এ অপকর্ম যারা করে তারা কখনও দেশের মানুষকে ভালোবাসতে পারে না।
বৃহস্পতিবার (২১ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় বঙ্গবন্ধু পরিষদ আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, বিএনপি-জামায়াত ভোট ঠেকানোর নামে দেশের মানুষের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে। ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানি বাহিনী, রাজাকার, আল বদররা যেভাবে দেশের সাড়ে সাত কোটি মানুষের বিপক্ষে যুদ্ধ করেছিল, একইভাবে আজ বিএনপি-জামায়াত দেশের মানুষের ওপর আঘাত আনছে।
তিনি বলেন, আজ বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, মুক্তিযুদ্ধের মূল্যবোধ ও অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ বিনির্মাণের বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে বিএনপি-জামায়াত। তারা সন্ত্রাসী ও দেশবিরোধী অপশক্তি। এরা অপরাধনীতি করে। বিএনপি যা করছে তা রাজনীতি নয় বিশ্বাসঘাতকতা। তারা অগ্নিসন্ত্রাসের মাধ্যমে দেশের মানুষকে পুড়িয়ে মারে। তারা সাম্প্রদায়িক শক্তির আশ্রয় ও প্রশ্রয়দাতা। বাঙালি জাতির হাজার বছরের যে সাম্প্রদায়িক ঐতিহ্য রয়েছে এ সাম্প্রদায়িক বন্ধনকে তারা ধ্বংস করতে চায়।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, মানুষ পুড়িয়ে মারা কখনও দেশের মানুষের অধিকারের আন্দোলন হতে পারে না। এটি যদি না হয় তবে দেশের মানুষ কেন তাদের সমর্থন করবে। দেশের মানুষ তাদের সমর্থন করে না বলেই তারা সন্ত্রাসের পথে হাঁটছে। তারা জঙ্গি কায়দায় চোরাগুপ্তা হামলা করে। দেশের মানুষের বিপক্ষে এদের এই রাজনীতিকে ধিক্কার জানাই।
আমরা জনগণের রায় নিয়ে আবারও জিততে চাই উল্লেখ করে নাছিম বলেন, আগামী ৭ জানুয়ারি সবাই ভোটকেন্দ্রে যাবেন ও ভোট দেবেন। আমি আপনাদের কাছে নৌকা মার্কায় ভোট চাই। কেন না যেভাবে বাংলাদেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতি হচ্ছে নৌকায় ভোট দিলে সেটি আরও বেগবান হবে, কথা দিচ্ছি আপনারা আমাকে পাশে পাবেন। আপনজনের মতো পাশে থাকব। আমি আপনাদের এলাকার সেবক হিসেবে কাজ করতে চাই। সেজন্য আপনাদের সহযোগিতা চাই।
তিনি বলেন, আমি জানি আমার এলাকার মানুষের কী সমস্যা। সেই সমস্যাগুলো সমাধান করব। ঢাকা-৮ স্মার্ট এলাকায় পরিণত হবে। আমার এলাকার মানুষের প্রত্যাশা পূরণে আলোচনা করে কাজ করব। সুখে-দুঃখে পাশে থাকব। শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রেখে কীভাবে এই এলাকাকে আরও উন্নত করা যায় সেই চেষ্টাই করব।
বঙ্গবন্ধু পরিষদের সেগুনবাগিচা শাখার সভাপতি পেয়ারা খানের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য দেন স্থানীয় কাউন্সিল ফরিদউদ্দিন রতন, ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ডা. দিলীপ রায়, ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মহিউদ্দিন মহি, মিরাজ হোসেন, শ্রম সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ প্রমুখ।
মন্তব্য করুন