মডেলিং দিয়ে শোবিজে যাত্রা শুরু নবাগত নায়িকা জান্নাতুল ফেরদৌস স্নিগ্ধার। তারপর টিভিসি ও নাটকেও কাজ করেছেন। বছর দুয়েক হলো নাম লিখিয়েছেন সিনেমায়। ‘সোনার চর’ সিনেমার মাধ্যমে প্রথমবার বড় পর্দার জন্য ক্যামেরার সামনে দাঁড়ান তিনি। জাহিদ হোসেন পরিচালিত ‘সোনার চর’ এ তার সহশিল্পী চিত্রনায়ক জায়েদ খান। এরপর ‘সুবর্ণভূমি’ নামের আরেকটি সিনেমায় কাজ করেন তিনি। এই সিনেমায় তার নায়ক সজল। এবার ‘পাপী’ নামের একটি সিনেমায় চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন এই নায়িকা। এটি পরিচালনা করছেন সুলতান মজুমদার। এ সিনেমার মাধ্যমে প্রথমবার শ্যামল মওলার বিপরীতে কাজ করতে চলেছেন স্নিগ্ধা।
নতুন সিনেমা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘পাপী সিনেমায় পাপড়ি চরিত্রে অভিনয় করছি। অ্যাকশন-থ্রিলার ঘরানার গল্পে এটি নির্মিত হবে। গল্পে আমার চরিত্রে বেশ চমক আছে। পাপড়ি সাহসী একটি মেয়ে। তার জীবনের দুইটা পার্ট। তার একটা অতীত আছে, যা সবসময় যন্ত্রণা দেয়। পাপড়ির জীবনটাই সংগ্রামী। মানুষের প্ররোচনায় একটা সময় খারাপ পথে পা বাড়ায়। গল্প মোড় নেয় ভিন্ন দিকে। বাকিটা এই মুহূর্তে বলতে পারব না।’
শ্যামল মওলার সঙ্গে প্রথমবার কাজ করতে যাওয়ার অনুভূতি জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এখন অব্দি ওনার (শ্যামল মওলা) সঙ্গে সেভাবে কথা হয়নি। সাইনিংয়ের পর অন্য একটা ছবির শুটিংয়ে চলে এসেছি। তবে ওনার অনেক কাজ দেখেছি। শ্যামল মওলা অনেক ভালো কাজ করেন। ওনার কাজ ভালো লাগে। শ্যামল ভাইয়ের সঙ্গে আমার প্রথম এবং ক্যারিয়ারের তৃতীয় সিনেমাটি দর্শকরা ইতিবাচকভাবে গ্রহণ করবে।’
অ্যাকশন থ্রিলার সিনেমায় কাজের জন্য স্নিগ্ধার প্রস্তুতি কেমন? নাচ, ফাইট জানে কিনা? এমন প্রশ্নের জবাবে স্নিগ্ধা বলেন, ‘আমি অনেক আগেই ফাইট শিখেছি। ছোটবেলা থেকেই ডান্স করি। ফাইট যে খুব বেশি পারি তা বলব না, তবে যতটা দরকার ততটাই পারি। এর বাইরে ড্রাইভিংও পারি। ড্রইং পারি। সিনেমাতে আসার আগে থেকেই এগুলো আমি শিখেছি।’
নাচের ওপর একটু বেশি জোর দিলেন এই নবাগতা। বললেন, ‘একদম ছোটবেলা থেকেই ডান্স করি। জানেন, আমার মুভিতে একটা আইটেম গান আছে। পরিচালককে বলেছি, সেই গানে আমি নিজেই পারফর্ম করব।’
পড়াশোনাতেও প্রথম সারিতে রয়েছেন স্নিগ্ধা। জানালেন, ছোটবেলা থেকে যত বোর্ড পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন সবটিতেই গোল্ডেন এ প্লাস পেয়েছেন। এই মুহূর্তে ইউল্যাব বিশ্ববিদ্যালয়ে কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে পড়ছেন তিনি।
ব্যক্তিগত জীবন কেমন কাটছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এই মুহূর্তে পড়াশোনা আর শুটিং নিয়েই চলছে।’ আরও জানালেন, পৈতৃক বাড়ি বরিশালে হলেও ঢাকাতেই বেড়ে উঠেছেন।
মিডিয়ার প্রতি সাধারণ মানুষের নেতিবাচক ধারণা রয়েছে। এসব জানা সত্ত্বেও কেন মিডিয়ায় এলেন? এমন প্রশ্নের জবাবে স্নিগ্ধা বলেন, ‘সব জায়গাতেই খারাপ-ভালো আছে। মিডিয়া আমার ভালো লাগার জায়গা। আমার ভালো লাগা থেকেই এখানে কাজ করছি। আমি সবসময় ভালোটাকেই গ্রহণ করি।’ মিডিয়ায় কাজ করতে গেলে কাস্টিং কাউচসহ নানা ধরনের নেতিবাচক সমস্যার মুখোমুখি হতে হয় নায়িকাদের। স্নিগ্ধার ক্ষেত্রে এমন কিছু ঘটেছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমি তো জানিই না মিডিয়ায় খারাপ কিছু হয় কিনা! কোনো প্রবলেম হয় কিনা। আমার দুটো সিনেমা কমপ্লিট, কিন্তু নেগেটিভ কিছু দেখিনি এখন পর্যন্ত। এসব কারা বলে! আমি তো নেগেটিভ কোনো কিছু দেখিনি।’
মিডিয়ায় কাজের ক্ষেত্রে পরিবারের সমর্থন আছে কিনা জানতে চাইলে স্নিগ্ধা বলেন, ‘আমার বাবা-মা’র ফুল সাপোর্টেই আমি এখানে। আমার মা সবসময় আমার শুটিং স্পটে থাকে। আব্বু-আম্মুর ভালোবাসা নিয়েই মিডিয়ায় কাজ করছি। আমার চেয়ে আম্মুর আগ্রই বেশি। আম্মু চাইতেন তার একটা মেয়ে হলেই তাকে নায়িকা বানাবেন। কারণ তিনি শাবনূর-মৌসুমীর ভক্ত ছিলেন। সেখান থেকেই আমাকে মিডিয়ায় কাজের ব্যাপারে অনুপ্রাণিত করেছেন।
মন্তব্য করুন