পরিচালক সানী সানোয়ার ও ফয়সাল আহমেদের নির্মাণে আসছে ‘মিশন হান্টডাউন’। পুলিশি অ্যাকশনধর্মী এই সিরিজ ২৮ জুন মুক্তি পাবে হইচইয়ে। ইতোমধ্যেই প্রকাশ পেয়েছে এর ট্রেলার। অ্যাকশন ও রহস্যের পাশাপাশি এই সিরিজে দেখা যাবে এক অসহায় নারীর হতাশার বহিঃপ্রকাশ। এতে ‘মাহিদ’ চরিত্রে রয়েছেন এফ এস নাঈম। নীরা চরিত্রে দেখা যাবে অভিনেত্রী বিদ্যা সিনহা মিমকে। সিরিজটি মুক্তির আগে বেশ উৎফুল্ল আছেন অভিনেতা নাঈম। এর অভিনয়ে নিজেকে মেলে ধরেছেন তিনি। ছোটাছুটি করছেন এর প্রচারেও।
কালবেলাকে নাঈম বলেন, অনেক বড় একটি বিশ্বাসের নাম হচ্ছে ‘মাহিদ’ চরিত্র। এই বিশ্বাসের সঙ্গে সানী সারোয়ার ও ফয়সাল আহমেদ যুক্ত। এতে ‘মিশন হান্টডাউন’—এর সব কলাকুশলীও সম্পৃক্ত। আমাকে বিশ্বাস করে এত বড় একটি দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। আমি এই চরিত্র ফুটিয়ে তুলতে পারব—এ বিশ্বাস থেকেই চরিত্রটি দেওয়া হয়েছে আমাকে।
নাঈমকে ঠান্ডা চরিত্রে দেখতেই বেশি অভ্যস্ত তার ভক্তরা। কিন্তু এই সিরিজে নিজের ছাঁচ থেকে বেরিয়ে অভিনয় করতে হয়েছে তাকে। প্রস্তুতিটা কেমন ছিল? কালবেলার এমন প্রশ্নের জবাবে নাঈম বলেন, সানী ভাইয়ের ব্রিফ পাওয়ার পরই আমার প্রিপারেশন শুরু হয়ে গেছে। তার সঙ্গে আমার ফিলোসফিক্যাল একচেঞ্জ হচ্ছিল বারবার। মানে চরিত্রটার ফিলোসফি বুঝতে চেষ্টা করেছি। সেটা ডেভেলপ করতে আমাদের অনেক সময় লেগে গেছে। আসলে এই চরিত্রটা একটা সাধনার মতো। এ ছাড়া আমি যে কাজ হাতে নিই, সেটিতেই পুরোপুরি ফোকাস করতে চেষ্টা করি। তাতে যে কয়দিন লাগে লাগুক। পরবর্তী কাজ নিয়ে টেনশন করা, নেক্সট কাজ নিয়ে ভাবা—এগুলো আমার মধ্যে নেই।
শুটিং চলার সময়ের স্মৃতি টেনে এই অভিনেতা বলেন, আমি কোথাও যাওয়ার পর ‘আমি’ থেকে ‘আমরা’ হয়ে যাই। অবসরে আমরা পুরো টিম একসঙ্গে বসে গল্প করতাম, গান গাইতাম। আমাদের বন্ডিংটা খুব চমৎকার ছিল। সবসময় সিন নিয়ে আলোচনা চলতেই থাকত। এটা আমার কাছে অনেক মজার ছিল। এই সিরিজের প্রত্যেকে ভালো অভিনয়শিল্পী। এ মুহূর্তে ‘মিশন হান্টডাউন’ ছাড়া আর কোনো অ্যাঙ্গেজমেন্ট নেই আমার।
অন্যদিকে নীরা চরিত্রের বিষয়ে অভিনেত্রী বিদ্যা সিনহা মিম কালবেলাকে বলেন, নীরা মফস্বলের একটি চরিত্র, যার স্বামী বিয়ের পরপরই হারিয়ে যায়। এরপর স্বামীকে খুঁজতে সে ঢাকায় আসে। শহরে আসার পর সাধারণ একটি মেয়ের যত ধরনের স্ট্রাগল থাকে, সেটাই এখানে দেখানো হয়েছে।
মন্তব্য করুন