ডিজে সনিকা ও সুমিদের পরে ডিজে প্রফশনে এসে নিজেকে দারুণভাবে খাপ খাইয়ে নিয়েছেন ডিজে সাবরিন আহমেদ তৃষা। কালবেলাকে ডিজেয়িংয়ের হালচালের ফিরিস্তি দিতে গিয়ে তিনি বলেন, এই সেক্টরে কখনো কখনো নারী ডিজেদের কাছেও অনৈতিক প্রস্তাব আসে। তবে সেগুলোকে এড়িয়ে গিয়ে শুধু কাজেই মনযোগী হতে আহ্বান করলেন তৃষা। বললেন, ‘অনৈতিক প্রস্তাব পাওয়া বা না পাওয়াটা যার যার সার্কেলের ওপর নির্ভর করে। আমার সার্কেলে যারা আছেন তারা প্রত্যেকেই সুশিক্ষিত ও প্রফেশনাল। তবে এই সেক্টরে বাজে প্রস্তাব যে একেবারেই আসে না, তা নয়। বলা হয়— এক্সট্রা কিছু দেওয়া হবে, আপনি একটু ব্যবস্থা রাখবেন। এখানে ‘ব্যবস্থা’ বলতে হয়তো ‘ফ্লোর ডান্স’-কে বোঝানো হয়। কিংবা অন্য কিছু। কিন্তু আমাদের এই বিষয়টা পুরো এড়িয়ে যাওয়া উচিত। আমাকে কখনই কেউ এ ধরনের প্রস্তাব দেওয়ার সাহস পায়নি।’
২০০৮ সালে নবম শ্রেণির ছাত্রী থাকাকালীন এক প্রোগ্রামে ডিজে পার্টি দেখে এর প্রতি আকৃষ্ট হন তৃষা। তখনই মনে বপন করেন ডিজে হওয়ার বাসনা। পরে ডিজে রাহাতের স্কুল ‘গ্যারাজ’ থেকে তা শিখে নেন। তৃষার ভাষ্য, ‘ডিজে আমার কাছে বেশ ইউনিক একটা বিষয় লেগেছিল। আমি এটা খুব কষ্ট করে শিখেছি। বাসায় পারমিশন ছিল না। লুকিয়ে লুকিয়ে শিখতে হয়েছে।’
বিয়ের পরও এই প্রফশনে থেকে গেছেন তৃষা। বললেন, ‘আমি কিন্তু বিয়ের পরই বেশি পপুলার হয়েছি। আমি এখন ডিভোর্সড। আমার বিয়ের পর পুরো বাংলাদেশ আমাকে চিনেছে। হ্যাঁ, বিয়ের পর অনেক মেয়েই পিছিয়ে যায়। এই প্রফেশন ছেড়ে দেয়।’
যেসব মেয়েরা ডিজে হতে চায় তাদের উদ্দেশ্যে তৃষা বলেন, ‘ডিজে সেক্টরটা মেয়েদের জন্য বেস্ট একটা জায়গা, যদি সেটা মেইন্টেইন করা যায়। আপনারা আসুন, আপনাদেরই দরকার। মেয়েদের জন্য এই প্ল্যাটফর্মটা বেশ উপযোগী। ছেলেদের জন্যও।’
মন্তব্য করুন