মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এবারের মেমোরিয়াল ডে ছুটিতে হলিউড বক্স অফিসে ইতিহাস সৃষ্টি হয়েছে। ডিজনির লাইভ-অ্যাকশন রিমেক ‘লিলো অ্যান্ড স্টিচ’ ও টম ক্রুজ অভিনীত ‘মিশন ইম্পসিবল: দ্য ফাইনাল রেকনিং’ দেখার জন্য দেশটির সিনেমা হলগুলোয় দর্শকের উপচে পড়া ভিড় লক্ষ করা গেছে। খবর: ভ্যারাইটি
চার দিনের ছুটির উইকেন্ডে ‘লিলো অ্যান্ড স্টিচ’ আয় করেছে ১৮৩ মিলিয়ন ডলার, যার মধ্যে মাত্র তিন দিনেই আয় হয়েছে ১৪৫.৫ মিলিয়ন ডলার। এটি মেমোরিয়াল ডে উইকেন্ডের ইতিহাসে সর্বোচ্চ উদ্বোধনী আয়ের রেকর্ড, যা টপকে গেছে টম ক্রুজেরই ২০২২ সালের ব্লকবাস্টার ‘টপ গান: ম্যাভেরিক’-এর ১৬০ মিলিয়ন ডলারের রেকর্ড আয়কে।
একই সময়ে মুক্তি পাওয়া ‘মিশন ইম্পসিবল: দ্য ফাইনাল রেকনিং’ সিনেমাটিও নজরকাড়া সাফল্য পেয়েছে। সিরিজটির ইতিহাসে এটি সর্বোচ্চ উদ্বোধনী আয় করেছে—তিন দিনে ৬৩ মিলিয়ন এবং চার দিনে মোট ৭৭ মিলিয়ন ডলার। দীর্ঘ ২৯ বছর ধরে চলা এই ফ্র্যাঞ্চাইজির এটি অষ্টম কিস্তি।
শুধু যুক্তরাষ্ট্রেই নয়, বিশ্বজুড়ে ঝড় তুলেছে ‘লিলো অ্যান্ড স্টিচ’। চার দিনেই বিশ্বব্যাপী সিনেমাটির মোট আয় দাঁড়িয়েছে ৩৪১.৭ মিলিয়ন ডলার। এটি ডিজনির লাইভ-অ্যাকশন রিমেকগুলোর মধ্যে অন্যতম সফল ছবি হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। ছবিটির নির্মাণ ব্যয় ১০০ মিলিয়ন ডলার এবং প্রচারণায় খরচ হয়েছে আরও ১০০ মিলিয়ন।
অন্যদিকে ‘মিশন ইম্পসিবল: দ্য ফাইনাল রেকনিং’ নির্মাণে ব্যয় হয়েছে প্রায় ৪০০ মিলিয়ন ডলার, যা এই সিরিজে সর্বোচ্চ। আন্তর্জাতিকভাবে ছবিটি আয় করেছে ১২৭ মিলিয়ন ডলার, মোট আয় দাঁড়িয়েছে ১৯০ মিলিয়ন। ছবিটির পরিচালক ক্রিস্টোফার ম্যাককোয়ারি। বিশাল বাজেট ও অতিমারির কারণে বিলম্বিত শুটিংয়ের পর এই ছবিটি প্রফিটে পৌঁছাতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় রয়ে গেছে।
এ মাসের বক্স অফিসে তৃতীয় স্থানে রয়েছে আরেক জনপ্রিয় হলিউড ফ্র্যাঞ্চাইজি ‘ফাইনাল ডেস্টিনেশন: ব্লাডলাইন্স’। এরই মধ্যে ছবিটি দুই সপ্তাহে বিশ্বব্যাপী আয় করেছে ১৮৭ মিলিয়ন ডলার।
মন্তব্য করুন