নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১২ জুলাই ২০২৪, ০৯:৫৫ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

আবার মঞ্চে দেশ নাটকের ‘নিত্যপুরাণ’

আবার মঞ্চে আসছে দেশ নাটকের সাড়া জাগানো প্রযোজনা ‘নিত্যপুরাণ’। ছবি : কালবেলা
আবার মঞ্চে আসছে দেশ নাটকের সাড়া জাগানো প্রযোজনা ‘নিত্যপুরাণ’। ছবি : কালবেলা

দীর্ঘ বিরতির পর আবার মঞ্চে আসছে দেশ নাটকের সাড়া জাগানো প্রযোজনা ‘নিত্যপুরাণ’। আগামী ১৬ জুলাই (মঙ্গলবার) সন্ধ্যা ৭টায় শিল্পকলা একাডেমির পরীক্ষণ মঞ্চে হবে নাটকটির ১২৭তম প্রদর্শনী।

মহাভাতের একলব্য আখ্যান উপজীব্য করে মাসুম রেজা রচনা করেছেন ‘নিত্যপুরাণ’। নাট্যকার নির্দেশিত এ নাটকে অভিনয় করেছেন মামুন চৌধুরী রিপন, সুষমা সরকার, আসিফ হাসান, হাফিজ রেদু, কামাল আহমেদ, ফিরোজ আলম, হোসাইন নিরব, সালমান লিমন, মাইনুল হাসান মাঈন, সুস্মিতা সাহা, মেঘলা মায়া, কাজী লায়লা বিলকিস, ইসমেত্ জেরিন প্রমুখ। মামুন চৌধুরী রিপন বলেন, আমি মনে করি মাসুম রেজা রচিত ও নির্দেশিত নিত্যপুরাণ নাটকটি বাংলাদেশের থিয়েটারে এক অসামান্য সৃষ্টি। তেমনি একলব্য যে কোনো অভিনেতার জন্য খুবই লোভনীয় একটি চরিত্র। প্রয়াত দিলীপ চক্রবর্তী দাদা যখন এ চরিত্রটি করতেন, উনার অভিনয় মুগ্ধ হয়ে দেখতাম। আর ভাবতাম আহা এ চরিত্রটি যদি আমি জীবনে কোনোদিন করতে পারতাম, তাহলে আমার চাওয়া-পাওয়া বলতে অভিনয়ে আর কিছুই থাকতো না। আমি স্বপ্নের সেই চরিত্রে অভিনয়ের সুযোগ পেয়েছি। একলব্য করার পর আমার মনে হয়, জীবনে মঞ্চে আর কোনো চরিত্রে অভিনয় না করলেও চলে। কতটুকু পারছি সেটা দর্শকই মূল্যায়ন করবেন। তবে আমি নিজেকে ধন্য মনে করছি।

সুষমা সরকার বলেন, নিত্যপুরাণ আমার খুব পছন্দের একটি নাটক। এর প্রতিটি সংলাপ আমাকে আলোড়িত করে। চরিত্রের গাঁথুনি এবং মানুষ যে তার নিয়তিকে খণ্ডাতে পারে না তা কী দারুণভাবে মাসুম ভাই এখানে তুলে ধরেছেন! মহাভারতের একলব্য আখ্যানকে তুলে এনে তিনি একলব্যকে অন্য এক উচ্চতায় দাঁড় করিয়েছেন এবং দ্রৌপদীর নারী সত্তাকে দারুণভাবে ব্যাখ্যা করেছেন। সব মিলিয়ে দ্রৌপদী আমার খুবই পচ্ছন্দের একটি চরিত্র।

‘নিত্যপুরাণ’ সম্পর্কে নাট্যকার মাসুম রেজা বলেন, ‘একলব্য আখ্যান মহাভাতের একটি অতি ক্ষুদ্র অংশ। কিন্তু একলব্যের এই অতি ক্ষুদ্র মর্মগাথার যে অন্তর্গত সত্য ও শক্তি তা মহাভারতের ব্যাপকতাকেও যেন ছাপিয়ে যায়, এ বোধ আমার একান্ত নিজের। মহাভারত পাঠকালে একলব্যকে আমার খুব কাছের মানুষ বলে মনে হয়েছে। মনে হয়েছে এ যেন আমি, এ যেন আমরা, সাধারণ মানুষ। একলব্যকে আমার দেখতে ইচ্ছে হয়েছে অন্যভাবে, পাণ্ডব কিংবা কৌরবদের চেয়েও কুশলী বীররূপে। আমার রচনা এবং তাকে মঞ্চে নাটক হিসেবে গড়ে তোলার কাজে আমি সর্বতোভাবে সে চেষ্টাই করেছি।’

নিত্যপুরাণের আলোক পরিকল্পনা করেছেন নাসিরুল হক খোকন, আলোক সহযোগী ফারুক খান টিটু, সেট পরিকল্পনা করেছেন কামাল উদ্দিন কবির, সুর ও সংগীত নির্দেশনায় নাসিরউদ্দিন শেখ, প্রপস প্রাণ রায়, পোশাক পরিকল্পনায় শাহনেওয়াজ কাকলী, রূপসজ্জা পরিকল্পনায় শুভাশীষ দত্ত তন্ময়, কোরিওগ্রাফি করেছেন মো. আমানুল্লাহ আমান ও বাকার বকুল, আবহ সংগীত ইমামুর রশিদ খান। প্রযোজনা অধিকর্তা এহসানুল আজিজ বাবু।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

জানাজায় প্রথমবার মুখ খুললেন হুমায়রার বাবা

যারা মব তৈরি করেছে, তাদের কেন গ্রেপ্তার করা হচ্ছে না : তারেক রহমান

শালীর সঙ্গে প্রেম, জামাইয়ের শিরশ্ছেদ করলেন শ্বশুর

স্ত্রীকে কুপিয়ে হত্যার পর স্বামীর আত্মহত্যা

নারী ‍আসনে সরাসরি নির্বাচনের দাবিতে মহিলা পরিষদের সমাবেশ

খারাপ প্রস্তাব তো এখনো পাই : বাঁধন

বৃষ্টিতে তলিয়ে গেছে সাড়ে ৬০০ চিংড়ি ঘের

বিবেক জাগান

‘যারা অতিরিক্ত বিএনপি বিএনপি করে তারা দোসর ও সুবিধাভোগী’

জবি ছাত্রদলের আরেক নেতার পদত্যাগ

১০

মেয়েকে হত্যার পর আত্মহত্যার নাটক সাজালেন বাবা

১১

ডেঙ্গু : ২৪ ঘণ্টায় আরও ১ মৃত্যু, হাসপাতালে ৩৯১

১২

টালিউডে পা রাখছেন নওশাবা

১৩

মিটফোর্ডের ঘটনার সঙ্গে রাজনীতির কোনো সম্পর্ক নেই : রিজভী

১৪

পুলিশকে কুপিয়ে হাতকড়া নিয়ে পালানো সেই আসামি ফের গ্রেপ্তার

১৫

সৌদি আরবে সম্পত্তি কিনতে পারবেন বিদেশিরা

১৬

ছাত্রদলের ৯ নেতার পদত্যাগ

১৭

বাঙলা কলেজ ছাত্রদল নেতার পদত্যাগ

১৮

ডিজিটাল পদ্ধতিতে ইয়াবা সরবরাহ করতেন ইসাহাক ‎

১৯

টাকা, ফোনের পর জামা-জুতাও খুলে নিয়ে গেল ছিনতাইকারীরা

২০
X