বাঁধভাঙা উল্লাস, আবেগ আর সহস্র ভালোবাসার গল্পের উপলক্ষ্য। ফুটবলের স্থান ইতালিতে সবার উপরে। অথচ চারবারের বিশ্ব্জয়ীরা যেন হারিয়েই গেছে। টানা দুই বিশ্বকাপে খেলার যোগ্যতাই অর্জন করতে পারেনি। তবে অবশেষে ইতালি ফিরছে বিশ্বকাপে। তবে ফুটবল নয়, ২০২৬ টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট বিশ্বকাপে জায়গা করে নিয়েছে দেশটি। যেই দেশটাতে ক্রিকেটই নিষিদ্ধ, সেই দেশেই এমন অবিশ্বাস্য, অভূতপূর্ব কান্ড ঘটিয়েছেন এক প্রবাসী ক্রিকেটার।
দেশের টানে, দেশের জন্য কিছু করতে যেমন হামজা, জামাল, সোমিত রা ছুটে এসেছেন। স্বপ্ন একটাই লাল সবুজের জার্সিকে ফুটবল বিশ্বকাপে জায়গা করিয়ে দেওয়া। ক্রিকেট আর ফুটবল আলাদা হলেও সংগ্রামটা এক। হামজাদের জন্য সেটা যতটা কঠিন, তার থেকেও খুব সম্ভবত কঠিন ছিল তার মত আরেক প্রবাসী খেলোয়াড়ের। যিনি খেলেছেন অস্ট্রেলিয়া জাতীয় ক্রিকেট দলের হয়েও। ২০২৪ সালে ভাইয়ের মৃত্যুর পর যিনি ফিরে আসেন নিজের পিতৃভূমিতে। এসেই গড়েন ইতিহাস।
যাত্রাটা মোটেও সহজ ছিলোনা তার জন্য। নাম জো বার্নাস। অজিদের হয়ে ২৩ টেস্ট খেলা বার্নস এমন দেশে ক্রিকেটের বীজ বুনতে চেয়েছিলেন যেখানে ক্রিকেট খেলাটাই ছিল নিষিদ্ধ। অবৈধ অভিবাসীদের ঠেকাতে আর ক্রিকেট ইতালির ঐতিহ্য না বলে মন্তব্য করে এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন এক ইতালিয়ান মেয়র। তবে প্রয়াত ভাইকে উৎসর্গ করতেই এগিয়ে যান বার্ন্স। স্কটল্যান্ডকে হারিয়ে এখন স্বপ্ন করলেন সত্যি।
২০২৬ বিশ্বকাপবাছাইপর্বে ৩ ম্যাচে ৫ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপ রানার্সআপ হয়ে বিশ্বকাপে ঠাই পেয়েছে দলটি। অসম্ভবকে অসম্ভব করে দেখালেন যেন বার্নস। স্কটল্যান্ডকে হারানোর পরই পুরো বিশ্বের আলোড়ন তুলে নেয় দলটি। শেষটা হলও ছবির মত সুন্দর।
হামজারাও স্বপ্ন দেখেন বাংলাদেশকে বিশ্বকাপের মঞ্চে তুলতে। একটা সময় ইতালির ক্রিকেটের যে হাল, বাংলাদেশের ফুটবলেরও সেই হাল এক এখন। তবে হামজারা বার্ন্সকে দেখে অনুপ্রেরণা নিতেই পারেন। সঠিক পরিকল্পনা আর লেগে থাকলে নাকি পাহাড়ও টলানো যায়৷ অসম্ভবকে সম্ভব করেও বিশ্বমঞ্চে যাওয়া যায়।
মন্তব্য করুন