সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে কোরিওগ্রাফার অ্যাডলফ খানের বেশ কয়েকটি ছবি ও ভিডিও। নানা রকম ক্যাপশনসহ ভাইরাল এসব কনটেন্টে দাবি করা হচ্ছে- তিনি নাকি ‘দেশের সবচেয়ে সুদর্শন পুরুষ’ নির্বাচিত হয়েছেন! বিষয়টি দেখে অনেকেই চমকে উঠেছেন, কিন্তু এসব প্রচার যে পুরোপুরি বিভ্রান্তিকর ও মনগড়া, সে কথা জানিয়ে ক্ষোভ ঝেড়েছেন অ্যাডলফ খান নিজেই।
এই কোরিওগ্রাফার বলেন, “আমার ছবি ভিডিও দিয়ে নেট দুনিয়া সয়লাব! ভাইরে ভাই, আমাকেই পাইলেন আপনারা। ভালো-মন্দ, বাস্তব-অবাস্তব, মনগড়া ক্যাপশন দিয়ে লাখ লাখ ভিডিও বানাচ্ছে- সব একের পর এক!”
তিনি জানান, সম্প্রতি তিনি একটি সম্মাননা পেয়েছেন ঠিকই, তবে সেটা কোনো ‘সুদর্শন পুরুষ’ হওয়ার কারণে নয়। বরং কোরিওগ্রাফিতে তার অবদান ও স্টাইলিং দক্ষতার স্বীকৃতি হিসেবে পেয়েছেন স্টাইলিশ ফ্যাশন ডিরেক্টর অ্যাওয়ার্ড। কিন্তু সেটিকে বিকৃত করে সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে বিকৃত তথ্য দিয়ে।
“বানিয়ে দিলেন দেশের এক নম্বর সুদর্শন! কেন রে ভাই, সত্যিটাই লিখতেন। এত মর্মান্তিক ভালোবাসা নিতে পারছি না!”- আক্ষেপ অ্যাডলফ খানের।
সম্প্রতি পারিবারিকভাবে মানসিক চাপে রয়েছেন তিনি। তার বাবা হাসপাতালে ভর্তি। এমন এক সময়ে ব্যক্তিগত জীবন আর মানসিক অবস্থা নিয়ে লড়াই করেই দিন পার করছেন। সে সঙ্গে চলছে সামাজিকমাধ্যমে ট্রল ও বিভ্রান্তিকর প্রচারের ধকল।
তিনি বলেন, “এমনিতেই বাবা হসপিটালে, মন ভালো নেই। আমি মানসিকভাবে বিপর্যস্ত, সারাক্ষণ ডিউটি দিতে হচ্ছে! আমি আমার ছবি-ভিডিও আর কি দেব? আপনারাই আপলোড দেন। দিয়ে সুখী থাকুন! এত এত পোস্ট আমাকে নিয়ে, দিশাহারা হয়ে গেলাম। আপনারা পারেনও বটে!”
সামাজিকমাধ্যমে কনটেন্ট ক্রিয়েটরদের উদ্দেশ্যে অ্যাডলফ খানের তীব্র কটাক্ষ “ভাইরাল আর ভিউয়ের বাণিজ্যে আপনারা আমাকে বন্দুকের গুলির মুখে রেখে ভালোই ডলার কামাচ্ছেন। তো মাঝে মাঝে আমাকেও দিয়েন কিছু! না দিলেও অন্তত কৃতজ্ঞতা দিয়েন!”
তিনি জানান, তার জামার দাম থেকে শুরু করে শাহরুখ খানের সঙ্গে তুলনা কিংবা ‘লাখো নারীর ক্রাশ’ ইত্যাদি নানা মনগড়া প্রচার চালানো হচ্ছে, যা আদতে ভিত্তিহীন।
সবশেষে অ্যাডলফ খান বলেন, “আমি কি এই ধরনের তথ্য সংবলিত কোনো ইন্টারভিউ কখনো দিয়েছি বা বলেছি? আমাকে দিয়ে আপনাদের লাভ হচ্ছে বা আমাকে আপনারা খুব ভালোবাসেন- সবই বুঝলাম। কিন্তু ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ আরও বাস্তবিক, সত্য এবং সুন্দর হতে পারে। সত্যি কিছু বলার ভাষা নেই!”
মন্তব্য করুন