

অবশেষে দীর্ঘ অনিশ্চয়তার অবসান ঘটতে যাচ্ছে বেঙ্গালুরুর এম চেন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে। কর্ণাটক সরকারের অনুমোদন পাওয়ায় আবারও আন্তর্জাতিক ও ঘরোয়া ক্রিকেট আয়োজনের পথে এগোচ্ছে ঐতিহ্যবাহী এই ভেন্যু। এর ফলে চেন্নাস্বামীতে ফিরতে পারেন বিরাট কোহলি, আর ভবিষ্যতে আইপিএলেও ফেরার সম্ভাবনা জেগেছে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু (আরসিবি)–র।
কর্ণাটক রাজ্য ক্রিকেট সংস্থার (কেএসসিএ) নবনির্বাচিত সভাপতি ভেঙ্কটেশ প্রসাদ দায়িত্ব নেওয়ার এক সপ্তাহের মধ্যেই রাজ্য সরকারের কাছ থেকে ম্যাচ আয়োজনের প্রাথমিক অনুমতি আদায় করেছেন। বিষয়টি ইতোমধ্যে বিসিসিআইকেও জানানো হয়েছে বলে জানা গেছে।
এর তাৎক্ষণিক প্রভাব পড়তে পারে চলমান বিজয় হাজারে ট্রফিতে। নিরাপত্তা ও লজিস্টিক জটিলতার কারণে দিল্লির ম্যাচগুলো আলুরের বদলে চেন্নাস্বামীতে আনার প্রস্তুতি নিচ্ছে কেএসসিএ। ঘোষিত স্কোয়াডে থাকা বিরাট কোহলি ও ঋষভ পান্ত প্রথম তিন ম্যাচে খেলতে পারেন—এমন সম্ভাবনাও তৈরি হয়েছে।
এ বিষয়ে কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্ধারামাইয়া, উপমুখ্যমন্ত্রী ডি কে শিবকুমারসহ রাজ্য সরকারের শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন ভেঙ্কটেশ প্রসাদ ও সহ-সভাপতি সুজিত সোমাসুন্দর। বৈঠকগুলো ইতিবাচক হয়েছে বলেই জানা গেছে।
উচ্চ আগ্রহের কথা বিবেচনায় রেখে সীমিত পরিসরে দর্শক প্রবেশের ব্যবস্থাও নিতে চায় কেএসসিএ। প্রাথমিকভাবে ২ থেকে ৩ হাজার দর্শকের জন্য কয়েকটি গ্যালারি খুলে দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে।
চেন্নাস্বামী স্টেডিয়ামের নিরাপত্তা ও ব্যবস্থাপনা উন্নয়নে বিচারপতি জন ডি’কুনহা কমিশনের সুপারিশ ধাপে ধাপে বাস্তবায়নের অঙ্গীকারও পুনর্ব্যক্ত করেছে কেএসসিএ। প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠকে জানানো হয়েছে, ভবিষ্যতে যাতে আর কোনো দুর্ঘটনা না ঘটে, সে জন্য প্রয়োজনীয় সতর্কতা নেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, গত ৪ জুন আরসিবির আইপিএল শিরোপা উদযাপন ঘিরে স্টেডিয়ামে পদদলনের ঘটনায় ১১ জনের মৃত্যু হলে সেখানে সব ধরনের শীর্ষ পর্যায়ের ক্রিকেট বন্ধ হয়ে যায়। এরপর কেএসসিএ মহারাজা ট্রফি সরিয়ে নেওয়া হয় মাইসুরুতে এবং নারী বিশ্বকাপের পাঁচটি ম্যাচ, এমনকি ফাইনালও হারাতে হয় বেঙ্গালুরুকে।
তবে সাম্প্রতিক অগ্রগতি ইঙ্গিত দিচ্ছে—চেন্নাস্বামী আবারও ক্রিকেটের আলোয় ফিরতে চলেছে। কেএসসিএ কর্মকর্তাদের ভাষায়, “আইপিএলসহ বড় আসরগুলোকে বেঙ্গালুরুতে ফিরিয়ে আনাই আমাদের লক্ষ্য।”
মন্তব্য করুন