‘দুঃখের বিষয় হলো আমার মা মারা গেছেন। মায়ের ইচ্ছে ছিল আমাকে ক্যাডেটে পড়াবে। যখন শুনলাম মা মারা গেছে। তখন আমার আরও ভালো লাগছে না। আল্লাহ তুমি আমার মাকে জান্নাতে নিয়ে যেও।’ এভাবেই মায়ের জন্য নিজের কথাগুলো গণমাধ্যমে বলছিলেন বড় ছেলে শ্রেষ্ঠ। সঙ্গে ছিল ছোট ভাই স্বর্গ।
অভিনেত্রী ও মডেল রিশতা লাবণী সীমানা জীবনযুদ্ধে হেরে গিয়ে পৃথিবীর ম্যায়া ত্যাগ করেন মঙ্গলবার (৪ জুন) সকাল ৬টায়। গণমাধ্যমে তার মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেন সীমানার ছোট ভাই এজাজ বিন আলী। ৩৯ বছর বয়সে শেষ হয় অভিনেত্রীর পথচলা।
গত ২১ মে রাতে আকস্মিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েন অভিনেত্রী সীমানা। সে রাতেই ধানমন্ডির এক হাসপাতালে ভর্তি করানো হয় তাকে। সেখানেই তার মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণের বিষয়টি জানা যায়। উন্নত চিকিৎসার জন্য পর দিন ঢাকার আগারগাঁওয়ের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সেস হাসপাতালে ভর্তি করানো হয় তাকে। সেখানে অস্ত্রোপচার হয় অভিনেত্রীর। এরপর সীমানার চিকিৎসা চলছিল ঢাকার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে। শারীরিক অবস্থার কোনো উন্নতি না হওয়ায় লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়েছিল তাকে।
অভিনেত্রী সীমানা দুই সন্তানের মা। বড় ছেলের নাম শ্রেষ্ঠ। ছোট সন্তান স্বর্গের বয়স তিন। ২০০৬ সালে লাক্স-চ্যানেল আই সুপারস্টার প্রতিযোগিতার মাধ্যমে বিনোদন অঙ্গনে কাজ শুরু করেন সীমানা। ‘দারুচিনি দ্বীপ’ সিনেমায় অভিনয় করে প্রশংসা কুড়ান তিনি। নাটকেও দেখা গেছে তাকে। তবে ২০১৬ সাল থেকে অভিনয়ে অনিয়মিত হয়ে পড়েন তিনি। মা হওয়ার জন্য বিরতি নিয়েছিলেন সীমানা। এরপর ২০২৩ সালে আবারও ফিরেছিলেন নাটকে।
মন্তব্য করুন