কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ১৬ নভেম্বর ২০২৫, ১২:১৩ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

হার্ট অ্যাটাক ও হঠাৎ কার্ডিয়াক অ্যারেস্টের পার্থক্য জানুন

ছবি : সংগৃহীত
ছবি : সংগৃহীত

হার্ট অ্যাটাক এবং হঠাৎ কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট দুটি আলাদা অবস্থা। হার্ট অ্যাটাক হয় যখন হৃদয়ে রক্ত পৌঁছানোর পথ বন্ধ হয়ে যায়। হঠাৎ কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হয় যখন হৃৎপিণ্ড হঠাৎ করে হৃৎস্পন্দন হয়ে যায়। সাধারণভাবে বোঝালে, হার্ট অ্যাটাক হলো রক্ত চলাচলের সমস্যা আর কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হলো হৃদয়ের বৈদ্যুতিক সমস্যার কারণে।

হার্ট অ্যাটাক কী?

হার্ট অ্যাটাক তখন হয় যখন কোনো ধমনি বন্ধ হয়ে হৃদয়ের একটি অংশে রক্ত পৌঁছাতে পারে না। ধমনী দ্রুত খুলে না দিলে সেই অংশের পেশি ক্ষতিগ্রস্ত হতে শুরু করে। চিকিৎসা পেতে দেরি হলে ক্ষতি আরও বাড়ে।

হার্ট অ্যাটাকের উপসর্গ কখনো খুব তীব্রভাবে দেখা দেয়, আবার কখনো ধীরে ধীরে শুরু হয়। কারও খুব হালকা উপসর্গ থাকতে পারে বা কোনো উপসর্গ না থাকলেও হার্ট অ্যাটাক হতে পারে। হার্ট অ্যাটাকের সময় সাধারণত হৃৎপিণ্ডের হৃৎস্পন্দন বন্ধ হয় না। মহিলাদের ক্ষেত্রে হার্ট অ্যাটাকের উপসর্গ পুরুষদের থেকে ভিন্ন হতে পারে।

কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট কী?

হঠাৎ কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট সাধারণত খুব দ্রুত ঘটে এবং কোনো সতর্কতা ছাড়াই হতে পারে। হৃদয়ের বৈদ্যুতিক সমস্যা বা অনিয়মিত হৃৎস্পন্দনের (অ্যারিথমিয়া) কারণে এটি হয়। তখন হৃদয় মস্তিষ্ক, ফুসফুস এবং শরীরের অন্যান্য অংশে রক্ত পাঠাতে পারে না। ফলে মানুষ জ্ঞান হারায় এবং পালস থাকে না। কয়েক মিনিটের মধ্যে সাহায্য না পেলে মৃত্যুও হতে পারে।

দুটোর মধ্যে সম্পর্ক কী?

এই দুই অবস্থার মধ্যে সম্পর্ক আছে। হার্ট অ্যাটাকের পরে বা সুস্থ হওয়ার সময় হঠাৎ কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হতে পারে। হার্ট অ্যাটাক হলে কার্ডিয়াক অ্যারেস্টের ঝুঁকি বাড়ে। সব হার্ট অ্যাটাক তৎক্ষণাৎ কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট ঘটায় না। তবে কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হলে অনেক সময় তার কারণ হার্ট অ্যাটাক হতে পারে।

আরও কিছু হৃদরোগ আছে যেগুলো হৃদয়ের হৃৎস্পন্দন অনিয়মিত করে কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট ঘটাতে পারে, যেমন:

- কার্ডিওমায়োপ্যাথি

- হার্ট ফেইলিউর

- অ্যারিথমিয়া (বিশেষ করে ভেন্ট্রিকুলার ফিব্রিলেশন)

- জন্মগত হৃদরোগ

- সংক্রমণ

মনে রাখবেন, দ্রুত পদক্ষেপ জীবন বাঁচাতে পারে

হার্ট অ্যাটাক হলে কী করবেন

আপনি নিশ্চিত না হলেও সঙ্গে সঙ্গে জরুরি বা কাছের কারও নম্বরে ফোন করুন। এক মিনিটও গুরুত্বপূর্ণ! অ্যাম্বুলেন্স ডাকাই সবচেয়ে ভালো, কারণ তারা আসার সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসা দিতে পারে, যা হাসপাতালে পৌঁছানোর আগেই অনেক সময় সেভ করে। অ্যাম্বুলেন্সে গেলে অনেক সময় দ্রুত চিকিৎসা পাওয়া যায়।

হঠাৎ কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হলে কী করবেন? মনে রাখবেন, CPR দিলে মানুষের বেঁচে থাকার সম্ভাবনা দ্বিগুণ বা তিনগুণ পর্যন্ত বাড়ে।

শিশু ও নবজাতকের ক্ষেত্রে

- শ্বাসনালিতে কিছু আটকে আছে কি না দেখুন।

- হাসপাতালে ফোন করুন।

- CPR শুরু করুন।

যদি পাশে কেউ থাকে বা মোবাইল থাকে, একই সময়ে সাহায্য ডাকতে এবং CPR দিতে পারেন। যদি ফোন করা সম্ভব না হয়, আগে CPR শুরু করুন। কারণ শিশুদের কার্ডিয়াক অ্যারেস্টের প্রধান কারণ শ্বাস বন্ধ হয়ে যাওয়া।

সূত্র : American Heart Association

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

রাজনৈতিক দলগুলোকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান মির্জা ফখরুলের

অবৈধ হ্যান্ডসেট ব্যবহারকারীদের যা জানাল বিটিআরসি

টোটা’র নতুন চমক

সাভারে ৫ ঘণ্টার ব্যবধানে দুই বাসে আগুন

রেলওয়ের সাবেক ডিজিসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

স্ট্রিটফুড খেয়ে ৩ পর্যটকের মৃত্যু, খালি করা হলো হোটেল

রাজধানীতে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আ.লীগের ১০ নেতাকর্মী গ্রেপ্তার

আইপিএল নিলাম: কোন দল কত টাকা খরচ করতে পারবে

মোবাইল ব্যাংকিং ব্যবহারে সচেতন হোন

হেফাজতে থাকা আসামির বক্তব্য প্রচার, ৪ পুলিশ বরখাস্ত

১০

ফাঁকা ৬৩ আসনের বিষয়ে যে সিদ্ধান্ত নিচ্ছে বিএনপি

১১

আলেম-ওলামাদের নিয়ে অশোভন মন্তব্য না করার আহ্বান জামায়াত আমিরের

১২

গ্রামীণ ব্যাংক কার্যালয়ে পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ

১৩

হাসপাতালে ভারতের অধিনায়ক, মিলল দুঃসংবাদ

১৪

গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য সব দলের সহযোগিতা জরুরি : সিইসি

১৫

শেখ হাসিনার রায় সরাসরি সম্প্রচার করবে বিটিভি

১৬

বের হলো কানকাটা কাদিরা হত্যার রহস্য

১৭

ঢাকা-আইডিয়াল-সিটি কলেজের মধ্যে হচ্ছে শান্তিচুক্তি

১৮

হার্ট অ্যাটাক ও হঠাৎ কার্ডিয়াক অ্যারেস্টের পার্থক্য জানুন

১৯

আ.লীগসহ অঙ্গসংগঠনের ৪৪ জন আটক

২০
X