বৃহস্পতিবার, ০১ জানুয়ারি ২০২৬, ১৭ পৌষ ১৪৩২
কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ১৬ নভেম্বর ২০২৫, ১২:১৩ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

হার্ট অ্যাটাক ও হঠাৎ কার্ডিয়াক অ্যারেস্টের পার্থক্য জানুন

ছবি : সংগৃহীত
ছবি : সংগৃহীত

হার্ট অ্যাটাক এবং হঠাৎ কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট দুটি আলাদা অবস্থা। হার্ট অ্যাটাক হয় যখন হৃদয়ে রক্ত পৌঁছানোর পথ বন্ধ হয়ে যায়। হঠাৎ কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হয় যখন হৃৎপিণ্ড হঠাৎ করে হৃৎস্পন্দন হয়ে যায়। সাধারণভাবে বোঝালে, হার্ট অ্যাটাক হলো রক্ত চলাচলের সমস্যা আর কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হলো হৃদয়ের বৈদ্যুতিক সমস্যার কারণে।

হার্ট অ্যাটাক কী?

হার্ট অ্যাটাক তখন হয় যখন কোনো ধমনি বন্ধ হয়ে হৃদয়ের একটি অংশে রক্ত পৌঁছাতে পারে না। ধমনী দ্রুত খুলে না দিলে সেই অংশের পেশি ক্ষতিগ্রস্ত হতে শুরু করে। চিকিৎসা পেতে দেরি হলে ক্ষতি আরও বাড়ে।

হার্ট অ্যাটাকের উপসর্গ কখনো খুব তীব্রভাবে দেখা দেয়, আবার কখনো ধীরে ধীরে শুরু হয়। কারও খুব হালকা উপসর্গ থাকতে পারে বা কোনো উপসর্গ না থাকলেও হার্ট অ্যাটাক হতে পারে। হার্ট অ্যাটাকের সময় সাধারণত হৃৎপিণ্ডের হৃৎস্পন্দন বন্ধ হয় না। মহিলাদের ক্ষেত্রে হার্ট অ্যাটাকের উপসর্গ পুরুষদের থেকে ভিন্ন হতে পারে।

কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট কী?

হঠাৎ কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট সাধারণত খুব দ্রুত ঘটে এবং কোনো সতর্কতা ছাড়াই হতে পারে। হৃদয়ের বৈদ্যুতিক সমস্যা বা অনিয়মিত হৃৎস্পন্দনের (অ্যারিথমিয়া) কারণে এটি হয়। তখন হৃদয় মস্তিষ্ক, ফুসফুস এবং শরীরের অন্যান্য অংশে রক্ত পাঠাতে পারে না। ফলে মানুষ জ্ঞান হারায় এবং পালস থাকে না। কয়েক মিনিটের মধ্যে সাহায্য না পেলে মৃত্যুও হতে পারে।

দুটোর মধ্যে সম্পর্ক কী?

এই দুই অবস্থার মধ্যে সম্পর্ক আছে। হার্ট অ্যাটাকের পরে বা সুস্থ হওয়ার সময় হঠাৎ কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হতে পারে। হার্ট অ্যাটাক হলে কার্ডিয়াক অ্যারেস্টের ঝুঁকি বাড়ে। সব হার্ট অ্যাটাক তৎক্ষণাৎ কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট ঘটায় না। তবে কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হলে অনেক সময় তার কারণ হার্ট অ্যাটাক হতে পারে।

আরও কিছু হৃদরোগ আছে যেগুলো হৃদয়ের হৃৎস্পন্দন অনিয়মিত করে কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট ঘটাতে পারে, যেমন:

- কার্ডিওমায়োপ্যাথি

- হার্ট ফেইলিউর

- অ্যারিথমিয়া (বিশেষ করে ভেন্ট্রিকুলার ফিব্রিলেশন)

- জন্মগত হৃদরোগ

- সংক্রমণ

মনে রাখবেন, দ্রুত পদক্ষেপ জীবন বাঁচাতে পারে

হার্ট অ্যাটাক হলে কী করবেন

আপনি নিশ্চিত না হলেও সঙ্গে সঙ্গে জরুরি বা কাছের কারও নম্বরে ফোন করুন। এক মিনিটও গুরুত্বপূর্ণ! অ্যাম্বুলেন্স ডাকাই সবচেয়ে ভালো, কারণ তারা আসার সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসা দিতে পারে, যা হাসপাতালে পৌঁছানোর আগেই অনেক সময় সেভ করে। অ্যাম্বুলেন্সে গেলে অনেক সময় দ্রুত চিকিৎসা পাওয়া যায়।

হঠাৎ কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হলে কী করবেন? মনে রাখবেন, CPR দিলে মানুষের বেঁচে থাকার সম্ভাবনা দ্বিগুণ বা তিনগুণ পর্যন্ত বাড়ে।

শিশু ও নবজাতকের ক্ষেত্রে

- শ্বাসনালিতে কিছু আটকে আছে কি না দেখুন।

- হাসপাতালে ফোন করুন।

- CPR শুরু করুন।

যদি পাশে কেউ থাকে বা মোবাইল থাকে, একই সময়ে সাহায্য ডাকতে এবং CPR দিতে পারেন। যদি ফোন করা সম্ভব না হয়, আগে CPR শুরু করুন। কারণ শিশুদের কার্ডিয়াক অ্যারেস্টের প্রধান কারণ শ্বাস বন্ধ হয়ে যাওয়া।

সূত্র : American Heart Association

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

খালেদা জিয়ার মৃত্যু / সমবেদনা জানাতে বাংলাদেশ হাইকমিশনে যাচ্ছেন রাজনাথ

নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে রাজধানীতে ফোটানো হচ্ছে আতশবাজি-পটকা-ফানুস

আপনার নেতৃত্ব ভারত-বাংলাদেশের অংশীদারত্বে ‘নতুন সূচনা’ নিশ্চিত করবে

জুলাই আন্দোলনের ১৭ মাস পর মামলা, আসামি ১২০

বিশ্বরঙে চলছে সর্বোচ্চ ৭০ শতাংশ পর্যন্ত মূল্য ছাড়

খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে ৩০ বছর আগের স্মৃতিতে কাতর স্কুলশিক্ষক

রয়টার্সকে সাক্ষাৎকার / ভারতের কূটনীতিকের সঙ্গে ‘গোপন’ বৈঠক হয় জামায়াত আমিরের

এনসিপির ইসি গ্রুপ থেকে বের করার পর পদত্যাগ খালেদ সাইফুল্লাহর

লস অ্যাঞ্জেলসে খালেদা জিয়ার গায়েবানা জানাজা

তারেক রহমানকে সান্ত্বনা দিলেন প্রধান উপদেষ্টা

১০

এনবিআরের ১৭ কমিশনারকে একযোগে বদলি

১১

‘থ্রি ইডিয়েডস’ নিয়ে যা বললেন মাধবন

১২

খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে শোকাচ্ছন্ন স্মৃতিবিজড়িত বগুড়া

১৩

নির্বাচনকেন্দ্রিক ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা রয়টার্সকে জানালেন জামায়াত আমির

১৪

গণভোট আয়োজনের মধ্য দিয়ে নতুন বছর পূর্ণতা পাবে : প্রধান উপদেষ্টা

১৫

বছরের শেষ সূর্যাস্তে মোহিত পর্যটকরা

১৬

খুলনায় ৩ প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল

১৭

মাছ চুরির মামলায় ছাত্রলীগ-যুবলীগের ২ সহোদর গ্রেপ্তার

১৮

রেললাইন সংস্কারে কলাগাছ ও বালুর বস্তা

১৯

বিসিবির নজরদারিতে নোয়াখালীর কোচ

২০
X