সুস্থ শরীর, ভালো মানসিক স্বাস্থ্য আর আত্মবিশ্বাসই সব সুখের উৎস—আর এই সুস্বাস্থ্যের জন্য সর্বাগ্রে প্রয়োজন শরীর থেকে অতিরিক্ত ওজন কমানো। নিয়মিত শরীরচর্চার মাধ্যমে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব।
ওজন কমানো নিঃসন্দেহে একটি ভালো অভ্যাস। কিন্তু অনেক সময় দ্রুত ওজন কমানোর ফলে শরীরের ত্বক ঝুলে যেতে শুরু করে। বিশেষ করে পেট, বাহু, গলা আর ঊরুতে এই সমস্যা বেশি দেখা যায়। এটা শুধু দেখতে খারাপই লাগে না, অনেকের মনেও তৈরি করে অস্বস্তি। তাহলে এর সমাধান কী?
চলুন জেনে নিই, কীভাবে ঝুলে যাওয়া ত্বক টাইট রাখা যায় এবং ওজন কমানোর পরেও স্কিন যেন সুন্দর থাকে তা নিশ্চিত করা যায়—
দ্রুত ওজন কমালে শরীরের স্কিনের সঙ্গে ফ্যাট কমে যায়; কিন্তু ত্বক এত দ্রুত অ্যাডজাস্ট করতে পারে না। তাই হঠাৎ করে স্কিন ঝুলে পড়ে। সপ্তাহে ১-২ কেজির বেশি না কমানোর চেষ্টা করুন।
ত্বক টানটান রাখার অন্যতম উপায় হলো পর্যাপ্ত পানি পান করা। পানি শরীর থেকে টক্সিন বের করে, স্কিনের ঔজ্জ্বল্য ধরে রাখে আর ত্বককে হেলদি করে তোলে।
ত্বক টাইট রাখতে কোলাজেন খুব গুরুত্বপূর্ণ। প্রাকৃতিকভাবে কোলাজেন উৎপাদন বাড়াতে ডিম, মাছ, অ্যালোভেরা, হাড়ের ঝোল, সাইট্রাস ফল, আর বাদাম খেতে পারেন। পাশাপাশি প্রোটিন জাতীয় খাবার (ডাল, মুরগির মাংস, সয়াবিন) নিয়মিত রাখুন।
ওজন কমানোর পাশাপাশি নিয়মিত ওজন তুলে ব্যায়াম (weight training) করলে ত্বকের নিচে মাসল টোন হয়, যা স্কিনকে আরও টাইট করে তোলে। স্কিনের ঝুলে যাওয়া অনেকটাই রোধ করা যায়।
ত্বকের যত্নে ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা উচিত। Vitamin C, Retinol এবং Hyaluronic Acid-যুক্ত স্কিনকেয়ার প্রোডাক্ট স্কিন টাইট করতে সাহায্য করে। নিয়মিত স্ক্রাব ও মাস্কও স্কিনকে রিফ্রেশ করে।
ত্বকে রক্তসঞ্চালন বাড়াতে ম্যাসাজ ও ড্রাই ব্রাশিং খুব কার্যকরী। নিয়মিত করলে স্কিন ফার্ম থাকে এবং ঝুলে যাওয়ার প্রবণতা কমে।
যদি খুব বেশি ত্বক ঝুলে পড়ে এবং ঘরোয়া পদ্ধতিতে কাজ না হয়, তাহলে ডার্মাটোলজিস্ট বা স্কিন স্পেশালিস্টের পরামর্শ নিন। এখন নানা ধরনের non-surgical টেকনোলজি (যেমন: Radiofrequency therapy, Laser tightening, Ultrasound therapy) রয়েছে, যা স্কিনকে ফার্ম করতে পারে।
ওজন কমানো দারুণ ব্যাপার, কিন্তু সেটা যেন হয় স্বাস্থ্যসম্মতভাবে। ত্বকও আপনার শরীরেরই অংশ—এটার যত্নও দরকার। তাই ওজন কমানোর যাত্রায় স্কিনের যত্ন নিন নিয়মিত। তবেই আপনি পাবেন সুস্থ শরীরের পাশাপাশি সুন্দর, টানটান ত্বক।
সূত্র: হেলথলাইন
মন্তব্য করুন