চিকিৎসার পূর্বশর্ত রোগ নির্ণয় করা। আর এ কাজটি করে থাকেন মেডিকেল টেকনোলজিস্টরা। দীর্ঘ ১৪ বছর তাদের কোনো নিয়োগ হয়নি। করোনা মহামারি দেখা দিলে মেডিকেল টেকনোলজিস্ট সংকটের বিষয়টি সবার সামনে চলে আসে। করোনা নিয়ন্ত্রণে একাধিকবার চিকিৎসক নার্স নিয়োগ হলেও মেডিকেল টেকনোলজিস্ট এখন পর্যন্ত নিয়োগ দেওয়া সম্ভব হয়নি।
সংকট মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে এক হাজার ২০০ মেডিকেল টেকনোলজিস্টের পদ সৃষ্টি হয়। সেই নিয়োগ প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে ২০২০ সালের ১২ ডিসেম্বর লিখিত পরীক্ষা এবং ২০২১ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি ভাইভা পরীক্ষা শেষ হয়। কিন্তু পরীক্ষায় দুর্নীতির অভিযোগ প্রমাণ হওয়ায় নিয়োগটি বাতিল হয়। এরপর গত বছর ১৬ মার্চ পুনঃনিয়োগ বিজ্ঞপ্তি হয়।
সেই বিজ্ঞপ্তি মোতাবেক চলতি বছরের ৬ মে মেডিকেল টেকনোলজিস্টদের লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এতে মোট আবেদনকারীর সংখ্যা ছিল ২৯ হাজার ১৮০। লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ৪ হাজার ১৯০ জন প্রার্থীর মৌখিক পরীক্ষা গত ৫ জুলাই থেকে ১৫ জুলাই পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হয়। গত ২২ জুলাই মধ্যরাতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে ৮৮৯ জন মেডিকেল টেকনোলজিস্টকে চূড়ান্ত নিয়োগের জন্য সুপারিশ করে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে দ্রুতই পদায়নের তারিখ জানানো হবে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে করোনাকালে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে মেডিকেল টেকনোলজিস্টদের নিয়োগের বিষয়টি অবশেষে ৩ বছর পর আলোর মুখ দেখল। মেডিকেল টেকনোলজিস্টদের নিয়োগ দেওয়ায় সরকারি হাসপাতালে সাধারণ মানুষ অল্প খরচে এবং বিশেষক্ষেত্রে বিনামূল্যে পরীক্ষা-নিরীক্ষার সুযোগ পাবে। নিয়োগ প্রক্রিয়ার চূড়ান্ত ফল প্রকাশের পর বেকার অ্যান্ড প্রাইভেট সার্ভিসেস মেডিকেল টেকনোলজিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মো. শফিকুল ইসলাম স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলমের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
মন্তব্য করুন