বৈবাহিক জীবনে অনেক সময় ছোট ছোট কিছু সমস্যাকে আমরা এড়িয়ে যাই। কখনো বুঝে না বুঝে, আবার কখনো জেনেও চুপ করে থাকি। কিন্তু এসব ছোটো ছোটো সমস্যা সময়ের সাথে বড় ঝামেলায় পরিণত হতে পারে। এতে স্বামী-স্ত্রীদের মধ্যে দূরত্ব বাড়ে এবং সম্পর্কের গা ঢিলে হতে থাকে। এমনকি শেষ পর্যন্ত বিচ্ছেদের মতো পরিস্থিতিও সৃষ্টি হতে পারে।
চলুন আজ জেনে নিই, কী কারণে সংসার ভাঙার ঝুঁকি থাকে-
অভিযোগ না জানানো : যখন আপনি নিজের মনে খারাপ লাগার কথা কাউকে বলেন না, তখন সেটা দুশ্চিন্তা ও বিরক্তিতে পরিণত হয়। এতে সম্পর্কের মধ্যে যেন অদৃশ্য দেয়াল তৈরি হয়, যেটা ধীরে ধীরে বড় সমস্যা তৈরি করে।
সঙ্গীর খুঁত খোঁজা : সব সময় সঙ্গীর ত্রুটি খুঁজে বেড়ানো সম্পর্কের জন্য ভালো নয়। ভুল হলে সেটা নম্রভাবে বোঝানো ভালো, কিন্তু সবকিছুতে দোষ দেওয়াটা সংসারকে দুর্বল করে দেয়।
সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশি সময় দেওয়া : সঙ্গীর সঙ্গে কথা বলার সময় মোবাইল বা সোশ্যাল মিডিয়ায় মনোযোগ না দিয়ে স্ক্রল করলে সেটা তার কাছে অবজ্ঞার মতো লাগে। ছোট ছোট এই অবহেলা অনেকসময় বড় ফাটল তৈরি করে।
কৃতজ্ঞতা না দেখানো : ঘর-সংসার বা সঙ্গীর ছোট ছোট ভালো কাজকে মূল্য না দেওয়া সম্পর্ককে দুর্বল করে। ধন্যবাদ বলা এবং কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা সংসার টিকিয়ে রাখতে খুব জরুরি।
অন্যের সঙ্গে তুলনা : সঙ্গীকে অন্য কারো সঙ্গে তুলনা করা তার আত্মবিশ্বাস কমিয়ে দেয় এবং মন খারাপ করে। সঙ্গীর ভালো গুণগুলোকে মান দিয়ে তার পাশে থাকা উচিত।
ছোট ছোট বিষয়গুলোকে গুরুত্ব দিয়ে এবং সৎভাবে কথা বলে, বোঝাপড়া বাড়িয়ে সংসারকে মজবুত রাখা সম্ভব। তাই মনে রাখবেন, সময়মতো মন খুলে কথা বলা খুব দরকার।
মন্তব্য করুন