কালবেলা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১০ আগস্ট ২০২৪, ১১:৩৬ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

‘নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে পরিকল্পনাবিদদের প্রত‍্যাশা’

বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্স কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে পরিকল্পনাবিদরা। ছবি : কালবেলা
বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্স কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে পরিকল্পনাবিদরা। ছবি : কালবেলা

সাম্য ও ন্যায্যতাভিত্তিক, দুর্নীতিমুক্ত, অসাম্প্রদায়িক, শোষণহীন, জবাবদিহিতামূলক এবং জ্ঞানভিত্তিক পরিকল্পিত ও টেকসই বাংলাদেশ গড়তে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে বাংলাদেশে ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্স (বিআইপি) ১৫টি প্রত্যাশার কথা তুলে ধরেছেন।

শনিবার (১০ আগস্ট) সকালে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্স কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে পরিকল্পনাবিদরা তাদের প্রত‍্যাশার কথা তুলে ধরেন।

বক্তারা বলেন, আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়ন, জনগণের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। অপরাধের সঙ্গে যুক্ত ও দুর্নীতিবাজ সদস্যদেরকে বিচারের আওতায় এনে পুনর্গঠন করে পুলিশ বাহিনীসহ সকল বাহিনী ও জনগণের মধ্যে পারস্পরিক আস্থা ফিরিয়ে আনা। একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র পরিচালনার জন্য সংবিধানের ক্ষমতা কাঠামোর ভারসাম্য পুনরুদ্ধারে এক ব্যক্তি কেন্দ্রিক ক্ষমতা হ্রাস করে বিচার বিভাগ, সংসদ ও নির্বাহী বিভাগসমূহের মধ্যে ক্ষমতার ভারসাম্য পুনঃপ্রতিষ্ঠা করা। সংবিধান সংশোধন করে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন পরিচালনা করবার বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করা। দেশের সংবিধান স্বীকৃত স্বাধীন প্রতিষ্ঠান যেমন: বিচার বিভাগ, নির্বাচন কমিশন, দুর্নীতি দমন কমিশন, মানবাধিকার কমিশন প্রভৃতিকে সত্যিকার অর্থেই স্বাধীন ও নিরপেক্ষ ভূমিকা পালনের উপযুক্ত করে গড়ে তোলা এবং এজন্য প্রয়োজনীয় আইন ও কাঠামো সংস্কার করা।

তারা আরও বলেন, দেশের দুর্নীতি, অনিয়ম প্রভৃতি প্রতিরোধে দুর্নীতি দমন কমিশনকে একদিকে যেমন স্বাধীন ও নিরপেক্ষভাবে গড়ে তোলা। অপরদিকে দুদক, সরকারের অভ্যন্তরীণ নিরীক্ষা পরিদপ্তর প্রভৃতি সংস্থাগুলোকে জবাবদিহিতার আওতায় আনার প্রয়োজনীয় কাঠামোগত সংস্কার করা। সকল এলাকার জন্য নগর, অঞ্চল ও গ্রামীণ পরিকল্পনা প্রণয়ন করা। সকল স্তরের নীতি, পরিকল্পনা এবং উন্নয়ন কর্মসূচি হতে হবে অন্তর্ভুক্তিমূলক। সকল পর্যায়ে অংশীজন, পেশাজীবী এবং জনসাধারণের সম্পৃক্ততা এবং অংশীদারিত্ব নিশ্চিত করা।

তারা আরও বলেন, একইসঙ্গে আমাদের ভবিষ্যৎ দেশ বিনির্মাণের কারিগর শিক্ষার্থীদের দেশ গড়বার কাজে সম্পৃক্ত করবার লক্ষ্যে প্রতিটি স্কুলের সকল শিক্ষার্থীকে তিন মাসে অন্তত একদিন স্কুলের আশেপাশে বিভিন্ন ধরনের স্বেচ্ছাসেবা কার্যক্রম (সচেতনতা বৃদ্ধি সংক্রান্ত প্রচারণা, বৃক্ষরোপণ, ট্র্যাফিক নিয়ন্ত্রণ, পরিচ্ছন্নতা ইত্যাদি) সঙ্গে যুক্ত করা।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

টানা ৫ দিন ঝরতে পারে বৃষ্টি, অপরিবর্তিত থাকবে তাপমাত্রা

এস আলমের দুই ছেলেসহ ফেঁসে গেলেন ১০ জন

কালবেলার বরিশাল ব্যুরো প্রধান তুষারের দাফন সম্পন্ন

পালাতে যাচ্ছেন অলি, ভারত সীমান্তে উচ্চ সতর্কতা

নেপালের মন্ত্রীদের হেলিকপ্টারে করে সরিয়ে নিচ্ছে সেনাবাহিনী

এআইইউবি চ্যাম্পিয়ন্স লিগের উদ্বোধন

মৃত্যুর আগে বন্ধুকে নিয়ে যে স্মৃতিচারণ করেছিলেন মান্না

ফল না দেওয়ায় রাবি আরবি বিভাগে শিক্ষার্থীদের ‘শাটডাউন’ ঘোষণা

এক ঘণ্টা আগে ভোট বর্জন করলেন ভিপি প্রার্থী

ডাকসুর ভোটগ্রহণ শেষ

১০

স্পেনের ভিসার নামে সৌদির মরুভূমিতে ফেলে রাখার অভিযোগ

১১

নেপালে আটকে পড়া বাংলাদেশ দল নিয়ে যা জানাল বাফুফে

১২

এখনো নেপাল সরকারের চূড়ান্ত পতন হয়নি!

১৩

ডাকসু নির্বাচনে ভোট কাস্ট ৮০ শতাংশ 

১৪

অনিয়মের অভিযোগ পেলে সঙ্গে সঙ্গেই ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে : উপাচার্য

১৫

নুরাল পাগলার মরদেহ উত্তোলনের নির্দেশদাতা গ্রেপ্তার

১৬

একসঙ্গে আ.লীগের দুই নেতার পদত্যাগ

১৭

নেপালের প্রধানমন্ত্রী কোথায় পালাচ্ছেন?

১৮

বিনা মজুরিতে নারীর গৃহস্থালি কাজের মূল্য বছরে ৫ লাখ ৭০ হাজার কোটি টাকা

১৯

হারানো এনআইডি নিয়ে বড় সুখবর

২০
X