কালবেলা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১২ আগস্ট ২০২৪, ০৭:৪৩ পিএম
অনলাইন সংস্করণ
অধ্যাপক মো.আনোয়ার হোসেনের ওপর হামলা

হিউম্যান রাইটস ফোরাম বাংলাদেশের নিন্দা ও নিরাপত্তা নিশ্চিতের দাবি

অধ্যাপক আনোয়ার হোসেন ও হিউম্যান রাইটস ফোরাম বাংলাদেশের লোগো। ছবি : সংগৃহীত
অধ্যাপক আনোয়ার হোসেন ও হিউম্যান রাইটস ফোরাম বাংলাদেশের লোগো। ছবি : সংগৃহীত

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক মো. আনোয়ার হোসেনের ওপর গত ৫ আগস্ট বিকেল চারটার পর হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সামনে হামলার ঘটনায় হিউম্যান রাইটস ফোরাম বাংলাদেশ (এইচআরএফবি) নিন্দা জানিয়েছে। একই সঙ্গে অধ্যাপক আনোয়ার হোসেন ও তার পরিবারের সুরক্ষা নিশ্চিত করার জোর দাবি জানিয়েছে সংগঠনটি।

সোমবার (১২ আগস্ট) হিউম্যান রাইটস ফোরাম বাংলাদেশের (এইচআরএফবি) গভীর উদ্বেগ ও নিরাপত্তা নিশ্চিতের দাবি জানিয়েছে।

অধ্যাপক মো. আনোয়ার হোসেনের স্ত্রী আয়েশা হোসেন এক বিবৃতিতে বলেন, ‘কিছু ডানপন্থি ধর্মান্ধের’ দ্বারা অধ্যাপক আনোয়ার হোসেন এই হামলার শিকার হয়েছেন। তিনি গত ৫ আগস্ট বিকেলে তার ছেলে ও ছেলের বন্ধু এবং সহকর্মীদের সঙ্গে যোগ দিতে সপরিবারে শাহবাগে যাওয়ার জন্য উত্তরা থেকে রওনা হন। বিমানবন্দরের ঠিক সামনে পৌঁছলে ৪০ বছরের কাছাকাছি বয়সী এক ব্যক্তি অধ্যাপক আনোয়ার হোসেনের কাছে এসে চিৎকার করে বলতে থাকেন, আমি আপনাকে চিনতে পেরেছি। আপনি সেই অধ্যাপক, যিনি ট্রাইব্যুনালে (আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে) জামায়াতের বিরুদ্ধে ছিলেন। আপনাকে টেলিভিশনে দেখেছি। এ সময় তাকে বিমানবন্দরের উল্টো দিকের একটি সরু গলিতে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করা হয়। আরও বেশ কয়েকজন উত্তেজিত লোক চারপাশে জড়ো হয়ে ‘নারায়ে তাকবির’ স্লোগান দিতে থাকে।

অধ্যাপক মো. আনোয়ার হোসেন জামায়াতের বিরুদ্ধে কথা বলেছেন এবং তার গলা কেটে ফেলা হবে বলেও হুমকি দেন একজন। উত্তেজিত ব্যক্তিরা বিভিন্ন জিনিস দিয়ে তাকে আঘাত করে, তার ওপর হামলা করে। পরিবারের লোকজন তখন অধ্যাপক আনোয়ার হোসেনকে হামলা থেকে বাঁচানোর চেষ্টা করলে তারাও আহত হন।

এছাড়া আরও দুজন এসে হামলাকারীদের বাধা দেন। পরে সেখান থেকে আনোয়ার হোসেনকে উদ্ধার করে বিমানবন্দরে থাকা সেনা ব্যারিকেডের মধ্যে নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়।

হিউম্যান রাইটস ফোরাম বাংলাদেশ (এইচআরএফবি) বলেন, এ ধরনের হামলা অত্যন্ত ন্যক্কারজনক এবং নাগরিকের স্বাধীনভাবে চলাফেরার অধিকারকে হুমকির সম্মুখীন করতে পারে। যে কোনো যুক্তিতে কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট আইনি প্রক্রিয়ার আশ্রয় নিতে হবে।

ফোরাম মনে করে, যে কোনো ধরনের সহিংসতা, বিশেষত, মব-জাস্টিস শুধু অবৈধই নয়, গণআন্দোলনকারী শিক্ষার্থী-জনতার বৈষম্যমুক্ত বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার মূল চেতনার সঙ্গে সাংঘর্ষিক। ফোরাম এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচারের পাশাপাশি অধ্যাপক আনোয়ার হোসেন ও তার পরিবারের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য কর্তৃপক্ষের কাছে আহ্বান জানাই।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ফের ধারাবাহিকে স্বস্তিকা

এইচএসসি পরীক্ষা / ১১ বোর্ডে অনুপস্থিত ছিল ৩১ হাজার ৪৬৯ শিক্ষার্থী

ময়মনসিংহে পাসের হারে এগিয়ে মেয়েরা

জানা গেল সেই আনিসার ফল

৫ বছরে সবচেয়ে কম পাস কুমিল্লা বোর্ডে

বগুড়ার ৫ আসনে বিএনপির যেসব প্রার্থী আলোচনায়

চতুর্থ বর্ষে কালবেলা, আলেমদের শুভেচ্ছা-দোয়া

বড় চমক রেখে সেরা ওয়ানডে একাদশ বাছাই করলেন ম্যাক্সওয়েল

দিনাজপুর বোর্ডে এইচএসসির ফলাফলে ধস

ইনজেকশন খুব ভয় লাগে: শ্রাবন্তী 

১০

ফের কাছাকাছি অগস্ত্য-সুহানা

১১

আগামী ফেব্রুয়ারিতেই জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে : প্রধান উপদেষ্টা

১২

ক্যাম্পাসের ৬ প্রবেশপথে কঠোর নিরাপত্তা, ঢুকতে পারছে না বহিরাগত

১৩

ভোট দিতে ২৫টি বাসে আসছেন অনাবাসিক শিক্ষার্থীরা

১৪

অত্যন্ত চমৎকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি পরিবেশ বিরাজ করছে : রাবি প্রক্টর

১৫

জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী, ভোট দিয়ে ছাত্রদলের ভিপি প্রার্থী

১৬

রাশিয়া থেকে তেল কিনবে না ভারত, আশ্বস্ত ট্রাম্প

১৭

ভোট দিয়ে যা বললেন ছাত্রশিবির সমর্থিত প্যানেলের ভিপি প্রার্থী

১৮

এইচএসসি ২০২৫: পাসের হার ও জিপিএ-৫ প্রাপ্তিতে কারা এগিয়ে

১৯

বাংলাদেশে কোপেলের আঞ্চলিক প্রতিনিধি, মেক্সিকোতে এক বিলিয়ন ডলার বাণিজ্যের সম্ভাবনা 

২০
X