কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২:৪৯ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

বিডিআর বিদ্রোহ মামলার ১৭ বিশেষ প্রসিকিউটরের নিয়োগ বাতিল

বিডিআর সদরদফতরে ২০০৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি হত্যাকাণ্ড সংগঠিত হয়।  ছবি : সংগৃহীত
বিডিআর সদরদফতরে ২০০৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি হত্যাকাণ্ড সংগঠিত হয়। ছবি : সংগৃহীত

বিডিআর বিদ্রোহ বিস্ফোরক দ্রব্য মামলার ১৭ বিশেষ পাবলিক প্রসিকিউটরের নিয়োগ আদেশ বাতিল করেছে সরকার।

বৃহস্পতিবার (০৫ সেপ্টেম্বর) আইন ও বিচার বিভাগের সলিসিটর অনুবিভাগের এক আদেশে এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়, লালবাগ (ডিএমপি) থানার মামলা নং-৬৫, তারিখ: ২৮/০২/২০০৯ হতে উদ্ভূত বিডিআর বিদ্রোহ বিস্ফোরক দ্রব্য মামলার ১৭ (সতেরো) জন বিশেষ পাবলিক প্রসিকিউটরের নিয়োগ আদেশ বাতিল করা হলো।

নিয়োগ বাতিল হওয়া এসব ১৭ স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর হলেন, মোশাররফ হোসেন কাজল, শেখ বাহারুল ইসলাম, গাজী জিল্লুর রহমান, আব্দুল জলিল আফ্রাদ কবির, এ কে এম তৌহিদুর রহমান, মো. মোকতার হোসেন, আমিনুর রহমান খান, জেবুন্নেছা আক্তার খাতুন (মুন্নী), মনজুর মো. শাহনেওয়াজ, লাইজু ইয়াসমিন, লাকী আক্তার ফ্লোরা, মো. মাসুদ রানা, মো. শাহজাহান, শাহানা বেগম, মো. ফিরোজ আহমেদ, মো. ওমর ফারুক এবং মো. হাবিবুর রহমান।

উল্লেখ্য, ২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি বিডিআর সদরদপ্তরের সংঘটিত বিদ্রোহের ঘটনায় ৫৭ সেনা কর্মকর্তাসহ মোট ৭৪ জন নিহত হন। দেশের গণ্ডি পেরিয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে আলোড়ন তোলে ওই ঘটনা।

এ ঘটনায় হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে দুইটি মামলা হয়। হত্যা মামলায় খালাস বা সাজাভোগ শেষে বিস্ফোরক মামলার কারণে মুক্তি আটকে আছে ৪৬৮ বিডিআর সদস্যের।

হত্যা মামলায় ২০১৩ সালের ৫ নভেম্বর ৮৫০ জনের বিচার কাজ শেষ হয়েছে। এতে ১৫২ জনের ফাঁসি, ১৬০ জনের যাবজ্জীবন ও ২৫৬ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয়। খালাস পান ২৭৮ জন।

২০১৭ সালের ২৭ নভেম্বর সেই মামলার ডেথ রেফারেন্স ও আপিলের রায়ও হয়ে যায় হাইকোর্টে। তাতে ১৩৯ আসামির মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখা হয়। যাবজ্জীবন সাজা দেওয়া হয় ১৮৫ জনকে এবং বিভিন্ন মেয়াদে ২২৮ জনকে সাজা প্রদান করা হয়। এছাড়া ২৮৩ জনকে খালাস দেওয়া হয়।

হাই কোর্টের রায়ের পূর্বে ১৫ জনসহ মোট ৫৪ জন আসামি মারা গেছেন। হত্যা মামলায় হাইকোর্টের দেওয়া রায়ের বিরুদ্ধে ২২৬ জন আসামি আপিল ও লিভ টু আপিল করেছেন। অন্যদিকে হাই কোর্টে ৮৩ জন আসামির খালাস এবং সাজা কমানোর রায়ের বিরুদ্ধে লিভ টু আপিল করেছে রাষ্ট্রপক্ষ। এসব আপিল ও লিভ টু আপিল এখন শুনানির অপেক্ষায়।

অন্যদিকে বিস্ফোরক আইনের মামলায় ২০১০ সালে ৮৩৪ জন আসামির বিরুদ্ধে বিচারকাজ শুরু হয়েছিল। কিন্তু মাঝপথে বিস্ফোরক মামলার কার্যক্রম এক প্রকার স্থগিত রেখে শুধু হত্যা মামলার সাক্ষ্য উপস্থাপন করে রাষ্ট্রপক্ষ। ফলে এ মামলার বিচার ঝুলে যায়। তবে শাসন ক্ষমতার পরিবর্তনে অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনার তদন্ত পুনরায় শুরুর দাবি উঠে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ধর্ম যার যার নিরাপত্তা সবার : আমীর খসরু

স্বাস্থ্যকর ঘুমের ১২ অভ্যাস

বাংলাদেশকে দুঃসংবাদ দিল ইতালি সরকার

পিআরসহ ৫ দফা মেনে নেওয়ার আহ্বান ইসলামী আন্দোলনের

অবতরণের সময় মিগ-৩১ যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত

জানা গেল কবে দেশে ফিরবেন শহিদুল আলম

পচা চাল কিনে বাধ্যতামূলক অবসরে খাদ্য কর্মকর্তা

ভুল সময়ে ওজন মাপলে জানবেন ভুল তথ্য

তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন শক্তিশালী করার দাবি সাইকেলিস্টদের

কোটি টাকার বিষ্ণু মূর্তি উদ্ধার, গ্রেপ্তার ১

১০

ভোট নিয়ে জামায়াত আমিরের হুঁশিয়ারি

১১

ফুটবল খেলা নিয়ে দুপক্ষের সংঘর্ষ, আহত ৩০

১২

প্রাথমিকে নাচ-গানের শিক্ষক নিয়োগ বাতিলের দাবিতে খতমে নবুওয়তের বিক্ষোভ

১৩

জুলাই সনদে পিআর পদ্ধতি অন্তর্ভুক্ত করে গণভোট দিতে হবে : গোলাম পরওয়ার

১৪

স্বয়ংসম্পূর্ণ দেশ গড়তে ৩১ দফার বিকল্প নেই : ড্যানী

১৫

ভারতের ১৭ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা

১৬

অতিরিক্ত মদ্যপানে আরও চারজনের মৃত্যু

১৭

‘গণভোটের মাধ্যমেই জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি দিতে হবে’

১৮

অযোধ্যায় ভয়ংকর বিস্ফোরণ, অভিযান চলছে

১৯

শরীর যথেষ্ট ফাইবার পাচ্ছে কিনা বুঝবেন যেভাবে

২০
X